আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 73

আসসালামুআলাইকুম

ভদ্রমানুষ। এখানকার আবহাওয়া ভাল, কারও কোন অহংকার নেই। এখানে কাজ করতে আমার বেশি ভাল লাগবে।'
কথা বলতে বলতে ওরা রাস্তায় নেমে এসেছিল। সুবর্ণার হঠাৎ খেয়াল হল, 'কীরে? কাল একা আসতে পারবি কি না বললি না?'
'একা কেন আসতে পারব না। তবে ভাবছি আসব না।'
'সে কী? কেন?'
'উনি ঠিক কী চাইছেন আমি বুঝতে পারছি না। কাল এলে আজকের চেয়ে অন্যরকমভাবে সংলাপ বলতে আমি পারব না।' তিতির বলল।
'তোকে দেখিয়ে দেয়নি?'
'মুখে বলেছেন গলা তুলতে এবং আবেগ আনতে।'
'তাই করবি করবি।' সুবর্ণা বলল, 'তুই ওকে বলবি কীভাবে বলব দেখিয়ে দিন। তাই অনুসরণ করবি।' ও যেভাবে বলবে
'খারাপ লাগলেও করতে হবে?'

1724562223639.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'শোন, এখানে পরিচালক যা ভাববেন তাই করাটাই নিয়ম। এক এক সিরিয়ালে এক একজন পরিচালকের মর্জিমতো আমাদের চলতে হয়। নইলে বদনাম রটানো হবে এই বলে যে, অমুক আর্টিস্ট ডিরেক্টরকে ফ্লোরে মানে না। বড় শিল্পীদের যে স্বাধীনতা আছে আমাদের তা নেই। অশোকদা এতদিন সহকারী পরিচালক ছিল। ও টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো খুব ভাল বোঝে। কিন্তু কিছু করার নেই।'
'আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না।' তিতির বলল।
'ঢোকাবার কোনও দরকার নেই। কাল এসে দেখা করিস।'
তিতিরদের বাড়ির আবহাওয়া সবসময় ভালই থাকে। দাদা ভাল চাকরি করেন। বাবা এখনও প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছেন। সংসারের সমস্ত কর্তৃত্ব মা নিজের হাতে না রেখে বউদিকেও অনেকটা দেওয়ায় তার কোনও ক্ষোভ আছে বলে বোঝা যায় না। দাদার বিয়ের আগে ক'দিন একটু থমধরা অবস্থা ছিল। দাদা পছন্দ করেছিল, সম্ভবত ভালওবেসেছিল বিয়ের আগেই। সম্ভবত, কারণ ব্যাপারটা দাদা বলেনি। দাদার এক বন্ধু এসে মাকে বলেছিল বউদির কথা। বলেছিল, দাদা তাকে একবার দেখেই পছন্দ করে ফেলেছে। বউদি স্বজাতের মেয়ে নয় বলে কিছুটা অস্বস্তি ছিল বাবার, কিন্তু মা সেটাকে উড়িয়ে দিয়েছিল। তখনই আত্মীয়স্বজনরা এ ব্যাপারে কথা বলাবলি করায় মায়ের মন খারাপ হয়েছিল। মায়ের মন খারাপ কি না বাড়ির আবহাওয়া দেখলেই বোঝা যায়।

1724562223683.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

বিয়ের পর একটু একটু করে প্রকাশিত হয়, দাদা বউদি দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে এসেছে। তখন এ নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামায়নি। একরাতে ওরা ছাদে গিয়েছিল গল্প করতে। মা তিতিরকে পাঠিয়েছিল ডেকে আনতে, রাত্রের খাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে বলে। ছাদে উঠতেই বউদির গলা কানে এসেছিল, 'কেন বলব না? বিয়ের আগে দিনের পর দিন আমার দেখা পাওয়ার জন্য হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে, আর এখন? একটুও সময় দাও আমাকে? বিয়ের পর আমার প্রয়োজন তোমার কাছে ফুরিয়ে গিয়েছে।'
তিতির খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল এই কথাগুলো শুনে। পা টিপে টিপে নীচে নেমে এসেছিল। মা জিজ্ঞাসা করেছিল, 'বলেছিস?'
মাথা নেড়েছিল তিতির, 'না।'
'কেন?'
'ওদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে।'
মায়ের মুখটা কীরকম হয়ে গেল, 'কী শুনেছিস?'
তিতির বলেছিল, 'দাদা বউদির কথা রাখে না, তাই নিয়ে।'
মা একটু সহজ হল, 'ছেলেরা এইরকমই হয়। তোর বাবা আমার সব কথা রেখেছে? এখন ঝগড়া করছে, পরে আর করবে না। ছাদে যেতে হবে না, সিঁড়ির মুখ থেকে চেঁচিয়ে বল নীচে আসতে।'
তাই করেছিল তিতির। পাঁচ মিনিট বাদে সবাই যখন টেবিলে খেতে বসেছিল তখন খুব অবাক হয়ে গিয়েছিল তিতির। বউদির মুখে একটুও মেঘ নেই। বউ হয়ে এ বাড়িতে আসার পর বউদি বাবা..............

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

What a delightful story! 😊 I loved how Titir's innocent observation about his parents' behavior after marriage was so perceptive and humorous. The way he described their relationship as "কোনো ব্যাপার নেই, আর দিন হাঁ করে চালিয়ে যাওয়া" (no issues, just happily going about their day) was so relatable and sweet. It's a lovely reminder that even in marriage, there can be love and harmony! 💕

I also gave you a 0.22% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉

Help Us Secure the Blockchain for You

Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:

Get Involved

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
SBD 2.55