শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৬১
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
শাহেদ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল চল, মেয়েটা এই কয়দিনে একটু ঘুমাতে পারে। ঐশীর সাথে সময়টা তার কাজে লাগে। আমি যখন লাইট বন্ধ করতে যাচ্ছিলাম তখন কিছু একটা শুনতে পেলাম। চেয়ার টানা। এত রাতে কে চেয়ার টানবে? মন! হয়তো ভুল শুনেছেন। কিন্তু অকারণে মন আনন্দিত হতে লাগল। ইচ্ছে না করে সেতুর ঘরের দিকে পা বাড়াল। পর্দা সরাতে গিয়ে শাহেদকে খুবই ভীতিকর দৃশ্যের সাক্ষী হতে হয়। সেতুটি তার গলা এবং পাখাকে ওড়না দিয়ে সংযুক্ত করে। সে চেয়ার ভেঙে চিরতরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। শাহেদ কিছুক্ষণ পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
একপর্যায়ে ব্রিজটি আপনা থেকেই নিচে নেমে আসে। বিছানার এক কোণে বসে পরাজিত লোকটি চোখের জল ফেলল। নীরব অশ্রু কিছুক্ষণ পর পর হেঁচকির মত টানে। শাহেদ পদত্যাগ করে চেয়ারটি ধরে সেতুর পাশে বসতে যান। চার দেয়ালে যেন এক অন্ধকার নীরবতা নেমে এসেছে। লাইট, ফ্যান, এমনকি বিছানার পাশে সযত্নে রাখা ফুলের টবটাও বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। বারান্দার গ্রিল দিয়ে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছি। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝখানে, মেঘের আড়াল থেকে একটি সুন্দর অর্ধচন্দ্র উঁকি দিচ্ছে। এটা ভুল হওয়ার কথা নয়; যা কেউ চায়নি; সেই ভুল ভাবা যায় না; এটাই..!
সঞ্চালিত এটা এখন খুব তাড়াতাড়ি না. সাড়ে নয়টা বাজে। শাহেদ কাজের সময় বাইরে থেকে নাস্তা নিয়ে আসে। টেবিলে রাখতেই ঐশীর মৃদু কান্না শোনা গেল। এই কান্নার মানে সে জেগে উঠেছে। নীরা একবার বলল। মায়েরাও বোঝেন কান্নার ভাষা। শাহেদ বুঝতে পারে না। নীরা যা বলে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করে। তাই একটু উঁকি দিল সেতুর ঘরের দিকে। এখন ঐশী রাতে সেতুর ঘরে থাকে। রাতে সেতুর ঘর থেকে আর কান্নার শব্দ নেই। ঐশীর সাথে হাসি খেলার শব্দ হচ্ছে। ভালো কথা, অন্তত কয়েক দিনের জন্য মেয়েটি ডিভোর্স থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারছে।
শাহেদ কি ভেবে সেতুর ঘরে চলে গেল। আয়েশি তার বাবার দিকে তাকিয়ে তার হাত-পা ছুঁড়ে ফেলে এবং তার উত্তেজনা প্রকাশ করে। ঐশীকে কোলে তুলে নিতেই হঠাৎ নিষ্পাপ দৃষ্টিতে তাকালো সেতুর দিকে। না, মেয়েটাও কাল রাতে কেঁদেছিল। নিষ্পাপ মুখ, ফোলা চোখ। কোনো কারণ ছাড়াই শাহেদের মন খুব খারাপ হয়ে গেল। ঐশী ঘুমাচ্ছে। সেতু রাতে ঘুমাতে পারে না। ৬০ বছরের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তাকে তাড়া করছে। কীভাবে কেউ দীর্ঘ সম্পর্কের অবসান ঘটাতে পারে সেতু প্রতি রাতে এই একই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। সে নিজেকে প্রশ্ন করে। কোন উত্তর নেই। প্রশ্নটা চার দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে সেতুতে। রাত বাড়ার সাথে সাথে নীরব কান্না আরও জোরে বাড়তে থাকে। সেতুর সাথে দেয়াল, লাইট, ফ্যান।
সাধারণত আমি গল্প করতে ভালোবাসি, আর আপনার গল্প গুলো সামনে আসলে আমি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ি যা আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার এই ছোট গল্পগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে কিছু একটা অনুভব করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
0.00 SBD,
1.21 STEEM,
1.21 SP,
0.00 TRX
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 8.949374739124496 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.