আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 34

আসসালামুআলাইকুম

সে অনেক দিন আগের কথা। কোরিয়াতে এক কুঁড়ে লোক বাস করতো। লোকটা কাজ করতে চাইতো না। আলসেমি করে সময় কাটাতো। আসলে সে চোর ছিলো। অন্যের জিনিসপত্র চুরি করতো আর সেগুলো বিক্রি করে নিজের খরচ চালাতো। একরাতে কোনো বাড়িতে চুরি করতে না পেরে, চোর লোকটা মনের দুঃখে আনমনে হাঁটতে হাঁটতে সদর রাস্তায় এসে পড়লো।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

ততক্ষণে ভোর হয়ে গেছে। রাস্তায় লোকজন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা শুরু করেছে। চোর লোকটা রাস্তায় চলাচলকারী লোকদের দিকে লক্ষ্য রেখে হাঁটছিলো। হঠাৎ সে দেখতে পেলো, একজন বালক হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে সতর্কতার সাথে হাঁটছে। হাতের ব্যাগটি সে পরম যত্ন আর সাবধানতার সাথে বহন করছে। চোর লোকটা ভাবলো ওই ব্যাগের মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো দামি বস্তু আছে। না হয় কোনো গুপ্তধন আছে। এটা ভেবেই সে ব্যাগের জিনিস চুরি করার উদ্দেশ্যে বালকটির পিছু নেবার সিদ্ধান্ত নিলো।

বালকটি ব্যাগ নিয়ে হাঁটছে, চোর লোকটিও তার পিছে পিছে হাঁটছে। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে বালকটি একটা নদীর তীরে এসে দাঁড়ালো। নদীতে পারাপারের জন্যে নৌকা ছিলো। বালকটি অন্যান্য যাত্রীদের সাথে নৌকায় উঠে বসলো। কিছুক্ষণের মধ্যে চোরটিও অপর পারে যাবার ভান করে নৌকায় উঠলো এবং নৌকার সামনের দিকে বসে পড়লো।

এক সময় মাঝি নৌকা ছেড়ে দিলো। খানিকটা পথ যাবার পর সে সবার কাছে ভাড়া চাইলো। অন্যান্যদের মতো চোরটিও তার ভাড়া মিটিয়ে দিলো। নৌকা পানির স্রোত কেটে এগিয়ে যাচ্ছে।

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

ইতোমধ্যে সূর্য ডুবতে বসেছে। ডুবন্ত সূর্যের রক্তিম আভা পানিতে লুকোচুরি খেলছে। কয়েকটা হাঁস ডুব দিয়ে মাছ ধরে খাচ্ছে। নৌকার আরোহীরা এসব দৃশ্য উপভোগ করছিলো। কিন্তু চোর লোকটির এসবের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিলো না। সে কেবল বালকের ব্যাগের দিকে তাকিয়ে ছিলো।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।