ভৌতিক গল্প লেখার খোজে
আজ সকাল থেকেই আশরাফুলের খুব মন খারাপ। এই প্রযন্ত সে অনেক গল্প লিখিছে কিন্তু ভূতের গল্প এই প্রযন্ত লিখেনি। সকাল থেকে শুধু ওর মনে একটাই চিন্তা ঘুর পাক খাচ্ছে কিভাবে ও ভূতের গল্প লিখবে। এনিয়ে অনেক ভূতের ছবি, থ্রিলার, গল্প পরেছে। কিন্তু কোনো ধারনা পাচ্ছে না। সকলের খাবার খেতে বসেই এসব ধারনা করছিলো আশরাফুল। এটা দেখে ওর মা বলছে
--কিরে কি চিন্তা করছিস আমাকে বল। না খেয়ে শুধু ভাত নারাচ্ছিস।
--আসলে হইছে কি মা। এই প্রযন্ত তো অনেক গল্প লিখেছি কিন্তু ভূতের গল্প লিখিনি।
--এসব গল্প লিখার চিন্তা বাদ দিয়ে পড়া লেখায় মন দে এতে তরই লাভ হবে। গল্পে তোর পেট ভরাবে না। এখন খেয়ে স্কুলে চলে যা। একগাদা মায়ের ভাষন শুনে স্কুলে চলে যায়। স্কুলে গিয়েও একই চিন্তা কিভাবে ও গল্প লিখবে। এটা দেখে শাহিন (ওর বন্ধু)
--কিরে তোর কি হইলো আইসা কোনো কথা বলছিস না। মনে হয় কি চিন্তা করছোস।
--না কিছু না। কথা শেষ না হতেই স্যার ক্লাসে চলে আসে। তো স্যার ক্লাসে পড়াচ্ছে কিন্তু এতে ওর কোনো মন নেই। ওর মাথায় শুধু ঐ একটা চিন্তাই। এটা স্যার অনেক সময় ধরে লক্ষ করছে আশরাফুল তোমার কি হইছে
--কিছু না স্যার
--তাহলে ক্লাসে মন না দিয়ে যেনো কি ভাবতেছো।
--স্যার আপনারা সবাইতো জানেন আমি গল্প লিখতে পছন্দ করি। এইবার একটা ভূতের গল্প লিখতে চাইতেছি কিন্তু খুজে পাইতেছি না কিভাবে শুরু করবো।
--এসব চিন্তা রেখে ক্লাসে মন দাও। স্কুল ছুটি হওয়ার পর আশরাফুল একা একা হাটতেছে এমন সময় পিছন থেকে একটা মেয়ে ওর নাম ধরে ডাক দেয়। পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে আসতে ওদের বাসায় থাকে আর একই ক্লাসে পরে কিন্তু কোনোদিন তার সাথে কথা বলে নাই।
--হুম বলেন কি জন্য ডাকতেছেন।
--আপনি নাকি ভূতের গল্প লিখতে চাইতেছেন।
--হ্যা, তো কি হইছে!
--আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি যদি কিছু মনে না করেন।
--আচ্ছা বলেন
--তাহলে আজ রাতে পড়ার কথা বলে আপনার রুমে আসবো।
--কেনো?
--আমার কাছে একটা গল্প আছে সেটা নিয়ে আসবো।
--আচ্ছা আসবেন। আপনার নাম টাইতো জানা হলোনা। আর অপনি থাকেন কোথায়?
--আমি রিপা আর আমি আপনাদের বাসার তিন তলায় ৫ নাম্বার রুমে থাকি। এভাবে কথা বলে বাড়িতে এসে গেলো। রাতের যথা সময়ে রিপা নামের মেয়েটা ওর রুমে আসলো
--এসে গেছেন। দিন আপনার গল্পটি
--কি দিবো গল্পটা আমি মুখে বলবো।
--আচ্ছা বলেন। আমি লিখতেছি।
--একসময় এক বাড়ির তিন তলার ৫ নাম্বার রুমে একা একটি মেয়ে থাকতো। এলাকায় বখাটে ছেলেরা সেই মেয়েটাকে খুব বিরক্ত করতো। একদিন সেই বখাটেরা সেই মেয়েটিকে ধর্ষন করে মেরে ফেলে। কেউ যেনো জানতে না পারে সে জন্য তাকে পুরিয়ে ফেলা হয়। এখনো নাকি সেই মেয়েটির আন্তা ঘুরে। সেই আন্তাটি আপনার মতো এক গল্প লেখকের ঘরে এসে বলেছে কিন্তু সে লিখেছে কিনা তা যানে না।
-- গল্পটা ভালো তারপর
--গল্পতো শেষ। আচ্ছা আপনি যদি জানেন এই গল্পটা কোনো মানুষ না বলেনি ভুতে বলেছে তাহলে আপনার অবস্থা কিরকম হবে।
--কি বলছেন। আপনি তো মজা করতে পারেন। বসেন আমি আসতেছি।
কিছুক্ষন পর ফিরে এসে আশরাফুল ঐ মেয়েটাকে পেলো না। মনেহয় চলেগেছে একি খাতাটাই যে ফেলে গেছে। যাই গিয়ে দিয়ে আসি। ঘর থেকে বাহির হতে যাবে
--আশরাফূল কোথায় যাও।
--আমি রিপার খাতাটা দিয়ে আসি।
--কোন রিপা। আর খাতে কোথায়।
--আমাদের বাসার তিন তলার পাঁচ নাম্বার রুমে থাকে। কি ঐখানে কেউ থাকে না আর রিপা নামে একটা মেয়ে থাকতো কিন্তু তুই ছোট থাকতে লাপাত্তা হয়ে গেছে।
--কি? মার কথা সত্তি হলে সেই মেয়েটি কে। ও বলেছিলো গল্পটা মানুষ না বলে ভুত বলে
সমাপ্ত