The story to write and my own eyes water for can not !! -----

in #story6 years ago

image

একটি ছেলে আর একটি মেয়ের হঠাৎ করে কলেজ লাইফে পরিচয় হয়, ছেলেটির নাম রাজ আর মেয়েটির নাম রিমা। পরিচয় থেকে ভাল লাগা আর ভাল লাগা থেকে সৃষ্টি হয় গভীর ভালবাসার। এভাবেই দেখতে দেখতে কেঁটে যায় দুইটি বছর।দুজনেরই শেষ হয়ে যায় কলেজ লাইফ।তারপর মেয়েটির পারিবারিক ভাবে সমস্যা থাকার কারনে তাদের মধ্যে সামনা সামনি দেখা খুব কমই হত।তবে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে ফোনে যোগাযোগ হত, তবু ও তাদের মধ্যে ভালবাসার গভীরতা একটু ও কমে যায়নি বরং আরও অনেক বেড়ে গেছে। তবে তারা মাঝে মাঝে একটি পার্কে দেখা করতো। হঠাৎ একদিন ছেলেটি মেয়েটি কে বললো তুমি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে please তোমাকে এক নজর দেখতে অনেক ইচ্ছা করছে।তার পরেরদিন তারা একটি পার্কে দেখা করবে বলে সিধান্ত নেয়। পরেরদিন পার্কে একটি বেঞ্চের দুই প্রান্তে দুইজন বসে আছে, দুইজন দুইজন কে দেখার পর যেন তারা তাদের বাকশক্তিই হারিয়ে ফেলেছে এতটাই গভীর ছিল তাদের ভালবাসা। হঠাৎ মেয়েটি ছেলেটি কে জিজ্ঞাসা করে আচ্ছা রাজ তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালবাসো নাকি সবই তোমার অভিনয়। কথাটা শোনার পর রাজ অবাক হয়ে রিমাকে প্রশ্ন করলো এমন কেন মনে হল তোমার? তখন রিমা বললো এতবার অনুরোধ করলে আজকেই দেখা করার জন্য কিন্তু তোমারি আসতে এক ঘন্টা দেরি। আমি কখন থেকে তোমার পথ চেয়ে বসে আছি তোমার অপেক্ষাই, কখন তুমি আসবে কখন তোমার সাথে দেখা হবে কথা হবে। তখন রাজ দু চোখের জল ছেড়ে দিয়ে বললো আমি পরে না বরং, তুমি এখানে পৌঁছানোর এক ঘন্টা আগে থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। তখন রিমা অবাক হয়ে প্রশ্ন করছে বুঝলাম না তোমার কথা? আমি তো সেই কখন থেকে তোমাকে খুঁজছি তোমাকে ফোনে ও Try করছি কিন্তু তোমার কোনো সারা নেই। তখন রাজ বললো আমি এই এক ঘন্টা পর্যন্ত তোমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলাম। রিমা প্রশ্ন করলো কেন? লুকিয়ে দেখার কি দরকার আমি তো তোমার সাথেই দেখা করার জন্য এখানে এসেছি। তখন রাজ বললো তোমার দুটি চোখ এই একটা ঘন্টা আমাকে যে ভাবে চারও দিকে খুঁজছিলো তুমি
যে ভাবে আকুল হয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলে আমাকে না দেখতে পেয়ে যেভাবে টেনশন ফিল করতে ছিলে তা আমি সবই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলাম, এই সবকিছু আমি যখন লুকিয়ে দেখছিলাম তখন আমার মনে হল আমি মনে হয় এই পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান মানুষ যে তোমার মত একজন কে নিজের জীবনে এত আপন করে পেয়েছি।তখন রিমা দু চোখের জল ছেড়ে দিয়ে বললো রাজ আমার এই মনে এই দুটি চোখে শুধু তোমাকে নিয়েই সব স্বপ্ন তুমি সারা জীবন এই স্বপ্ন কে আগলে রেখ কখনো আমার স্বপ্ন গুলো নষ্ট হতে দিও না কখনো না।এরপর রিমা রাজকে একটা প্যাকেট দেয় রাজ প্যাকেট টা খুলে দেখতে পায় তাতে একটা শার্ট আছে। এই দেখে রাজ বলে রিমা আমি তোমাকে কখনো কোনো উপহার দিতে পারি না তুমি কেন আমাকে এত কিছু দাও? আমার খুবই খারাপ লাগে এই ভেবে যে আমি তোমাকে কখনো ইচ্ছা থাকলে ও কিছু দিতে পারি না। তখন রিমা বলে আমার কিছুই লাগবে না কারন তুমি নিজেই তো আমার আর কোনো কিছুরই আমার দরকার নেই।

আর আমি জানি যে তুমি লেখাপড়ার ফাঁকে টিউশনি করে যে টাকা পাও তা তোমার লেখাপড়ার খরচ চালাতেই শেষ হয়ে যায়, আমি সবই বুঝি আমার কোনো কিছুরই দরকার নেই।
তার কিছুদিন পর হঠাৎ রিমা রাজের সাথে জরুরী ভাবে দেখা করতে চায় সেদিন রিমার আচরন দেখে রাজ কিছুটা অবাকই হয়। পরেরদিন সকাল হতেই যে পার্কের বেঞ্চে বসে তারা সব সময় কথা বলতো সেখানে চলে গেল। হঠাৎ রাজ দেখতে পায় রিমা একটু একটু করে হেঁটে হেঁটে তার দিকে এগিয়ে আসছে রিমার ঠোঁটে মুখে যেন অনেক কান্তি অনেক টেনশন লেগে আছে। হাঠাৎ করে রিমার এই অবস্থা দেখে রাজ পুরুপুরি যেন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে, কোনো কথাই যেন সে বলতে চেয়ে ও বলতে পারছে না। তখন রিমা রাজের সামনে এসে দাঁড়ালো রাজের কপালে একটা চুমু দিয়ে রাজের হাতটা অনেক শক্ত করে ধরে বলতে লাগলো রাজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও আমি মনে হয় তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন গুলো আর বাঁচিয়ে রাখতে পারবো না। এই কথাটি বলেই রিমা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।

রিমার কথাগুলো শুনে রাজ মানুষিক ভাবে এতটাই দূর্বল হয়ে গেছে যে সেদিন কোনো কথাই আর বলতে পারলো না। সেদিনের ঘটনার পর রাজ রিমার ব্যাপারে সব খোঁজ খবর নিল এবং রাজ জানতে পারলো রিমার নাকি দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে! রিমাকে বাঁচতে হলে জরুরি ভাবে কমপক্ষে একটা কিডনি দরকার, কিন্তু রিমার আত্নীয় স্বজনরা অনেক চেষ্টা করে ও একটি কিডনি জোগার করতে পারে নাই, তাই কিডনির অভাবে রিমা নাকি আর বাঁচবে না। হঠাৎ করে রিমার বাড়ির লোকেরা জানতে পারে যে কিডনি পাওয়া গেছে। তারপর জরুরি ভাবে রিমার অপারেশন হয় এবং রিমা আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠে।

এতদিনে রিমার মনে রাজের জন্য যত ভালবাসা ছিল সবই এখন ঘূণায় পরিণত হয়ে গেছে। রিমা মনে মনে ভেবে নিছে যে এতদিনে আমি কেমন আছি তা একটা বার ও খোঁজ নেবার চেষ্টা বা প্রয়োজন মনে করলো না রাজ, এই ওর ভালবাসা।

রিমা এখন মনে মনে রাজকে বেইমান খারাপ ছেলে ভাবে। হঠাৎ একদিন যে পার্কে তারা দেখা করতো সেখানে রিমা গেল এবং রাজকে সেই বেঞ্চে বসে থাকতে দেখতে পেল।

রাজকে দেখেই রিমা অনেক আজে বাজে কথা বলতে শুরু করলো বেইমান প্রতারক আরো কতো কি। কথা গুলো শোনার পর রাজ অনেক কষ্ট পেল।হঠাৎ রিমা দেখতে পায় রাজের পেটের দিক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। রক্ত দেখে রিমা অবাক হয়ে কি হয়েছে বলে শার্ট উঁচু করে দেখতে চায়, কিন্তু রাজ দেখতে দেয় না। রাজ বলে আমার মত বেইমানের রক্ত লেগে তোমার শরীর নোংরা হয়ে যাবে তাই থাক দেখতে হবে না। কিন্তু রিমা জোর করেই শার্ট উঁচু করতে দেখতে পায় রাজের কোমড়ের ডান পাশে একটা অপারেশনের দাগ এটা দেখার পর রিমার আর কিছু বোঝার বাকি রইল না। তখন রিমা বললো তোমার এই অবস্থা কেন? তখন রাজ বলে তোমাকে কিডনি দেবার পর ডাক্তার ঘা শুকানোর জন্য কিছু ঔষুধ লিখে দিয়েছিল কিন্তু টাকার জন্য কিনতে পারি নাই। তখন যে রিমার মনের কি অবস্থা হল তা আর লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।

রিমা নিজের কাছেই নিজে অপরাধী হয়ে গেলে কারন যে রাজ তার জন্য এতো কিছু করলো, রিমা তাকেই কিনা ভুল বুঝলো !
তার কিছু দিন পর রাজ মারা গেল

এই কি ছিল রাজের প্রতি রিমার ভালবাসা আর বিশ্বাস।
তাই, পরিশেষে বলতে চাই একটি ছেলে একটি মেয়েকে যতটা ভালবাসতে পারে বিশ্বাস করতে পারে একটি মেয়ে কখনো তা করতে পারে না।***

-----(সমাপ্ত)-----
{বিঃ দ্রঃ} গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন

source

Sort:  

গলপটা অনেক সুন্দর। Story টা পরে অনেক খারাপ লাগল। ভালোবাসা নামক জিনিসটা আসলেই অনেক কষ্টের হয়।কিন্তু আমি আপনার কথার সাথে একমত হতে পারলাম না।একটা মেয়েও কিন্তু একটা ছেলেকে নিজের থেকে বেশি বিশ্বাস করে। আজ মেয়েটির জায়গায় যদি ছেলেটি থাকত তাহলে সেও একি react করত।তবে ধন্যবাদ এরকম একটি story লেখার জন্য @shariarahmmad

Beautiful history. I like it your beautiful content. thanks for sharing this beautiful love..

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 64222.70
ETH 2651.63
USDT 1.00
SBD 2.77