আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 77
তারা। মেঘ জমেছে। কাল সে যাবেই। যেভাবে ওরা চাইবে সেই ভাবে অভিনয় করার চেষ্টা করবে। তার কাজ চাই। একটা ভদ্রজনোচিত কাজ। এইসময় মা ঘরে এল এক গ্লাস দুধ হাতে নিয়ে। বলল, 'এটা খেয়ে নে।'
দুধ খাওয়ার ইচ্ছে বিন্দুমাত্র ছিল না তিতিরের। জিজ্ঞাসা করল, 'হঠাৎ দুধ নিয়ে এলে কেন?' মা বলল, 'গোটা রাত না খেয়ে থাকা ঠিক নয়।'
'আমার এখন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না।
'মাথা গরম করিস না। রাগ করে না খাওয়ার কোনও মানে হয় না। এতে নিজেকেই কষ্ট দেওয়া হয়। নে, ধর।' মা গ্লাসটা এগিয়ে ধরতে না নিয়ে পারল না তিতির, 'তুমি দাদা-বউদিকে বলেছ আমার জন্যে ছেলে খুঁজতে।'
'বাড়িতে আলোচনা হলে সবই শোনে। তা ছাড়া দাদা হিসেবে ওর তো তোর জন্যে একটা কর্তব্য আছে।' মা হাসল।
কয়েক ঢোকে দুধটা শেষ করল তিতির। সেই ছেলেবেলা থেকেই দুধ খাওয়ার সময় ওষুধ খাওয়ার কথা মনে আসে। গ্লাসটা ফিরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, 'তুমি কি চাও আমি ওদের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করি?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'শোন, বিয়ে কর বলতেই তো তুই বিয়ে করছিস না। আগে খোঁজখবর নেওয়া যাক, বংশটা কেমন দেখি!'
'বাঃ, তুমি খাওয়ার টেবিলে বসে বললে আজকাল বাইরে থেকে কোনও ছেলের স্বভাব চরিত্র
বোঝা যায় না।
'তা তো ঠিকই।'
'তা ছাড়া তুমি কি চাইছ এখন বিয়ে করে দশটা টাকার জন্যে আমি একটা অচেনা লোকের কাছে হাত পাতব?' প্রশ্নটা করেই তিতির দেখল মায়ের ঠোঁট মুষড়ে উঠল। কোনও কথা না বলে মা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
রাত্রে ঘুম আসছিল না। আগে মেয়েদের বিয়ে হত চোদ্দো থেকে সতেরোর মধ্যে। আঠারো হয়ে গেলে আইবুড়ো শব্দ খাঁ খাঁ করে উঠত। সংসারের কাজ শিখিয়ে সেই মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। শ্বাশুড়ি পেত একটা সরস মেয়েকে যাকে নিজের ইচ্ছেমতো কাজে লাগানো যায় আর স্বামী পেত আত্মসমর্পণ করা এক নারী-শরীর যার কোনও ইচ্ছে অনিচ্ছে জানাবার ক্ষমতা নেই। এই অবস্থায় দু'-তিনটে বাচ্চা হয়ে যেত। স্বামীর সঙ্গে প্রেম করার, তাকে বন্ধু হিসেবে ভাবার কোনও সুযোগই মেয়েটি পেত না।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
পরে হয়তো সে সব পেত, সংসারের ওপর কর্তৃত্ব, স্বামীকে কথা শোনানোর অধিকার, ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু বন্ধুত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হত। এখন তো আর অত অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। তেইশ থেকে তিরিশের মধ্যে চলে এসেছে বিয়ের বয়স। পছন্দটা যদি অভিভাবকদের হয় তা হলে ফুলশয্যার রাত্রে তো স্বামী মাত্র দু'রাতের পরিচিত মানুষ। যার সঙ্গে কোনও বন্ধুত্ব তৈরির সুযোগ হয়নি, যার সম্পর্কে বিশদ জানার অবকাশ হয়নি সেই মানুষটা ফুলশয্যার রাত্রে স্বামীর অধিকার নিয়ে যখন জড়িয়ে ধরে তখন আজকের মেয়েরা মেনে নেয় কী করে? সেই রাত্রেই তাকে মগ্ন হতে হয় স্বামীর আনন্দের জন্যে? নাকি এখন একটি পঁচিশ বছরের মেয়ে মুখিয়ে থাকে ওই রাতটার জন্যে। বাবা-মা তাকে বৈধ একটি পুরুষ এনে দেবে যার সঙ্গে সে শরীরের আনন্দ উপভোগ করবে বলে গত এক যুগ ধরে কল্পনা করে এসেছে। হয়তো তাকে দেখতে এসেছে দশজন পুরুষ। একজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। বাকি ন'জনের যে কোনও একজনই তো তার স্বামী হতে পারত। তা হলে মগ্ন হওয়ার ব্যাপারে তার কোনও স্বাধীনতা নেই অথবা একটি পুরুষমানুষ পেলেই সে বর্তে যাচ্ছে।
তিতির শিউরে উঠল। তার বন্ধ চোখের পাতায় পিলপিল করছে পিঁপড়ের ছবি। এইসব পিঁপড়েরা তাকে যেন চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে। সে ঝটপটিয়ে উঠে বসল। বিভাসদা আজ অফিসে নেই। সেই পিওন ছেলেটি বলল, 'আপনি তো আজ অশোকদার কাছে এসেছেন। চলুন, ওখানে চলুন।'
'উনি এসেছেন।'
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি যে লিখছেন, সে অনুভূতিমাত্রা চর্চাকে উজ্জীবিত করে। এটা আপনির শিল্পের নাও হয় সত্যিই খুব ভাল। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ! 😊👏
I also gave you a 0.22% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉
Help Us Secure the Blockchain for You
Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:
Get Involved
আল্লাহ তোমাকে ধন্যবাদ। এই লিখা অনেক ভালো ছিলো। জরিয়ে ফেলা সত্যগুলোকে পচারাম দেখে, এই ধন্যবাদ নিতে হলো।