সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক শুরু করছি। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে শিমের বিচি দিয়ে খাইস্যা রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। শিমের বিচির খাইস্যা ভীষণ পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু। আমি এই চমৎকার রান্নাটি টমেটো এবং মাছের সংমিশ্রণে তৈরি করে দেখাবো। টমেটো এবং মাছের সংমিশ্রণে এই খাবারটি রান্না করলে যেমন পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি পায় তেমনি খাবারটি ভীষণ সুস্বাদু হয়। আমার কাছে মাংসের চেয়ে এ ধরনের রান্না বেশি পছন্দের এবং আমি মোটামুটি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে এই খাবারগুলো গ্রহণ করি। তো চলুন আমাদের আজকের চমৎকার খাইস্যা রান্না রেসিপি শুরু করি। |

শিমের বিচি |  | পেঁয়াজ |  |
টমেটো |  | মাছ |  |
রসুন বাটা |  | জিরা গুড়া |  |
হলুদ গুড়া |  | মরিচ গুড়া |  |
লবণ |  | মনের মাধুরী | ভরপুর |
.webp)

শুরুতেই একটি পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিলাম। এবার পাতিল টি গরম হলে পরিমাণমতো সোয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে এলে পেঁয়াজকুচি গুলো সেই গরম তেলে ছেড়ে দিলাম। এবার একটু সময় নিয়ে পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামী রঙের করে ভেজে নিলাম। |
এই ধাপে পেঁয়াজ কুচি ভাঁজারজার মধ্যে আমরা মসলাগুলো দিয়ে দিব। শুরুতেই হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুড়া, রসুন বাটা এবং লবন দিয়ে পুরো মিশ্রণটা ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম। একটু সময় নিয়ে মসলাগুলো ভালোভাবে কষাতে হবে। সত্যি বলতে এই মসলা কষানো উপরেই রান্নার স্বাদ অনেকটা নির্ভর করে। |

এই ধাপে আমরা আমাদের কষানো মসলার মধ্যে মাছ গুলো দিয়ে আবার মাছসহ ভালোভাবে কষিয়ে নেব। এভাবে মাছগুলো কষিয়ে নিলে মাছের স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই আমরা সবসময়ই মাছ মশলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নেই। মাছ কষানো হলে এবার মাছগুলো একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম। |

এখন মসলা কষানো মধ্যে প্রথমেই শিমের বিচি দিয়ে দিলাম। এরপর আগে থেকে টুকরো করে রাখা টমেটোগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। |

এবার শিমের বিচি এবং টমেটোগুলো কিছুক্ষণ মসলার মিশ্রণের সাথে নাড়াচাড়া করলাম। এরপর কিছুটা পানি দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিলাম। |

এবার শিমের বিচি গুলো মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে এলে আমরা মাছ গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণমতো ঝোল দিয়ে আরও ১৫ মিনিট রান্না করলাম। ব্যাস আমাদের রান্না শেষ। এবার পরিবেশন এর পালা।





আহ্ এককথায় অতুলনীয় স্বাদের খাবার 😋 একেবারে কব্জি ডুবিয়ে খেলাম আলহামদুলিল্লাহ। ভীষন স্বাদের খাবার এটি। বিশেষ করে টমেটো দেওয়াতে আরো স্বাদটা বেড়ে গেছে। আপনারাও চাইলে আমার দেখানো রেসিপি অনুযায়ী খুব সহজেই এই চমৎকার রান্নাটি করতে পারেন। আশা করি আমার আজকের রান্নাটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিলাম। |
বিষয়বস্তু | শিমের বিচির খাইস্যা রান্না 😋 |
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | সংযুক্তি |
✨ আমি @emranhasan ✨
💠 আমি আমার মতো 💠


শিমের বিচির খাইসা রেসিপিটি কখনো খাওয়া হয়নি।অনেক ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। টমেটো এবং মাছ দিয়ে রেসিপিটা অনেক সুন্দর ভাবে বানিয়েছেন। বানানোর পদ্ধতি গুলো অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।আপনার পোস্টের মার্ক টাউন অনেক সুন্দর ছিল ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আমি সবসময়ই চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার।
আশাকরি পরবর্তী পোস্টে আপনাকে পাবো।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1520808204703498240?t=7uVANoZucqt2yYG3PZMWLg&s=19
আমি কখনো এইভাবে খাই নাই কিন্তু শিম খেয়েছি শিমের বিচি খেতে বেশ ভালো লাগে। ভাজি করে। এটা একদমই নতুন লাগলো।আপনি ঠিক বলেছেন টমেটো এবং মাছের সংমিশ্রণে রান্না সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। দারুণ দক্ষতায় প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এবং আপনার রান্নার হাত আমার বরাবরই বেশ ভালো লাগে শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ তোমাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য ♥️
সত্যি বলতে এভাবে যদি একবার খাও তবে বারবার খেতে চাইবে 😋
ভীষণ স্বাদের খাবার এটি 😋
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
নাম এবং রেসিপি দুটোই নতুন । কখনও খাই তো ভাই । অনেক শিমের বিচি নিয়েছেন দেখছি। কি বলবো। না খেয়ে বোঝা যাবে না এটা কেমন খেতে। তবে রেসপিটির নতুনত্ব আছে। আপনার লেখা গুলো ছোট মনে হয় কেন জানি না। যাই হোক একটু কষ্ট হলেও পড়ার চেষ্টা করেছি। টমেটো দিয়ে যে কোন কিছু রান্না করলে স্বাদ হয়। ভাল ছিল ধন্যবাদ।
জি ভাই একবার খেয়ে দেখবেন। ভীষণ স্বাদের খাবার এটি 😋
জি ভাই এই স্টাইলে আমি সবসময়ই লিখি। এটা নতুন নয়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শিমের বিচির খাইস্যা রান্না প্রথম নাম শুনলাম এটার এমন রেসিপি আগে কখুনো দেখিনি আসলে আমার বাংলা ব্লগ মানেই হলো নতুন নতুন কাজ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀
আসলে চেষ্টা করছি ভালো কিছু আপনাদের উপহার দিতে।
আশাকরি ভালো লেগেছে রেসিপি।
নাম শুনে তো আমি অবাগ হয়ে গেলাম, এই নামে কখনো খাওয়া হয় নায়।তবে রেসিপির ছবি গুলো দেখে বুঝতে বাকি নাই এর স্বাদ অনেক ভালো ছিল।একবার বানিয়ে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য
একবার খেয়ে দেখুন ভীষণ স্বাদের খাবার 😋
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ♥️
শিমের বিচি ও মাছ দিয়ে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। কালার টা দেখতে এত লোভনীয় লাগছে যে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। দারুন রান্না করেছেন আপনি ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🥀
খাবারটা বেশ স্বাদের ছিল।
ভাইয়া এই অফ সিজনে শিমের বিচি কোথায় পেলেন। যাই হোক যেখানে পান না কেন শিমের বিচি দিয়ে আপনি দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি আমার কাছে সম্পূর্ণ ইউনিক লেগেছে। কেননা এমন রেসিপি আমি কখনো দেখিনি আজই প্রথম। আর আপনার রেসিপির স্বাদ সম্পর্কে আর কি বলব। আপনার রেসিপি সব সময় স্বাদে ভরপুর। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে শিমের বিচি ফ্রিজে আমাদের অনেক দিন থাকে। আমরা মাঝে মাঝেই বের করে খাই।
এজন্য চিন্তা করলাম রেসিপিটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেই। তাই আজ পোস্ট করলাম 🤗
ভাইয়া নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় আমরা এটিকে খাইস্যারা বলি। সিমের বিচির এর রেসিপিটি আমার অনেক পছন্দের। খেতে দারুন লাগে এর রেসিপি। আপনার রেসিপিটি ও খুবই লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য।
শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জি এটাকে খাইস্যা আর খাইস্যারা দুটোই বলে।
এটা অনেক স্বাদের খাবার 😋
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য 🥀