শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ১৬
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
আজও সেই একই রুটিনের পুনরাবৃত্তি। ঐশীকে কোলে নিয়েই শাহেদ গল্প করছে আর চায়ে চুমুক দিচ্ছে। কী মনে করে যেন সেতু বলল, “ভাইয়া, ঐশীকে খাটে শুইয়ে দিন। খুব দুষ্টুমি করছে। কখন পা দিয়ে চায়ের কাপটা ফেলে দেয় আবার।'
সেতুর কথামতো ঐশীকে শোয়াতে যাবে ফেলে দিল ঐশী।
এমন সময় সত্যিই পা নেড়ে চায়ের কাপটা
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
সাথে সাথে দ্রুত নিজের কাপ রেখে ছুটে গিয়ে ঐশীকে ধরল সেতু। গরম চা। বাচ্চার গায়ে এক ফোঁটা লাগলেও অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। সেতু ঐশীকে ধরায় সবটা চা গিয়ে
পড়ল শাহেদের পায়ে।
‘ওহ! শিট!” বলে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করল শাহেদ।
‘আগেই বলেছিলাম.... দেখলেন তো, আমার কথা না শুনলে কী হয়...' বলে দুষ্টুমিভরে হেসে উঠল সেতু।
সেতুর কথায় মুখ বাকিয়ে একটু ভনিতা করে শাহেদ চা পরিষ্কার করতে শুরু করল। ‘আরে ভাইয়া, আপনি ঐশীকে নিন। আমি ক্লিন করছি চা।' উদ্বিগ্ন হয়ে বলল সেতু। শাহেদও বাধ্য ছেলের মতো ঐশীকে নিতে হাত বাড়িয়ে দিল।
ঐশীকে নেওয়ার সময় অসাবধানতায় শাদেহের দু'টি আঙুল আলতো করে ছুঁয়ে গেল সেতুর হাত। অদ্ভুত ধরনের শিহরণ বয়ে গেল সেতুর শিরা-উপশিরায়। তৃতীয় জন কি তবে তার খেলার প্রথম চাল চেলে ফেলেছে? নাকি প্রথম চাল আরও অনেক আগেই চালা হয়ে গিয়েছিল অন্তরালে...!
বায়ু কেটে দ্রুত বেগে ছুটে চলছে নীরাদের মিনি মাইক্রো। ড্রাইভারের পাশের সিটে বাবলু ভাই, মাঝের সিটে নীরা আর রোকসানা আপা। পেছনের সিটে দিপ্তি আর রুমা। রোকাসানা আপা নিজের মতো কানে হেডফোন গুঁজে আছেন। দিপ্তি আর রুমা ইন্টার্ন। বয়স কম। বিরতিহীন বকবক করে চলছে। নীরা এক মনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। এর মধ্যেই রুমার কথা কানে এল, ‘আরে ওদের তো অনেক বছরের সম্পর্ক ছিল, জানতাম।'
রুমার কথার সাথে সুর মিলিয়ে দিপ্তি বলল, 'হ্যাঁ, ছিলই তো.... বুঝি না বাপু, কীভাবে মানুষ এমন করে।’
‘কী করেছে?” নিজের অজান্তেই প্রশ্নটা করে বসল নীরা।
আমরা যাদের ভালোবাসি তাদেরই তো উপদেশ দিই, তাই না? সুবহানাল্লাহ! ভেবে দেখুন, আল্লাহ আমাদের উপদেশ হিসেবে কুরআন দিয়েছেন। কাউকে খুব ভালোবেসে যখন আমরা উপদেশ দেই তখন যদি সে আমাদের কথা না শোনে বা পাত্তাই না দেয়, তাহলে কেমন লাগে আমাদের। অবশ্যই রাব্বুল আলামিন জাগতিক সব উদাহরণের ঊর্ধ্বে। কিন্তু, আপনি কি এমন অবস্থায় আপনার রবের সামনে দাঁড়াতে চান যে, দুনিয়ার সময়টায় আপনি আপনার প্রিয় রবের উপদেশবাণী একটিও সঠিকভাবে পড়ে দেখেননি, বুঝে ওঠেননি?
নিশ্চয় না। তাই জীবনযাপন সুশৃঙ্খল করার জন্য কুরআন সঠিকভাবে পড়া শিখতে হবে আমাদের। কুরআনের অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে আমাদের রবের কথাগুলো। তাঁর কথাই নিজের জাগতিক উপলব্ধিকে আরও শানিত করার উপকরণ।
কুরআন আর পাঁচটা সাধারণ বইয়ের মতো নিছক কোনো বই না। এটা যে আমাদের রবের মায়াভরা কথা, যত্নভরা উপদেশ, সন্তর্পণ সতর্কবার্তা। এই কথাটা বুঝতেই আমাদের অনেকটা দেরি হয়ে যায়।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
এই স্বপ্ন সত্য করা কী আদৌ সম্ভব!! দেখুন, আল্লাহই আপনার জন্য কী চমৎকার বিশেষ ব্যবস্থা করে দিলেন। দিলেন একাগ্রচিত্তে কুরআন টাইম—নাহ। মোটেও এটা কোয়ারেন্টাইন না।
সারা বিশ্বের জন্য ‘কোয়ারেন্টাইন' শব্দটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, হতাশা-নিরাশার অপর নাম। কিন্তু আপনার জন্য এ সময়টা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ, এটা যে আপনার জন্য কুরআন টাইম। আপনি বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বইকে। এর তিলাওয়াত, একে মন দিয়ে বোঝা, একান্ত সময়ে যেন কুরআন আপনার সাথে কথা বলছে। আর কী লাগে আপনার অবাধ্য অশান্ত অন্তরে প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা বয়ে আনতে?
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.253554446436969 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.