আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 52

আসসালামুআলাইকুম

গেলো। ফেরিওয়ালারা মেঝেতে আর বসে থাকতে পারছিলো না। এ সময় কাপড়ওয়ালা (যার পরনে ওভারকোট ছিলো) অন্য দু'জনকে লক্ষ্য করে বললো- আমার গায়ে ওভারকোট আছে। আমার ঠান্ডা কম লাগছে। তোমাদের গায়ে তো কোনো গরম কাপড় নেই তোমাদের নিশ্চয়ই খুব ঠাণ্ডা লাগছে। যদি তোমাদের ঠান্ডা লাগে, তাহলে কিছু কাঠ নিয়ে এসে আগুন জ্বালাবার ব্যবস্থা করো। আগুন জ্বালালে ঘরের মেঝে গরম হবে। তোমাদের আর শীত লাগবে না। শুধু শুধু ক্যানো এরকমভাবে ঠাণ্ডা লাগাচ্ছো?

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

চিরুনিওয়ালা, কাপড়ওয়ালার চালাকি বুঝতে পারলো। কাপড়ওয়ালা কৌশলে তাকে দিয়ে কাঠ আনিয়ে নিতে চাচ্ছে। সে তখন বললো আমার পায়ে চামড়ার স্যান্ডেল রয়েছে। এই স্যান্ডেলের কারণে আমার শরীরের ওপরের অংশে ঠাণ্ডা আসতে পারছে না। দেখছো না গরমে কেমন ঘেমে যাচ্ছি। তাছাড়া আমি যতো ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারি। আমার মতো তোমরা কেউ তা পারবে না। তোমার পায়ে কোনো চামড়ার স্যান্ডেল নেই। তোমার জন্যে আমার কষ্ট হচ্ছে। ঠাণ্ডায় তুমি রীতিমতো কাঁপছো। তোমার উচিৎ কিছু কাঠ এনে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করা। কাপড়ওয়ালা নিজেকে রক্ষা করার জন্যে বললো- আমার গায়ে ওভারকোট আছে। ওভারকোটের জন্যে আমার খুব গরম লাগছে। আমার এতো গরম লাগছে যে, গরমে আমি ঘেমে যাচ্ছি। আমার ঘামের পানি মেঝেতে গড়িয়ে পড়ছে।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

তোমার অবস্থা দেখে আমার খারাপ লাগছে। তোমার উচিৎ কিছু কাঠ এনে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করা। এভাবে প্রত্যেকের দায়িত্ব এড়ানোর ফলে সরাইখানাতে কোনো জ্বালানি কাঠ এলো না। আগুনও জ্বললো না। ঘরও গরম হলো না। ভোর রাতে হাড় কাঁপানো শীত পড়তে লাগলো। ফেরিওয়ালারা ঘুমোতে পারলো না। তাদের ঠোঁট প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় যেনো জমে গেলো। কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেললো তারা। একে অন্যকে কাঠ আনার কথাও আর বলতে পারলো না। শেষ পর্যন্ত ঠাণ্ডায় তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

সরাইখানাতে মাঝে মাঝে একজন বৃদ্ধ শিকারি রাত কাটাতে আসতো। অনেক রাত পর্যন্ত শিকার শেষে আগুন জ্বালানোর জন্যে কাঠ নিয়ে সরাইখানাতে এসে উপস্থিত হলো সে। সরাইখানার ভেতরে ঢুকে বৃদ্ধ শিকারি প্রথমেই আগুন জ্বালালো। ধীরে ধীরে মেঝে গরম হতে লাগলো। ঘরও গরম হলো। গরমের তাপে ফেরিওয়ালাদেরও জ্ঞান ফিরে আসলো।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।