হংসেশ্বরী মন্দির
হঠাৎ ইচ্ছে হয়েছিল কোথাও যাই৷ বাহনে চেপে লক্ষ্যবস্তু ভেদ করতে বেশ লাগে। আর লক্ষ্য যখন মধ্যযুগীয় স্থাপত্য হয়, তখন আর পায় কে। সেই নেশাতেই ছুটে গেছিলাম বাঁশবেড়িয়ায় বিখ্যাত হংসেশ্বরী মন্দিরে। সেখানে এখনো যেন থমকে আছে বাংলার ঊনবিংশ শতকের প্রথম ভাগ৷ প্যাগোডা আকারে একেবারে ভিন্নধর্মী মন্দির। ভেতরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা হংসেশ্বরী কালী। আর মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীতে তান্ত্রিক ধারা। মন্দিরটির গঠন যেন চোখে আটকে যায় এক নিমেষে। কী অসাধারণ তার রত্নগুলো। এমন তেরো রত্ন মন্দির বাংলায় প্রায় বিরল। প্রতিষ্ঠার সময়কাল ১৭৯৯ সাল থেকে ১৮১৪ সাল৷ তৈরি করেন রাজা নরসিংহদেব। পাশেই রয়েছে বিষ্ণুপুর ঘরানার টেরাকোটার বাসুদেব মন্দির। মন্দির গাত্রের মাটির কাজ যেন মুগ্ধ করে দেয়। বর্তমানে সম্পূর্ণ সাইটটিই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের দ্বারা সংরক্ষিত। এককথায় এই অঞ্চল যেন মুহূর্তে একটা সময়ের দাবী নিয়ে হাজির হয় সামনে। বাকি কথা তোলা থাক। কোনো পত্রিকা চাইলে লেখা যাবে বিষদে। সাথে রইল পাশেই অবস্থিত রাজবাড়ির ছবিটিও।