ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা ব্রেকিং পয়েন্ট"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, মুকুল সহ সমস্ত বিষয়ে কনফার্মেশন বায়াস করা হয়েছিল বা করছিলো অনেকে মুকুল সহ তার মা। এই পর্বে ঘটনা কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
তো কোর্টে তো মাধব উকিল এর সাথে একপ্রকার উল্টোটাই হচ্ছিলো। কারণ মাধব যেসব ইনফরমেশন কালেক্ট করেছিল, তা কোনোটাই কাজে আসেনি। সমস্ত ইনফরমেশন মুকুল তাকে ভুল বলেছিলো। আর তারপর আরো একটা সমস্যা তৈরি হয়ে যায় যে, মুকুলের বাবা নিরাজ সেই বাটনের ফোনে রেকর্ড করা মুকুলের খারাপ ব্যবহারের রেকর্ড পাবলিক প্রসিকিউটর এর কাছে তুলে দেয়। এতে করে একদিক থেকে পাবলিক প্রসিকিউটর ব্রম্মাস্ত্র হাতে পাওয়ার মতো পেয়ে গিয়েছিলো। আসলে এখানে নিরাজের ভুল বললেও ভুল হবে, কারণ সে তার মেয়ের মৃত্যুর জাস্টিস চাচ্ছে। এখন সারা দুনিয়া একপ্রকার বলতে গেলে মুকুলের বিরুদ্ধে, তাই নিরাজও ভাবছে এই কাজ মুকুল করেছে, আর এমনিতেও তার দুইজন আপন ভাই-বোন না। তো এক্ষেত্রে একদিক থেকে নিরাজ তার মতো করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন মুকুলের জন্যও এদিকে অনেকে ভালো প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু মুকুল আবারো একটা ভুল করতে চলেছে। কারণ ওখানে জুভেনাইল জেলের ভিতরে এমন দুইজন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয় যে, তারা একপ্রকার তাকে প্রলোভন দেখাতে থাকে সব কিছুতে। আর মুকুলও পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাতে রাজি হতে থাকে। তেমনই এইবার প্ল্যান করে ওখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার। যেটা এই কেস চলাকালীন মুকুলের একটা ভুল পদক্ষেপ বিরাট সমস্যার সম্মুখীন করতে পারে, কেসও পাল্টি খেতে পারে। তারা মোটামুটি প্ল্যান করে যে, রাতের দিকে যে লন্ড্রী ট্র্যাক আসে, তাতে উঠে পালাবে। আর এমনিতে ওই জুভেনাইল জেলের দায়িত্বে যে আছে, তার জন্মদিন, তাই একপ্রকার সেইদিকেই ব্যস্ত থাকবে সবাই। মুকুল এমনিতেই প্রথমে এই বিষয়ে শায় দেয়নি, কারণ এটা বিশাল বড়ো রিস্কি একটা কাজ।
তো পরেরদিন মুকুলের কেস কোর্টে ওঠে এবং সেইদিনও নিরাশ হওয়া লাগে, কারণ মুকুলের পক্ষে তেমন কোনো যুক্তি দেখাতে পারেনি মাধব। এখন এতে তার মনোবল আরো দুর্বল হয়ে যায় আর তার উপর তার বাবা নিরাজ তার বিপক্ষে কোর্টে কথা বলে, ফলে তার উপর আরো খারাপ প্রভাব পড়ে। এমত অবস্থায় মুকুল পালানোর প্ল্যান না করলেও, পরে চিন্তা করে পালাবে। এখন মুকুল কোনোমতে চালাকির সাথে চাবি নিয়ে গেটের বাইরে বের হয় আর রাতের দিকে তাদের প্ল্যান অনুযায়ী ট্র্যাক ঢোকে, এরপর তারা সবাই প্ল্যান করে কোনোমতে ট্র্যাক ছাড়ার আগে, তাতে উঠে পড়া। বেশ কিছুক্ষন পরে সুযোগ পেয়ে তারা সবাই ট্র্যাকে উঠে পড়ে এবং তাতে করে বেরিয়ে যায়।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
মোটামুটি মুকুলের কেসের ডেট একটার পর একটা পড়তেই থাকে। আর এতে করে তার মানসিকতার উপরও একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে থাকে। তার সমস্ত বন্ধুদের ডেকেও সমস্ত কিছু ওই মার্ডারের রাতের কথা শুনতে চায় এবং তারাও মুকুলের বিপক্ষে বলে। এতে কেস আরো তার বিপক্ষে জটিল হয়ে যায়। এরপরের দিন একবার যখন এই কেস ওঠে অর্থাৎ মুকুলের সাথে লাস্ট ওই পার্টিতে ড্রাগ ডিলারের সাথে কথা বলার পরে দুই ছেলেকে দেওয়ার কথা বলে এবং তারা যখন এটিএম থেকে টাকা তুলে মুকুলকে দেয়, তখন সমস্ত কিছু রেকর্ড হয় আর মাধব সেটাই কোর্টে একপ্রকার বাজিমাত করে দেয়। কিন্তু এই কেসের যখন সঠিক পথে যাচ্ছে, তখন মুকুল এই যে পালিয়ে একটা চরম বোকামির মতো কাজ করলো, তাতে কেস এইবার আরো জটিল থেকে জটিল হয়ে যাবে। দেখা গেলো, তার সমস্ত কিছুই অর্থাৎ সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিলো। দেখা যাক এখন কি হয়।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৭/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজকে খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে এই ওয়েব সিরিজের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে সবগুলো পর্বের মতো এই পর্ব টা। মুকুলের বন্ধুরাও দেখছি তার বিপক্ষে কথা বলেছে। আর তার বিপক্ষে কথা বলার কারনে কেসটা আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে এটা বুঝতেই পারছি। অন্যদিকে আবার তার পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আসলে অনেক বোকামির ছিল। এখন দেখা যায় পরবর্তীতে আবার কি হবে?? অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্ব টার রিভিউ পড়ার জন্য।
জারার বাবা নিরাজ একেবারে উচিত কাজ করেছে। কারণ প্রতিটি বাবা তার সন্তানের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চায়। যাইহোক মাধব উকিল তো ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু মুকুল পালিয়ে গিয়ে সবকিছু ওলট-পালট করে দিলো। এই সিরিজটা বেশ জমে উঠেছে দাদা। বেশ ভালো লাগলো এই পর্বের রিভিউ পড়ে। এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের ছয়টা পর্ব শেষ হয়ে গেল। আর আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্বটা। মুকুলের কেসটা দেখছি আস্তে আস্তে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আর তার বন্ধুরাও তার বিপক্ষে কথা বলেছে। অন্যদিকে আবার সে বোকামির একটা কাজ করল। বুঝতেই পারছি কেসটা আরো বেশি জটিল হবে। এরকমটা করা তার একদম উচিত হয়নি। পরবর্তীতে কি হবে এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।