একটি খাকি খাম পাওয়ার গল্প //পর্ব-২
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
আমার বাংলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আজকে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সবার মাঝে। আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছিলাম আমার জীবনের সফলতার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার একটি গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
যথারীতি আমি ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম অলরেডি প্রায় তিন হাজার থেকে চার হাজার যুবক স্টেডিয়ামের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে। এবার স্টেডিয়াম মাঠের সমস্ত গেট বন্ধ করে সবাইকে স্টেডিয়াম মাঠের একপাশে নিয়ে আসলো। এবং সেখান থেকেই ৫০ জন করে করে টাস এন্ড ব্যাক দিয়ে বেশ কয়টি গ্রুপে ভাগ করে নিল। এবং আনুমানিক তিন ফিট দূরত্বে সারি সারি করে বসিয়ে দিল। তারপর এক পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য তিন পেজ বিশিষ্ট একটি প্রশ্নপত্র দিল। যেটাতে উপরে প্রশ্ন ছিল নিচে ফাঁকা অংশ ছিল উত্তর লেখার জন্য। সবাই প্রশ্নপত্রটি হাতে পেয়ে উল্টিয়ে রাখল। এবং সমস্ত যুবককে প্রশ্নপত্রটি দেওয়া হয়ে গেলে একটি বাঁশির সাহায্যে সময় স্টার্ট হলো আর সময়টা ছিল মাত্র ৫০ মিনিট। আর এই পঞ্চাশ মিনিটের মধ্যেই ৫০ মার্কের অ্যানসার করতে হবে। আমি যেহেতু ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী ছিলাম এবং ভালোই আউট নলেজ ছিল তাই অতি দ্রুততার সহিত পরীক্ষাটি দিয়ে প্রশ্ন পত্রটি জমা করে দিলাম। যখন সমস্ত প্রশ্নপত্র গুলো জমা নেওয়া হয়ে গেল তখন হ্যান্ড মাইক এর মাধ্যমে বলে দেওয়া হলো বিকাল ৩ টায় রেজাল্ট দেওয়া হবে।এবং সেই সময়টাতে সবাইকে স্টেডিয়াম মাঠের গেটের বাইরে অবস্থান করতে হবে।
হ্যান্ড মাইকে এই ঘোষণাটি পাওয়ার পর আমরা নয় জন মিলে সিরাজগঞ্জ শহরের ভিতরে গেলাম। যখন রেজাল্ট দেওয়ার তিন ঘন্টা বাকি ছিল তখন আমাদের নয় জনের ভিতর যে তিনজন একটু ধর্নাড্য ছিল তারা বলল সিনেমা দেখবে। যদিও পরবর্তীতে তিনজনের সাথে আরও একজন জমা হয়েছিল আর আমরা বাকি পাঁচজন শহরের ভিতরে ঘুরতে লাগলাম। ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে এ প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়ে গেল। তখন একটি ভাতের হোটেলে গেলাম এবং হাতে বেশি টাকা না থাকার কারণে ১৫ টাকা দিয়ে একটি ডিম এবং এক প্লেট ভাত খেয়ে নিলাম। যদিও অনেকে মাছ এবং মাংস খেয়েছিল। খাবার খাওয়া শেষ করে হাটতে হাঁটতে স্টেডিয়াম মাঠের গেটে চলে আসলাম তখন মোবাইলের যুগ ছিল না বিধায় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় সবাইকে জমা হতে বলেছিলাম আর সেখানেই আমরা সবাই একত্রিত হলাম।
যথারীতি সেই কাঙ্ক্ষিত সময়টি চলে আসলো। হ্যান্ড মাইক দিয়ে একে একে সবার রেজাল্ট বলে দিতে লাগলো। তিনজনের নাম ঘোষণা করার পর চতুর্থ জনের বেলায় আমার নামটা উঠে আসলো। যখন আমি আমার নামটা শুনতে পেলাম তখন মনের ভিতরে এক অন্যরকম আনন্দ ফিল করছিলাম। যদিও সেই খাকি খামটি পাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত্য আমাকে বেশ কয়টি ধাপ পার করতে হবে। তারপর যথারীতি আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং একে একে প্রায় ১০০ জন যুবকের নাম প্রকাশ করলো। এবং আরো ২০ জনকে ওয়েটিং এ রেখেছিল। এখন এই পুরো স্টেডিয়াম মাঠের ভিতর আমরা ১০০ জন। তখন আসরের আযান দিচ্ছে সেই মুহূর্তে আর্মির সমস্ত সৈনিক গুলো আমাদের চূড়ান্ত মেডিকেল পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তিনটা রুম রেডি করছিল। এদিকে আমার সেই ৮ জন ফ্রেন্ড ৩০ মিনিট আমার জন্য অপেক্ষা করার পর আমাকে একা রেখে সবাই চলে গেল।
আমি একা একা রয়ে গেলাম স্টেডিয়াম মাঠের ভিতরে। এখানে আর আমার আত্মীয়-স্বজন বলতে কেউ রইল না। আমি মনে মনে একটু স্বস্তি বোধ করলেও অন্যদিকে ভাবতাম যদি রাত হয়ে যায় তাহলে আমি এখান থেকে কিভাবে বাড়ি ফিরবো।যাইহোক শেষ পর্যন্ত বিকাল পাঁচটা ৩০ মিনিট আমাদেরকে ডেকে নেওয়া হল চূড়ান্ত মেডিকেল করার জন্য। আমাদেরকে আবার টাস এন্ড ব্যাক দিয়ে দুটি সড়িতে ভাগ করে নিল। এবার একে একে তিনজন করে যুবককে রুমের ভিতর ঢুকানো হলো চূড়ান্ত মেডিকেলের জন্য। যারা চূড়ান্ত মেডিকেলে টিকে গেল তাদেরকে নেয়া হলো এক রুমে আর যারা চূড়ান্ত মেডিকেলে টিকতে পারেনি তাদেরকে গেটের বাহিরে যেতে বলা হলো।
তো বন্ধুরা আজকের দ্বিতীয় পর্ব এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আমার সাথে কি হয়েছিল তার শেষ অংশটুকু আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 💗🙏💗।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | গল্প । |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/mahfuzur888/status/1872353272994075004?t=JofHg4frWgkvfVftnfEY_g&s=19