ফটোগ্রাফিঃ রেনডম ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২রা ভাদ্র শরৎকাল ,১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।ঋতুর রানি শরতে ২য় দিন আজ। শরতে প্রকৃতি নতুন রুপে সাজে। আকশে ভেসে বেড়ায় তুলোর মতো সাদা মেঘ। আর মাঠের পর মাঠে দেখা যায় শুভ্র সাদা কাশ ফুল। প্রকৃতি এক নতুন রুপে হাজির হবে এই শরতে। বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি পোস্ট নিয়ে। আর তা হচ্ছে ফটোগ্রাফি পোস্ট। চেস্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই পোস্ট। এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছি এবার চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়ে আমাদের ছাঁদ বাগান থেকে। আশাকরি ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথম ফটোগ্রাফি
পরিচিত ফল ড্রাগনের ফটোগ্রাফি এটি। এই ফটোগ্রাফিটি করেছি এবার চট্টগ্রামে গিয়ে আমাদের ছাঁদ বাগান থেকে। ছাঁদ বাগানটি করেন আমার বড় ভাই। পছন্দ করেন ছাঁদ বাগান করতে।তবে সব্জি বাগান করতে বেশি পছন্দ করেন। এবার গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু সব্জি লাগিয়েছেন। সেই সাথে লাগিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের শাক।তবে এবার গিয়ে দেখলাম বেশ বড় পরিসরে করেছেন ড্রাগন ফলের বাগান। অনেক ড্রাগন ধরেছে। আর বেশ মজা খেতে। এবার গিয়ে আমিও খেয়েছি এই ছাঁদ বাগানের ড্রাগন ফল।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এই সব্জিটি সবার পরিচিত ধুন্দল। বেশ মজা এই সব্জিটি। মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে যেমন মজা লাগে তেমনই সব্জি করলেও খেতে বেশ মজা লাগে।ধুন্দল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের ভালো উৎস। ধুন্দল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ওজন ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হতে পারে।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ক্যাকটাসের এই ফটোগ্রাফিটি করেছি আমার বড় বোনের ব্যালকনির বাগান থেকে। আমার বোনের ছেলের বউ বেশ সখ করে বাগানটি করেছে। বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়েছে সে ব্যালকনীতে। সেখানেই এই ক্যাকটাসটি ছিল। বেশ সুন্দর লাগছিলো । আজকাল প্রায় সব সৌখিন বাগানীর সংগ্রহে একটি হলেও ক্যাকটাস গাছ থাকেই। আর বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফি করতে করতেই চোখ আটকে গেলো এই শিকরগুলোর দিকে। বেশ সুন্দর লাগছিল। সদ্য গজিয়েছে এই শিকরগুলো ড্রাগন গাছের ডালে । আর এই ডাল কেটে লাগিয়ে দিলেই হবে ড্রাগন গাছ।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
সদ্য কলি এসেছে ড্রাগন গাছে। আমাদের বাসার সামনেই পাহাড় ।তাই পাহাড়কে ব্যাকগ্রাইন্ডে রেখে এই ফটোগ্রাফিটি করেছি। ফটোগ্রাফিটি করার পর বেশ সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।তাইতো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি।
আশাকরি রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন-নিরাপদে থাকুন।শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
মোবাইল | Samsung A10 |
তারিখ | ১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু আপনার বড় বোনের বাগানের ক্যাকটাস গাছটি সত্যি অনেক সুন্দর। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আসলেই অনেক সুন্দর ক্যাকটাসটি।
https://x.com/selina_akh/status/1957108740227805395
Link
https://x.com/selina_akh/status/1957109607580758268
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। সত্যি আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি। মাঝে মাঝে এমন চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাই। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির দিকে। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেস্টা করি ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি করার। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শেষের ড্রাগন ফলের সদ্য আসা কলিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার করে ধারণ করেছেন আপনি আর দেখেও আমার ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি খুব সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি ভালো লাগলো। তবে আপনার ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। আর আমাদের এই দিকে অনেকে ছাদের উপর ড্রাগন ফল গাছ লাগাই। রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আজকাল সবার বাগানেই ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। আর খেতেও বেশ মজা ড্রাগন ফল।