আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 145
স্টুডিয়োতে যাওয়ার সময় ট্যাক্সিতে বসে স্ক্রিন্ট পড়তে পড়তে তিতির দেখল তার অনেকটাই মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। নিজের মনে সে ডায়ালগ বলতে করছে, 'আমাকে কিছু বললেন দিদি?' গিয়ে চমকে উঠল, ট্যাক্সিড্রাইভার জিজ্ঞাসা
'না তো।' কাগজটা মুড়ে ফেলল ভিতির।
লোকটি অদ্ভুত চোখে তাকাল।
স্টুডিয়োতে ঢোকামাত্র বিশু এগিয়ে এল। 'কোনও অসুবিধে হয়নি তো আজ?'
'না।' তিতির হাসল।
'আপনি মেকআপরুমে যান, আমি জিনিসপত্র নিয়ে আসছি।'
'জিনিসপত্র? এই ব্যাগটাই তো, আমি নিতে পারব।'
'আপনি মেকআপবক্স কেনেননি।'
'না তো।'
'কিনে ফেলুন। সব অভিনেত্রীদের একটা করে মেকআপবক্স থাকে। যদি ভাল জিনিস চান তা হলে বলবেন, ফ্যান্সি মার্কেট থেকে এনে দেব। একেবারে বিলিতি জিনিস।' পকেট থেকে টাকা বের করে দিল বিশু। তিতির অনুমান করল প্রোডাকশন ম্যানেজার গোবিন্দ নিশ্চয়ই এই টাকাটা আগেই বিশুকে দিয়ে রেখেছিল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মেকআপরুমে ঢুকে তিতির দেখল কেউ সেখানে নেই। সে একটা চেয়ারে বসল। সামনে সুচিত্রা সেনের ছবি। ঘাড় ঘুরিয়ে কায়দা করে তাকিয়ে আছেন। মা বাবার যৌবনে ইনি ছিলেন দমবন্ধ করা নায়িকা। হ্যাঁ, সুন্দরী ছিলেন মহিলা। কিন্তু সহজ ছিলেন কি?
এইসময় জগুদা ঢুকলেন, 'এই যে, এসে গিয়েছ?'
তিতির হাসল, 'আচ্ছা, আপনি সুচিত্রা সেনকে দেখেছেন?'
'কেন দেখব না। কম বয়স তো হল না।'
'খুব সুন্দরী ছিলেন, না?'
জগুদা মাথা নাড়লেন, 'খু-উ-ব বলব না। ওর চেয়ে সুমিত্রাদেবী অনেক বেশি সুন্দরী ছিলেন। কিন্তু মেকআপ নেওয়ার পর যখন ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়াতেন তখন চোখ ফেরানো যেত না। নাও, এসে বসো।'
তিতির উঠে আয়নার সামনে চেয়ারে বসল। বসে জিজ্ঞাসা করল, 'আচ্ছা, আমার একটা
মেকআপবক্স কেনা দরকার, না?'
'কিনলে ভাল হয়। তোমার স্কিনে কোন কোম্পানির জিনিস ভাল স্যুট করবে তা জেনে নিয়ে সঙ্গে রাখাই ভাল। অন্যসব মেকআপম্যান যা ব্যবহার করে তা যে খুব ভাল আর দামি হবে একটা আসা কোরো না। তোমার মুখের চামড়া ভাল রাখা দরকার। তার জন্য বিদেশি মেটেরিয়াল কিনে রেখো।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আপনি একটা লিস্ট করে দেবেন?'
'নিশ্চয়ই দেব।' জগুদা তার পাশে এসে দাঁড়াতেই গলা শোনা গেল, 'এই মেকআপরুম
আমাকে শেয়ার করতে হবে?'
গোবিন্দর গলা শোনা গেল, 'হ্যাঁ, আপনারা দু'জন।'
'আর একজন কে?' বলতে বলতে যিনি দরজায় এসে দাঁড়ালেন তাঁকে আয়নায় দেখতে পেল তিতির। টাইট প্যান্ট, গেঞ্জি পরনে। চুলগুলো লালচে, চুড়ো করে বাঁধা। খুব ফরসা মহিলা মধ্যতিরিশের। প্রচুর সিনেমা টিভি সিরিয়ালে এঁকে দেখা যায়। জগুদা বললেন, 'এসো কঙ্কনা।'
'নিউকামার?'
'হ্যাঁ। এর নাম তিতির।'
'ইমপসিবল, গোবিন্দ, তুমি আমাকে একটা নিউকামারের সঙ্গে রুম শেয়ার করতে বলছ? কী
ভেবেছ তুমি?'
গোবিন্দ বলল, 'আপনি মিছিমিছি রাগ করছেন দিদি। ইনি খুব ভাল মেয়ে। বিভাসদার
আবিষ্কার। আমাদের সিরিয়ালের নায়িকা।' 'নায়িকা। আমাকে তুমি
তুমি নায়িকা দেখিয়ো না। এই লাইনে কত নায়িকা দেখলাম। • প্রোডিউসারের হাত ধরে আসে, আলো ফোটার আগেই ঝরে যায়। না, না, তুমি কোনও সিনিয়ার আর্টিস্টের সঙ্গে আমাকে দিতে তা হলে আমি মেনে নিতাম।' ছটফট করতে লাগলেন মহিলা।