“অন্তরীপা”/ঃ আমার বাবার লেখা ভালোলাগার একটা কবিতা।
অন্তরীপা
-বাবু গোপাল চন্দ্র দাস
দেখেছো অন্তরীপা ফাগুনের অশান্ত বাতাসে
গৈবিক বর্ণা মেহগনির পাতা ঝরতে?
কোন মধ্যাহ্নের তপ্ত রুপালি রোদে
অথবা বিকেলের কমলা রাঙ্গা সূর্যের কিরণে।
কি আনন্দে, উৎসাহে দলে দলে।
ওরা একদম বুঝতে চেষ্টা করেনা গাছের নিঃসঙ্গতা
ঠিক অন্তরীপা তোমারি মত।
একদম কাছে ছিলাম বলেই বুঝতে চেষ্টা করনি
আমাার নিঃসঙ্গতা, আমার একাকিত্ব।
জান এটাই হয়, চিরন্তন রীতি।
শীতে বর্ষায়, কোন বর্ষণে অথবা বিদগ্ধ চৈত্রে
বলতে চায়নি সে কথা কোনদিন তোমাকে
এমন কি নিবিড় সান্নিধ্যে পেয়েও চেপে গেছি
কি হবে বিবর্ণ অতীত কে ঘেটে।
জানো অন্তরীপা, চোখের একটা সীমারেখা আছে
ওর একান্ত কাছে কোন ছবি বা লেখা ধরলে
বিবর্ণ হয়ে ওঠে, পড়া যায় না।
কিছু মনে করো না অন্তরীপা,
তোমার চোখের একান্ত সামনে ছিলাম বলেই
চিনতে পারোনি জানি, না পারারই কথা।
কাশবনের মত দূরে থাকলে
হয়তো তোমার চোখে অনেক ভালো থাকতাম।
আমার ভিতরে বাহিরে কোন কষ্ট নেই।
তুমি নিশ্চয় জানো, অনেক নক্ষত্রের আলো
এখনও পৃথিবীতে পৌঁছেনি-
তবু পৃথিবীর কোন ক্ষতি হয়নি
জানো অন্তরীপা, তুমি আমার সেই নক্ষত্রের আলো
যা আজও মাটির পৃথিবীকে স্পর্শ করেনি।
আর যদি সময় না হয়
পলাশের বুক বিদীর্ণ করে যদি সন্ধ্যা নেমে আসে
তাই একটি কথা বলে চলে যাচ্ছি অন্তরীপা।
চোখের নোনা জলের স্বাদ পেয়েছো কি কোনদিন?
ওতে শুধু বুকই ভাসে তৃষ্ণা মেটে না।
একটি নীল বেদনা ওকে আবৃত করে রাখে
খুবই ভাল লাগল পড়ে। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় এমন সুন্দর কবিতা সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আরও কিছু কবিতা প্রকাশের অপেক্ষায় থাকলাম।
এমনি অসংখ্য কবিতা রয়েছে বাবুর লেখা। সাথে কিছু ছোট গল্পও আছে। আপনাদের মত ভালো পাঠক শ্রেণীর কাছে সেই লেখা যাওয়া উচিত। ধন্যবাদ পাশে থাকবার জন্য ।
Wow..beautiful writing
Thanks for inspiration. Stay in touch and hope you will get more like this. Every credit goes to God and my left beloved father.
yeah