শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ২৬
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
ওরা জামাই বউ যে কী বাজেভাবে ঝগড়া করে!' কথাটা বলেই রুমি আপু নিশির আম্মুর দিকে তাকাল। নিশির আম্মু ও নিশি গিয়েছিল রুমি আপুর বাসায়। নিশিদের পরিবারের অন্য সবার থেকে এই আপুটা একেবারে আলাদা৷ দ্বীন মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা আপুর। বাচ্চাদের হিফজ করাচ্ছে। অসম্ভব গুণী একজন মানুষ, কিন্তু আপুর মুখে এমন কথাতে খুব বিব্রত বোধ করল নিশি। বিনয়ের সাথে বলল, ‘শুধু শুধু গিবত করে কী হবে। চলো আমরা অন্য টপিকে কথা বলি।' সাথে সাথেই রুমি আপু বলল, ‘না গিবত না।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
ওরা এটা এটা করেছে, ভাবা যায় বলো।”
‘গিবত' শব্দটা আমাদের কাছে একেবারে ডালভাত হয়ে গিয়েছে। খুব আয়েশ করে বসে তৃপ্তি করেই আমরা আমাদের মৃত ভাইয়ের গোসত খাই। নিজেদের তো কোনো খবরই থাকে না, বরং যখন কেউ মনে করিয়ে দেয় তখনও অবলীলায় বলি, ‘না না, গিবত না৷ আমি এ জন্য এটা বলছি।' গিবতের নতুন নামকরণ করা হয় gossip. ফেবুতে ইদানীং কিছু গ্রুপও দেখা যায়, যেখানে সবাই অবলীলায় গিবত করে যাচ্ছে নতুন নামকরণের আড়ালে। গিবতকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তা গিবতই। চুপচাপ চেয়ারে বসেই এসব ভাবছিল নিশি।
আপুর কথাতেই ভাবনায় ছেদ পড়ল। ‘বুঝতে পেরেছ ওরা কী করে।' এটুকু বলে নিশির গায়ে একটা হালকা খোঁচা মারল আপু। নিশি কিছুটা আঁতকে উঠে বলল, ‘কিহ! না ইয়ে, মানে খেয়াল করিনি।' নিশির কথায় কিছুটা হেসে উঠল আপু। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আম্মুর দিকে ফিরে বলল, ‘দেখেছেন মামি, এই মেয়েকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।' আম্মু আর আপু দুজনই শব্দ করে হেসে দিলেন। নিশিও ঠোঁটের কোণে হালকা মুচকি হাসি ধরে রাখল। হাসতে হাসতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ‘আআআল্লাহ’ বলে একটা টান দেওয়া আপুর প্রাচীন স্বভাব। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না৷ টানটা দিয়েই আপু নিশির উদ্দেশে বলল, ‘চা খাবে?” ‘না না, এখন উঠি। আম্মুর কথা শেষ হওয়ার আগেই নিশি বলে উঠল, ‘এটা কোনো প্রশ্ন হলো আপু? জিজ্ঞেস করো কয় কাপ খাবে?' নিশির উত্তরে আবারও হাসি ছড়িয়ে গেল সবার ঠোঁটে।
আপুর বড় ছেলে রাফির হিফজের গল্প বলতে লাগল আপু। কত কষ্ট কত শ্রমের পর এখন ছেলেটার হিফজ শেষ হয়েছে, তারই ফিরিস্তি শুনছে নিশি আর নিশির আম্মু। নিশি মনে মনে গিবত নিয়ে একটা লম্বা চওড়া ভাষণ তৈরি করে ফেলল। সুযোগ বুঝেই উগড়ে দেবে। পরক্ষণেই মনে হলো, নাহ, লম্বা চওড়া লেকচার উগড়ে দিয়ে আসলে কোনো লাভ হবে না। মানুষকে সরাসরি ভুল ধরিয়ে দিলে তা খুব কম মানুষই মেনে নিতে পারে। আপু সেই কম মানুষদের একজন না। তার চেয়ে অন্য কোনো কৌশল করে ব্যাপারটা বুঝাতে হবে।
নিশি মনে মনে আল্লাহর সাথে কথা বলতে শুরু করে দিল,‘রাববুল আলামিন, মালিক আমার। ও গো আমার অন্তরের মালিক। তুমি তো আমার নিয়ত জানোই। আমাকে একটু সাহায্য করো প্লিইইইজ৷' বলতেই বিদ্যুৎ গতিতে একটা আইডিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসল নিশির মস্তিষ্কে। আর একটুও না ভেবেই নিশি বলল, ‘আপু। তুমি কী গত জুমআর হালাকায় গিয়েছিলে?' 'হ্যাঁ, গিয়েছিলাম তো। সেদিন তো রাফির ক্লাস ছিল আর বৃষ্টিও প্রচুর। ফুটন্ত পানিতে চা পাতা ছেড়ে দিতে দিতে আবার সেই একই গল্পের পুনরাবৃত্তি শুরু হল। ফাঁক বুঝে নিশি আবার বলল, 'আচ্ছা। ওইদিন হালাকাতে কী হয়েছিল? তোমার মনে আছে?'
‘আছে তো, তাফসির করা হয়েছিল। কিছু হাদিস। আর তারপর আলোচনা।’ ‘হ্যাঁ। এসব তো সব সময়ই হয়। সেদিন যে আলোচনা হয়েছিল সেগুলো আমাকে একটু বুঝিয়ে দিতে পারবে, আপু?'
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
‘অন্যদিন বুঝে নিস। আজ চল তো।' আম্মু আদেশের স্বরে বলল। সাথে সাথেই আপু বলল, ‘মামি, কী চল চল শুরু করলেন। আমি ওকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। বেশি সময় লাগবে না।' এটুকু বলে আপু নিশির দিকে ইশারা করে বলল, “নে চা হাতে নিয়ে রুমে চল। আমার সব মনে আছে। এখুনি বুঝিয়ে দিচ্ছি তোকে।’ ‘গিবত সম্পর্কে সুরা হুজরাতের ওই আয়াতটা তো জানিসই তুই' বলে ফোনের অ্যাপ থেকে ১২ নং আয়াতটা দেখিয়ে রুমি আপু বলল, “দেখ এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে' নিশি, খেয়াল কর এই আয়াতে – (ইউহিব্বু) শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে।' ‘- মানে কি, রুমি?' চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে জিজ্ঞেস করল আম্মু। ‘আম্মু, –– মানে হলো পছন্দ করা।' দ্রুত উত্তর দিয়ে দিল নিশি। ‘নারে, শুধু পছন্দ করা না। এখানে মানে বুঝানো হচ্ছে এই কাজটি খুব ভালোবেসে করা, মজা করে, উপভোগ করে করার কথা।’ ‘নিজের ভাইয়ের মৃত
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.221121461203149 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.