মেষ্টা পাতা বা টক পাতার অসাধারণ ভর্তা রেসিপি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য বন্ধুরা।
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোস্টের বিষয় হলো মেষ্টা পাতার অসাধারণ ভর্তা রেসিপি। আমরা সবাই কমবেশি টক পছন্দ করি এবং ঝাল টক এই ভর্তাটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আর সেই জন্যই আমি আজকে আপনাদের সামনে টক ভর্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের টক পাতা পাওয়া যায়। আর এগুলোর মধ্যে একটি হলো মেষ্টা পাতা। মেষ্টা গাছের মেষ্টা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করা যায়। সব থেকে বেশি যেটা খাওয়া হয় সেটা হলো বিভিন্ন রকম মাছ দিয়ে মেষ্টার টক। আমার কাছে মেষ্টার টক থেকে মেষ্টা পাতার ভর্তা বেশি ভালো লাগে। মেষ্টা পাতার ভর্তা খেলে রুচি বাড়ে। যারা কম ভাত খায় তারা এই ভর্তা পেলে পেট ভরে ভাত খেতে পারবো।
বাংলাদেশে এটি একটি অপ্রচলিত ফল। বিভিন্ন এলাকায় এই পাতার বিভিন্ন নাম জানা যায়। যেমন চুকুরি, চুপুরি, চুকোর, চুপড়, চুকা, চুক্কি, চুই ফল, মেস্তা বা টক ফল। যে এলাকায় যে নামেই ডাকা হয় না কেন...জিনিষ কিন্তু একটাই। টক স্বাদের কারণে, জেলি বা আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এটি। এছাড়া কোন কোন জাগায় টক বা খাট্টা রান্না করেও খাওয়া হয়। চুকাই অনেক দেশে সবজি হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। যায়হোক চলুন এবার বিস্তারিত আলোচনার দিকে যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- ম্যাচটা পাতা পরিমাণ মত
- কাঁচামরিচ তিনটি
- রসুনের কোয়া দুটি
- শুকনা মরিচ পাশ থেকে ছয়টি
- লবণ পরিমাণ মতো
- সরিষার তেল পরিমাণ মতো
- সয়াবিন তেল পরিমাণ মতো
প্রথম ধাপ-
প্রথম পর্যায়ে আমি অল্প পরিমানে সয়াবিন তেল কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গরম করে নিয়েছি। গরম তেলে শুকনা মরিচ, রসুন এবং কাঁচামরিচ গুলো ভেজে নিয়েছি। এই উপকরন গুলে ভেজে নিলে ভর্তার স্বাদ অনেক গুনে বেড়ে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ-
এই পর্যায়ে ভেজে রাখা উপকরণ গুলো নামিয়ে পেঁয়াজ কুচি গুলো ছেড়ে দিলাম। পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা ব্রাউন কালার করে ভেজে নিয়েছি। মচমচে হলে ভেঙ্গে গুড়োঁ হয়ে যাবে। তখন পেঁয়াজ খুজে পাওয়া যাবে না।
তৃতীয় ধাপ-
এ পর্যায়ে পেঁয়াজগুলো উঠিয়ে নিলাম। তারপর মেষ্টা পাতাগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। পাতা গুলো হালকা টেলে নিয়েছি। কোন পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পাতা থেকে এমনিতেই পানি উঠে।
চতুর্থ ধাপ-
তারপর টেলে রাখা কাঁচামরিচ টক পাতা এবং রসুনগুলো শিলপাটায় একসাথে বেটে নিলাম। আমার কাছে ব্লেন্ডার ছিল না তাই শিলপাটা দিয়েই করে নিয়েছি। আর ব্লেন্ডারের থাকলেও শিলপাটায় ভর্তা অনেক ভালো হয়। সুতরাং ভর্তার জন্য শিলপাটাকে চয়েজ করা বেটার মনে করি।
পঞ্চম ধাপ-
তারপর ভেজে উপকরন গুলো এবং বেটে রাখা সবগুলো উপকরণ একটি প্লেটে রেখে ছবি নিলাম। আমার কাজ প্রায় ৭০% শেষ হয়ে গেছে। এখন মূল কাজ করতে হবে।
ষষ্ট ধাপ-
এটাই শেষ পর্যায় এ পর্যায়ে সবগুলো উপকরণ একসাথে ভাল করে মিক্স করে নিলাম। হাত দিয়ে মিক্স করলে মজাটা বেশি পাওয়া যাবে। প্রযুক্তি যতই থাকুক হাত লাগবেই। কারন প্রযুক্তির জিনিষ মজা হয় না।
উপস্থাপনা
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার আজকের রেসিপিটা কেমন হলো অবশ্যই কেমন্ট করে জানাবেন। আপনাদের ভালো লাগলেই পরের রেসিপি করতে আগ্রহ পাবো। বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ।
পটোগ্রাফির বিবরণ-
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| মডেল | রেডমি নোট-৮ |
| স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
















Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মেস্টা পাতা বা টক পাতা দিয়ে এরকম ভর্তা রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। এই রেসিপিটা আজকে সর্বপ্রথম দেখতে পেলাম। তবে আমার তো মনে হচ্ছে এটা অনেক বেশি মজাদার এবং সুস্বাদু। নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। আমার কাছে এরকম ভর্তা রেসিপি পান্তা ভাতের সাথে অথবা, একেবারে গরম গরম ভাতের সাথে খেতে খেতে অনেক ভালো লাগে।
জ্বী আপু এই ভর্তাটা আমি অনেক মজা করে খেয়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল। আপনি এই ভর্তাটা প্রথম দেখেছেন শুনে আমি অনেক অবাক হলাম। আপু এ ভর্তাটা গরম ভাতের সাথে খেলে অসাধারণ লাগে । ধন্যবাদ আপু।
এরকম ভর্তা রেসিপি আমি কখনো দেখিনি এবং এইরকম রেসিপি সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই নেই। আজকে আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি ভর্তা রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আর আপনি খুবই ভালোভাবে এর ধাপ শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
ম্যাচটা পাতার এই ভর্তাটা অনেক প্রাচীন থেকেই চলে আসছে। এটা অনেক প্রাচীন রেসিপি। যাইহোক আমারে পোস্ট থেকে নতুনভাবে চিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মেষ্টা পাতার ভর্তার নাম আজকে প্রথম বার শুনলাম আমি। আসলে এই রেসিপিটা খাওয়া তো দূরের কথা এটির নামও কখনো শুনিনি। তবে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখে আমার মনে হচ্ছে এটা অনেক সুস্বাদু হবে। আর এটার মধ্যে ভিন্ন একটা টেস্ট হবে নিশ্চয়ই। ইউনিক এবং মজাদার একটা ভর্তা রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে হাজির হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া এটা আপনার কাছে যেমন সুস্বাদু মনে হচ্ছে আসলে এটা অনেক সুস্বাদু। এই ভর্তাটা ঝালের পাশাপাশি টক টক লাগে। গরম ভাতের সাথে খেলে প্লেটের ভাত খালি হয়ে যায়। আপনারাও খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরা এই পাতাগুলোকে খাট্টা পাতা বলে থাকি। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে মেষ্টা পাতা দিয়ে ভর্তা রেসিপি করেছেন। যদি এই ধরনের ভর্তা মধ্যে এই পাতাগুলো ব্যবহার করা হয় খেতে অনেক মজাই লাগে। সত্যি বলতে আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া ম্যাচটা পাতাকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। জ্বী ভাইয়া এই ভর্তাটা করতে ম্যাচটা ইউজ না করে ম্যাচটা পাতাটা কে ইউজ করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কিন্তু মেষ্টা পাতা আমি চিনি না ।এর আগে আমি এই পাতার নাম শুনিনি। তবে যাই হোক রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারা ম্যাচটা পাতা চিনেন না জেনে আমি আসলে অনেক অবাক হচ্ছি।।যাই হোক এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেকোনো ধরনের ভর্তাই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা।টক পাতা দিয়ে তৈরি করা কোন রেসিপি খাওয়া হয়নি। শুনেছি ছোট মাছের সাথে টক পাতা রান্না করলে খেতে ভীষণ মজার হয়। খুব শীঘ্রই টক পাতার ভর্তা রেসিপি তৈরি করব ইনশাআল্লাহ। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু আপনি ঠিকই বলেছেন টক পাতার সাথে ছোট মাছের তরকারি অনেক সুস্বাদু হয়। অবশ্যই খুব শীঘ্রই আপনি টক পাতার ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।