শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৩০

আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.
কিছুই মনে করতে পারছিলাম না। সবাই আমার এ অবস্থা দেখে উল্লাস করছে। মনের মধ্যে প্রচণ্ড রকম জেদ কাজ করল। ‘কী! আমার রবকে ডাকার ব্যাপারে তোমরা বাধা দেওয়ার কে! আমার রব হচ্ছেন তিনি, যাকে ডাকার জন্য কোনো মাধ্যম লাগে না।
আমার রব হচ্ছেন তিনি, যাকে মনের কথা না বললেও তিনি সবটা জানেন। তাঁর থেকে কিছুই লুকানো যায় না। আমার রব হচ্ছেন তিনি, যিনি আমাদের অবস্থার প্রেক্ষিতে আমলের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দিয়েছেন। তোমরা আমার হাত পা বেঁধে রেখেছ। মন তো আর বেঁধে রাখতে পারবে না, তাই না!”

For Photos I use:

---

Camera	Iphone 12 Mini
Lens	Wide 26 mm-Equivalent
Photographer	@fxsajol
Location	Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos	Outdoor

---

আমি ইশারায় নামাজ পড়া শুরু করলাম। কোনো এক প্রহরী আমার ইশারার নামাজ বুঝে ফেলল। চিৎকার দিয়ে বলে উঠল, ‘ঐ দেখ সে তো এর মধ্যেও সালাত আদায় করছে!' অন্য একজন আতঙ্কিত কণ্ঠে বলল, ‘আজ আমাদের সবার গর্দান যাবে! দারবিদা আমাদের কাউকে ছাড়বে না!' কিছুটা দূর থেকে একজন চিৎকার দিয়ে হুকুমের সুরে বলল, ‘কন্টক যুক্ত বেত দ্বারা ওকে প্রহার করো।' সাথে সাথে কিছু সৈন্য চলে এল। ওরা আমাকে মারতে শুরু করল। কাঁটা যুক্ত বেত। আমার পিঠে কাঁটা বিধে আছে। কাঁটা যুক্ত বেত দিয়ে আমাকে মারা হচ্ছে। শরীরের যেখানে লাগছে কেটে রক্ত ঝরছে। এর মধ্যে আমি আমার রবকে ইশারায় সিজদাহ করলাম। কেন যেন আমার শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব হচ্ছে না। কোনো এক অজানা প্রশান্তিতে মনটা ভরে গেল। আমি বললাম, ‘আলহামদুলিল্লাহ!”

আজান হচ্ছে। ঘুম ভেঙে গেল। বুঝলাম সবটা স্বপ্ন ছিল। বিছানা থেকে উঠে অজু করে মসজিদের জন্য বের হওয়ার সময় আম্মু দেখল। অনেক অবাক হলো আম্মু। যে ছেলেকে হাজার বকেও নামাজ পড়ানো যায় না, সে আজ নিজেই মসজিদে যাচ্ছে, তাও ফজরের সময়। অবাক তো হওয়ারই কথা! স্বপ্নটা ভালো নাকি খারাপ, জানি না। তবে স্বপ্নটা আমার ভাবনার জগৎ সম্পূর্ণ উলটে দিল।

শুধু 'আল্লাহ আমার রব' বলার অপরাধে আমাদের চোখের সামনে কেউ আমাদের সন্তানদের ফুটন্ত তেলে ফেলে দেয়নি।[১৪]
এখন আমরা ‘আধুনিক’। আমরা নামাজ পড়লাম নাকি পড়লাম না, তাতে কিছুই যায় আসে না। আমাদের মতো মুসলিমদের কাছে ‘ইসলাম’ এখন শুধু একটি ধর্ম, কিছু আচার অনুষ্ঠানের সমষ্টি।

তথাকথিত ‘আধুনিকতার' প্রথম প্রস্তাবটা এসেছিল কুরাইশ বংশের গণ্যমান্য কাফিরদের পক্ষ থেকে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে তাদের প্রস্তাব ছিল, ‘আমাদের উপাস্যের নিন্দা করা থেকে বিরত থাকবেন অথবা এক বছর আপনি আমাদের উপাস্যদের ইবাদত করবেন এবং আমরাও এক বছর আপনার উপাস্যের ইবাদত করব।' কাফিরদের এমন অবাস্তব প্রস্তাবের উত্তর আল্লাহ সুরা আল কাফিরুন এর মাধ্যমে দেন।

For Photos I use:

---

Camera	Iphone 12 Mini
Lens	Wide 26 mm-Equivalent
Photographer	@fxsajol
Location	Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos	Outdoor

---

অথচ আমরা মুসলিমরা এখন সেই অবাস্তব প্রস্তাবটিরই বাস্তব রূপ দিচ্ছি। কত সহজে নিজেদের আপডেটেড বলে গর্ব করছি। টিভি ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ধীরে ধীরে মুসলিমদের শরীরে ‘আধুনিকতা'-এর ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে।
কত ধৈর্য শয়তানের! ‘কীরে ফজরের পর থেকে এখনো ঘুমাসনি? কী হয়েছে আজ তোর?' আম্মুর প্রশ্নে আঁতকে উঠলাম আমি। মসজিদ থেকে ফিরে এসব ভাবতে ভাবতে কত সময় পার হয়েছে খেয়াল করিনি। কখন আম্মু রুমে এসেছে তাও টের পাইনি। অবাক চোখে আম্মু তাকিয়ে আছে। হয়তো উত্তরের অপেক্ষায়।

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ