স্বাস্থ্য কথাঃ যেসব কারণে চলতে ফিরতে সব ভুলে যাই!
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে সংশোধন করে দিতে ভুলবেন না।
আজকে স্টিমিট প্লাটফর্মের একটি পোস্ট পড়ছিলাম। তখন হঠাৎ মাথায় এলো, মানুষ এখন হুট হাট করে অনেক কিছুই যে ভুলে যায়, এই ভুলে যাওয়া কি আসলে কোনো রোগ?
অনেক ঘাটাঘাটির পর কিছু তথ্য জানতে পারলাম। সেটাই আজ শেয়ার করবো ,
বিশেষ করে বয়স্কদের, অনেক সময় অপেক্ষাকৃত কম বয়সেও ভুলে যাওয়া রোগ দেখা দেয়। বলা হয়, ষাটোর্ধ্ব প্রতি ২০ জনে ১ জন ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়া রোগে ভোগেন। ডিমেনশিয়া শুধু একা কোনো রোগের লক্ষণ নয়, এর সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়ার লক্ষণও প্রকাশ পায়। ভাষা ও আচরণগত সমস্যা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, বুদ্ধিমত্তা লোপ, মনোবৈকল্য ইত্যাদি লক্ষণ ক্রমাগতভাবে দেখা দেয়। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিমেনশিয়ার কিছু কারণ প্রতিকারযোগ্য এবং কিছু অপ্রতিকারযোগ্য।
প্রধান লক্ষণসমূহঃ
• স্মৃতিশক্তি লোপ।
• প্রতিদিনের কাজের বিভ্রান্তি।
• ভাষাগত সমস্যা।
• সময় ও স্থান চিহ্নিত করতে অপারগতা।
• বিচার-বিবেচনার মাত্রা কমে যাওয়া।
• অন্যমনস্ক হওয়া।
• জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলা।
• মেজাজ ও স্বাভাবিক আচার-আচরণে পরিবর্তন।
• ব্যক্তিত্ববোধের পরিবর্তন।
• কর্মোদ্যম হারিয়ে ফেলা।
• অনিদ্রা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি।
এ সকল রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে, কখনো রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে রাখার প্রয়োজন হয়।