আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 126
'পাঁচটা নাগাদ। গিয়ে দেখলাম তুমি নেই। এক ভদ্রলোক বললেন, অনেক আগেই বেরিয়ে গেছ।' সুবীর আবার বউয়ের দিকে তাকাল।
রঞ্জনা ভাবল খানিক। তারপর বলল, 'খুব প্রয়োজন না হলে আমার অফিসে তুমি যেয়ো না। গেলে আমার ভাল লাগবে না।'
ড্রাইভারের পাশে বসে আছে বিশু, পিছনে জামাকাপড়ের ব্যাগ নিয়ে তিতির। ট্যাক্সিটা ছুটে চলেছে টালিগঞ্জের দিকে। এখন সকাল সাড়ে সাতটা। কলকাতার সবে ঘুম ভেঙেছে, রাস্তাঘাট ফাঁকা।
বুকের ভিতরটা কীরকম করছিল তিতিরের। হৃৎপিণ্ড শব্দ করছে আর সেই শব্দ তার কানে পৌঁছে যাচ্ছে। খুব নার্ভাস লাগছিল। একেবারে অজানা অচেনা জগতে পা বাড়াতে যাচ্ছে সে। আজ ট্যাক্সিতে ওঠার আগে এরকমটা হয়নি তার। বাড়ি থেকে ট্যাক্সিতে উঠে মনে হয়েছিল বিশু যদি নির্দিষ্ট জায়গায় না থাকে তা হলে সে কী করবে? যখন দেখা গেল বিশু ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে আছে এবং তাকে দেখতে পেয়ে দাঁত বের করে হেসে সামনের দরজা খুলে উঠে বসে বলল, 'ঠিক টাইমে
এসেছেন দিদি', তখন স্বস্তি হওয়ার বদলে অস্বস্তিটা বাড়ল। তেমাথার মোড়ে এসে বিশু তাকে জানাল, 'ওই দিকে ইন্দ্রপুরী, সামনে দেখুন, উত্তমকুমারের মূর্তি। ভাল হয়নি না?'
মুখ নিচু করে দেখতে না দেখতেই জায়গাটা পেরিয়ে গেল।
'ডানদিকে টেকনিশিয়ান।' বিশু ঘোষণা করল।
'টেকনিশিয়ান মানে?' তিতির তাকাল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'স্টুডিয়ো। ওখানেও শুটিং হয়।'
শেষ পর্যন্ত একটা বন্ধ গেটের সামনে গিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভার হর্ন বাজাতেই সেটা খুলে গেল। বাঁদিকে গোদামঘরের মতো কিছু, সোজা এগিয়ে গিয়ে ট্যাক্সি থামল। দেখা গেল বিশুই ভাড়া মিটিয়ে তিতিরের ব্যাগটা তুলে নিল। এই সকালে বেশ কিছু লোক এপাশ ওপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের চোখ এখন তিতিরের দিকে। বিশু বলল, 'আসুন দিদি।'
এক ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন, 'বিশু! ইনি তিতির?'
বিশু মাথা নাড়ল, হ্যাঁ।'
'আসুন ভাই। আমার নাম গোবিন্দ বিভাসদার প্রোডাকশন দেখি। কিছু দরকার হলে আমাকে বলবেন। বিশু ওকে দু'নম্বর মেকআপরুমে নিয়ে যাও। জগুদা ওখানে যাচ্ছে। চা খাবে ভাই?' গোবিন্দবাবু জিজ্ঞাসা করলেন।
দ্রুত মাথা নেড়ে না বলল তিতির।
একতলার ছোট্ট একটা ঘরে বিশু তাকে নিয়ে গিয়ে বসতে বলল। দুটো আয়না, একটা খাট, কতগুলো চেয়ার। তার একটায় বসল তিতির। দেয়ালে বেশ কিছু ছবি টাঙানো। উত্তমকুমার, ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যালকে চিনতে পারল সে। একটু বাদেই অশোক দু'জন ভদ্রলোককে নিয়ে ঘরে ঢুকল, যাদের একজনকে তিতির আগে দেখেছে। অশোক বলল, 'গুড, সময়মতো এসে গিয়েছ। জগুদার সঙ্গে তো তোমার আলাপ হয়ে গিয়েছে, ইনি অনিলবাবু, আমাদের ক্যামেরাম্যান।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
আড়ষ্ট ভঙ্গিতে নমস্কার করল তিতির।
অনিলবাবু সেটা যেন লক্ষই করলেন। চোখ ছোট করে তিতিরকে দেখতে লাগলেন। অশোক বলল, 'জগুদার সাজেশন ওর বাঁদিকটাকে ধরতে।'
অনিলবাবু মাথা নাড়লেন, 'এই জন্যই বলে জগুদার চোখ জহুরির। কিন্তু জগুদা, ইনি যখন অভিনয় করবেন তখন আমার পক্ষে তো সবসময় এঁর বাঁদিক ধরে রাখা সম্ভব নয়। হেয়ার ড্রেসার কোথায়?'
দরজার বাইরে দাঁড়িয়েছিল, ডাক পড়তেই পরদা সরিয়ে মধ্যবয়স্কা এক মহিলা ঘরে ঢুকল। অনিলবাবু বললেন, 'ম্যাডাম সেনের হেয়ার স্টাইল মনে আছে?'
মেয়েটি মাথা নাড়ল। অনিলবাবু বললেন, 'এর চুলে ওই স্টাইল চাই।'
'চেষ্টা করব। আপনি শ্যাম্পু করে এসেছেন ভাই?'
'কাল করেছিলাম।' তিতির কথা বলল।
'কন্ডিশনার ব্যবহার করেছেন?'
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Beautiful story. Thanks for your support.