গল্প- একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১৯)||

in আমার বাংলা ব্লগ19 days ago

আসসালামু আলাইকুম


আমি একজন বাংলাদেশী। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47 আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি ক্রাফট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা সবাই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।গল্প লিখতে বা পড়তে ভীষণ লাগে আমার।কিন্তু সময়ের অভাবে হয়তো সেটা হয়ে উঠে না।আজ আমি একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প (পর্ব ১৯) লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।


একটি দরিদ্র মেয়ের বড় হওয়ার গল্প(পর্ব ১৯):


vietnam-4905789_1280.jpg

Source


অয়ন ছাবিনার হাতের রান্না খেয়ে ভীষণ অবাক হয়ে যায়। ছাবিনার দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে বলে তুমি কি পড়াশুনার পাশাপাশি সেরা রাঁধুনী হতে চেয়েছিলে নাকি? এত সুন্দর রান্না করেছো মনে হচ্ছে পাক্কা রাঁধুনীর হাতে রান্না খাচ্ছি। এমন মজাদার রান্না তুমি কিভাবে শিখলে। আমার তো এখন মনে হচ্ছে তোমাকে বড় রাধুনীও বানাতে হবে।

তোমার নামে ভাবছি একবার একটা খাবারের দোকান খুলবো নাম দিবো তার বউয়ের হাতের রান্না। এইসব শুনে ছাবিনা তো খুবই লজ্জা পেয়ে যায়। এরপর অয়ন ছাবিনা কে খাওয়ায় দেয় ছাবিনার একবার অয়নের হাতে খেয়ে বলে দিন এবার আমি নিজে খেয়ে নিচ্ছি। এরপর সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আর সবাই বেশ প্রশংসা করে ছাবিনার হাতের রান্নার।


আসলে ছাবিনা ছিল গ্রামের মেয়ে। সে সব সময় বাবার জন্য এবং নিজের জন্য রান্না করতো।এই জন্য ছাবিনার রান্নার হাত এতো ভালো। ছোটবেলা থেকেই রান্না করে খেয়েছেম কারণ ছোট বেলায় তার মা তার বাবার কাছে রেখে দূরে গিয়েছিল তাই ছাবিনা এখন রান্না বান্না দারুন।পারে। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে যে যার রুমে চলে যায়।ছাবিনাও এবার রুমে গিয়ে পড়তে বসে। নিজের মত করে পড়তে দেখে অয়ন খুবই খুশি হয়।


আর বলে এভাবেই তোমাকে দেখতে চাই।তুমি সবসময় পড়াশোনা কর মন দিয়ে। পড়াশোনা করে নিজের যোগ্যতায় নিজের পরিচয় তৈরি করো। তোমাকে কখনো অন্য কারো পরিচয়ে যেনো বেঁচে থাকতে না হয়। এসব শুনে ছাবিনার মনোবল যেন আরো বেড়ে যায়। সে পড়াশুনার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে।


এভাবে বেশ কয়েকদিন চলতে থাকে।ছাবিনা নিজের মতো করে পড়াশোনা করছিল। বেশ ভালো সময় কাটছিল তার।এভাবে ছাবিনা দিব্যি জীবনযাপন করছিল। ছাবিনা নিজের এমন সুন্দর জীবন দেখে সে নিজেই ভীষণ খুশি। সে খুবই আনন্দিত এমন পরিবারে আসতে পেরে।এমন কিছু ভালো মানুষের সঙ্গে তার জীবন জড়াতে পেরে। সত্যিই এমন দৃশ্য কয়টি পরিবারের দেখা যায়। বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুব একটা সহজ নয়। তারপরেও ছাবিনার শ্বশুরবাড়ির সবাই তাকে সাপোর্ট করেছিল। এইজন্য সে নিজের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে। হঠাৎ একদিন সাবিনার বাবার বাসা থেকে ফোন আসে। আর কে ফোন দিয়েছিল কি জন্য ফোন দিয়েছিল সেটি জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আজ এই পর্যন্ত।ধন্যবাদ সবাইকে।



আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.35
JST 0.034
BTC 115003.02
ETH 4514.60
SBD 0.86