কুমারী ঝরনা’র ঝলক!
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম খরস্রোতা নদীপথে নৌকায় করে এক ঘণ্টার পথ। নদীর দু’পাশে পাথরের পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য, কিন্তু কুমারী ঝরনার কাছে তার সৌন্দয নগণ্য। কালো পাহাড়ের পাথরের শরীর বেয়ে প্রবাহিত পানির ধারায় তাকিয়ে থাকতে হবে অপলক। থানচি (বান্দরবান) ঘুরে: খরস্রোতা নদীপথে নৌকায় করে এক ঘণ্টার পথ। নদীর দু’পাশে পাথরের পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য, কিন্তু কুমারী ঝরনার কাছে তার সৌন্দয নগণ্য। কালো পাহাড়ের পাথরের শরীর বেয়ে প্রবাহিত পানির ধারায় তাকিয়ে থাকতে হবে অপলক।
যারা প্রথম দেখেছেন, তাদের কাছে এটি কোনো ঝরনা নয়, যেন কোনো যুবতীর মিষ্টি হাসি! থানচি উপজেলা সদর থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে সাঙ্গু নদীতে মিলবে অসংখ্য ছোট ছোট ঝরনা। স্রোতের বিপরীতে যেতে যেতে এই ঝরনাটি মন কাড়বে সবার।
থানচির পর্যটনের খোঁজে ১৯ অক্টোবর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাংলানিউজ টিম ‘নাফাকুম ঝরনা’র উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। আমাদের সঙ্গী (গাইড) হলেন থানচি বাজার এলাকার প্রকাশ মল্লিক।
নদীপথে অসংখ্য বাক ও ঝরনা পেরিয়ে ৮টা ২৩ মিনিটে গাইড প্রকাশ মল্লিক জানালেন এখানে একটা ঝরনা, নাম কী- জানতে চাইলে বললেন, ‘কুমারী’।
‘কুমারী’ নাম শুনে ঝরনার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেল। নদী থেকেই শোনা যাচ্ছে তার একটানা ঝরঝর শব্দ। তীরে নৌকা ভিড়ে পানির স্রোত বরাবর ঝাউ বন পেরিয়ে যেতে ছোট ছোট পাথরে মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত। মিনিট চারেক হেঁটে জুড়ালো চোখ।
অপরূপ রূপে ঝরনাটি। প্রায় চল্লিশ ফুট উঁচু থেকে একটানা পড়ছে পানি। বেয়ে পড়া পানি এতোটাই স্বচ্ছ যে মনে হবে সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া পাহাড়ের গা। যেন পাহাড়ি গাছের আড়ালে হাসছে ঝরনা।
‘কুমারী’ নামকরণের বিষয়ে গাইড প্রকাশ জানালো বর্ষাকালে এই ঝরনায় বেশি থাকে পানি, অন্য সময়ে কম থাকে বলে এর নাম কুমারী।
সকাল সকাল কুমারী ঝরনার কাছে পর্যটক পাওয়া না গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া লাঠি এবং পানির বোতল প্রমাণ করে এখানে কমবেশি তাদের আগমন হয়ে থাকে।
তিন্দিু বাজারের পর এবং বড় পাথর বা রাজা পাথরের আগে এই ঝরনাটি ২০০৭ সাল থেকে ঝরনাটিতে লোকজন যায় বেশি।
এই ঝরনায় যেতে হলে থানচি বাজারে নৌকা ভাড়া করে এক ঘণ্টার পথে যেতে পারবে পর্যটক। আর একটু এগোলে বড় পাথর বা রাজা এবং রাণী পাথর পাওয়া যায়। তবে খরস্রোতা নদী ধরে রেমাক্রি বা নাফাকুম যাওয়ার আগে এই ঝরনাটিই মূল আকর্ষণ।
** ঝরনা নদী পাহাড়ের দেশ থানচি: পর্যটকদের প্রয়োজন নেটওয়ার্ক ** নাফাকুম যাত্রা, সত্যিই দুঃসাহসিক! ** পথে পথে 'ডিম্ব পাথর' ** সাঙ্গুর বাঁকে 'ডিম’ পাহাড়ে, বিকেলেই সূর্য ডুবে! ** দুর্গম পাহাড়ের আড়ালে অপূর্ব দু’টি ঝরনা ** লেকের ধারে পাহাড়পাড়া, মেঘের কোলে স্বর্গীয় লীলাভূমি! ** ঝরনায় ফেলছে বোতল- প্লাস্টিক, দেখার নেই কেউ? ** টাকার গাছ! ** পাহাড়ি ঝরনায় পর্যটকের সঙ্গী যখন মুলি বাঁশ ** পাহাড়িদের প্রিয় খাবার নাপ্পি’র সাতকাহন ** সাদা রঙের হলুদ আর আদা ফুল অনন্য, পর্যটকের কাছেও আকর্ষণীয় ** ভরা মৌসুমে পর্যটক টানছে পাহাড় ঘেরা খাগড়াছড়ি ** পাহাড়ে উদ্ভাবিত ফলের জাত ছড়াচ্ছে সারাদেশে ** ওয়ান স্টপ সার্ভিসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বান্দরবান পুলিশ
This post has received a 0.14 % upvote from @drotto thanks to: @shadown.