test
কেমন আছেন সকালে? আশা করি ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমাদের জীবনে চলার পথে নিশ্চয়ই অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে অনেক মানুষের সাথে চলাফেরা ওঠাবসা হয়েছে। দেখবেন সেই সকল মানুষগুলো প্রত্যেকেই আলাদা এবং ভিন্ন, স্বভাবগত, চরিত্রগত কিংবা ব্যক্তিগতভাবে। সমাজে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যাদেরকে আমরা কিপ্টে বলে সম্বোধন করি । অন্যভাবে বলতে গেলে এই কিপ্টে শ্রেণী লোকদেরকে কৃপণ ও বলা চলে। কৃপণ শ্রেণীর এ মানুষগুলো আসলে সমাজের সবথেকে নিকৃষ্ট ব্যক্তি বললেও ভুল হবে না। তাদের এই কৃপণতা গুলো সমাজে থাকা আর চার-পাঁচটা মানুষ মেনে নিতে পারে না বলে তাদেরকে প্রতিনিয়ত আপবাদ দিয়ে আসছে।
আসলে সমাজে চলতে হলে সমাজ রক্ষা করার জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। যেখানে যতটুকু যা প্রয়োজন অতটুকুও না করলেই নই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি মানুষকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যেখানে মানুষ না চাইতে কৃপণতার তালিকায় নাম লেখা তো হচ্ছে।
আসলে মিতব্যায়িতা কখনোই কৃপণতা হতে পারে না। কৃপণতা এবং মিতব্যায়িতা দুইটি ভিন্ন জিনিস। একটি সাথে একটি মিনালে কখনোই হবে না। এক শ্রেণীর লোক যারা কিনা অতি প্রয়োজনিয় খরচ টাকেও বাদ দিতে চাই। এবং স্বভাবগতভাবে সবকিছুতেই তারা এমন কাজটা করে থাকে আর মিতব্যায়িতা হল প্রয়োজনের খরচ টাকে কিভাবে আরেকটু কমানো যায় সেই হিসাব কষা ।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে দিন দিন দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর সাথে সাথে নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলোরও হিমশিম খেতে হচ্ছে খরচ পোষাতে গিয়ে। প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, যা আসলে হাতের নাগালের বাহিরে । বর্তমানে এমন কোন জিনিস নেই যে যার দাম বাড়েনি। প্রতিটা জিনিসের মূল্য ২-৩ গুণ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মানুষের আয় রোজগার কিংবা কর্মক্ষেত্র সেই অনুযায়ী বাড়েনি। বর্তমানে এমনও মানুষ আছে যারা কিনা আনুষঙ্গিক খরচ গুলো বাদ দিয়ে শুধু মাত্র যে পেটে ভাতে থাকতেও তাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শহরে থাকা মানুষগুলো তো সব থেকে বেশি করুন অবস্থা। তাই মানুষ কি করবে বাধ্য হয়ে কৃপণতার খাতায় নাম লেখাতে হচ্ছে তাদের। প্রত্যেকেই চাচ্ছে কিভাবে একটু খরচ কমানো যায় কিংবা স্বল্প প্রয়োজনীয় জিনিসটাকে বাদ দিয়ে চলা যায়।
আসলে আমি বাজার করতে খুবই পছন্দ করি আগে যখন ফ্রি ছিলাম তখন বাসায় কাঁচা বাজারটা আমি নিজ হাতেই করতাম। বাজারে গিয়ে ভালো-মন্দ যাচাই করে জিনিসপত্র কেনার ওই বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালই লাগতো। তবে এখন আর সেভাবে বাজারে যাওয়া হয়না। আসলে সময় হয়ে উঠে না বাজারে গিয়ে সে আগের মত নিজে পছন্দের বাজার গুলো কিনে আনার। তাই ইদানিং খুব একটা বাজারে যায় না। তবে ঐদিন মনে হল একটু বাজারে যায়। মোটামুটি যেহেতু অনেক দিন পরে বাজারে এসেছি অনেকদিন বলতে প্রায় ৪-৫ মাস পর বাজারে এসেছি বাজার করতে। তাই সাধারণভাবেই বর্তমানে বাজারের জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না । কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম শুনে আমি তো রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেলাম। কেননা যেখানে কিছুদিন আগেও পর্যন্ত প্রতিটি জিনিসের যে দাম ছিল বর্তমানে সে জিনিসগুলোর দাম দুই তিন ডাবল হয়ে গিয়েছে। আসলে কিছুই করার নেই পরিস্থিতির শিকার আমরা।
আসলে আমরা তো যাও খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবো কিন্তু ওই সকল মানুষগুলোর কথা ভেবে আফসোস হচ্ছে যারা কিনা দিনে এনে দিন খায়। তাদের কত টাই না খারাপ অবস্থা। সত্যি আমার মাথায় ঢুকে না তারা কিভাবে এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকবে।
আসলে বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই মিতব্যায়িতা হতে হবে। আর এই মিতব্যায়িতা মানেই কিন্তু কিপ্টেমি নয়।