আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 66

আসসালামুআলাইকুম

সুবর্ণা বলেছিল, 'কাল দুপুর দুটোর সময় ভারতী সিনেমার সামনে চলে আয়, ওখান থেকে আমরা ওদের অফিসে যাব।'
তিতির মাথা নেড়েছিল। ওরা কথা বলছিল কালীঘাট পাতালরেলের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে। ঠিক তখনই দমদমমুখী ট্রেন এসে যাওয়ায় সুবর্ণা ছুটল। ও চলে যাওয়া মাত্র এক ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল, 'আচ্ছা, উনি, টিভি সিরিয়াল করেন, না।'
তিতির মাথা নাড়ল, তারপর সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে এল। সাধারণত পাতালরেলে তিতির ওঠে না। বউবাজার থেকে রাসবিহারীর বাসের ভাড়া পাতালরেলে টিকিটের অর্ধেক। পাঁচশো টাকার টিউশনির জন্য পাতালরেলে চড়া প্রায় বিলাসিতা।
আজ বাসস্টপে এসে দেখল, বেশ ভিড়। শুনল অনেকক্ষণ বাস আসছে না। কোথাও অ্যাকসিডেন্ট হওয়ায় পাবলিক বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই সে মাটির নীচে নেমেছিল। যে রাস্তায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট লাগে তা চলে এসেছিল দশ মিনিটে। কালীঘাটের প্ল্যাটফর্মে নামতেই সুবর্ণার সঙ্গে দেখা। সুবর্ণা আর তিতির বেথুনের ছাত্রী ছিল । সে সময় বন্ধুত্বও ছিল খুব। কলেজ ছাড়ার পর আর যোগাযোগ ছিল না। তিতির এম এ পুড়েছে কিন্তু সুবর্ণা ও-পথ মাড়ায়নি।

1724386793822.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

তারপর হঠাৎ সে সুবর্ণাকে দেখতে পেল টিভির পরদায়। রোজ দুপুরে পরপর যেসব মেগা বাংলা সিরিয়াল হয় তার তিনটেতেই প্রায়ই ওকে দেখা যায় অভিনয় করতে। অভিজাত বাড়ির বউ, গরিব বাড়ির মেয়ে কী না করে। দুপুরবেলায় এসবের দর্শক বাড়ির মহিলারা। টিভির পরদায়
সুবর্ণাকে দেখে প্রথমে মা চিৎকার করে ডেকেছিল, 'অ্যাই তাড়াতাড়ি আয়, তোর বন্ধু সুবর্ণা না?' এম এ পাশ করেছে মাস ছয়েক হল। কিন্তু চাকরি নেই। দরখাস্তের পর দরখাস্ত পাঠিয়ে চলছে তিতির। এখন বি এড পড়তে বলছে কেউ কেউ। বাবার ইচ্ছা মেয়ের বিয়ে দেবেন। খবরের কাগজে
বিজ্ঞাপন দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। তীব্র আপত্তি করেছে তিতির। নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে সে বিয়ে করবে না। বাবা হেসে বলেছিল, 'দেখছিস তো, আজ নিজের পায়ে দাঁড়ানো সহজ নয়।' টিউশনি শুরু করেছিল এম এ পড়ার সময়েই। নিজের খরচের জন্য হাত পাততে হত না
মায়ের কাছে। কিন্তু সব সময় একটা চাপের মধ্যে রয়েছে তিতির। সেই বিয়ে যদি করতে হয় তা
হলে এতদূর পড়াশোনা করার কী দরকার ছিল!

1724386793793.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

তিতির সুন্দরী। যদিও তার গায়ের রং চাপা কিন্তু শরীরের গড়নই তাকে সুন্দরী করেছে। দশটা মেয়ের মধ্যে থাকলে প্রথমেই ওর উপর নজর যাবে। সে সুন্দরী এবং গম্ভীর। এই গাম্ভীর্য বেশ কষ্ট করে আয়ত্ত করেছে তিতির। পথেঘাটে চলতে গেলে গাম্ভীর্য যে বর্মের মতো কাজ করে তা সে বুঝে গিয়েছে। মেয়েদের যারা একা পেলে বিরক্ত করে তারা ওর মুখের ভঙ্গি দেখে কাছে ঘেঁষতে চায় না। আজ ট্রেন থেকে নেমে সে যখন মুখ নিচু করে হাঁটছিল তখনই চিৎকারটা কানে এল, 'অ্যাই
তিতির, তি-তি-র।' সুবর্ণাকে দেখে সে অবাক। কী সুন্দর হয়েছে। একটু যেন লম্বাও। পরে খেয়াল হল ওর হিল
দেখে। কলেজে পড়ার সময় সুবর্ণা উঁচু হিল পড়ত না।
দু'হাত জড়িয়ে ধরে ধরে সুবর্ণা জিজ্ঞাসা করল, 'কেমন আছিস?'
এই তো।' তিতির হাসল।
'অদ্ভুত মেয়ে তুই। কোনও খোঁজখবর রাখিস না কেন?'
'তুই রাখিস? হেসে ফেলল সুবর্ণা, 'তোকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।'
'কথাটা আমি তোকেই বলতে যাচ্ছিলাম।'
'উঃ। কতদিন পরে দেখা। কী যে আনন্দ হচ্ছে।' সুবর্ণার মুখে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।
তিতির লক্ষ করল প্ল্যাটফর্মের অনেকেই তাদের দিকে তাকাচ্ছে। তাদের দিকে ঠিক নয়, সুবর্ণাই ওদের দেখার মানুষ।
'এই জানিস, আমি এখন টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করছি।' সুবর্ণা বলল।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

That's so cool! 🤩 I'm excited to hear that you're acting in a TV series! 😊 Congratulations on this achievement! 🎉 I'd love to know more about the show and your role in it. Are you going to share any updates or behind-the-scenes stories with us? 😄 Would love to chat more about it! 💬

I also gave you a 0.21% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉

Help Us Secure the Blockchain for You

Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:

Get Involved

ট্রেনে ভ্রমণ করতে আমার খুব ভালো লাগে। আগে কয়েকবার ট্রেনে ভ্রমন করেছি। এই গল্পে দেখলাম সুবর্ণা ও তিথি ও ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য পরিকল্পনা করেছে।।

সুন্দরী মেয়ের একটু অহংকারী হয়, তারা তাদের সৌন্দর্যের অহংকার দেখায়। আপনার লেখার গল্পের মধ্যে তিথির চরিত্রে ফুটে উঠেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64189.84
ETH 2796.72
USDT 1.00
SBD 2.65