পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা, পরিচালক আর খল চরিত্রের অভিনেতারা এফডিসিতে আসেন শুটিং করতে, নয়তো চলচ্চিত্রসংক্রান্ত কোনো কাজে। আজ বুধবার সকালে ভালোবাসা দিবসে তাঁদের দেখা যায় ভিন্নভাবে। এফডিসির প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই প্রায় সবার হাতে দেখা যায় ঝাড়ু ও বেলচা। সবাই প্রধান সড়কের ভেতরের রাস্তা ঝাড়ু ও বেলচা হাতে পরিষ্কার করে চলছেন। ঝাড়ু হাতে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে দেখা গেছে জ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি নতুনদেরও। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা যখন শিল্পীরা জানতে পেরেছেন, তখন সবাই রাজি হয়ে যান। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই, ভালোবাসার দিনে ভালো কাজ করি। ভালোবাসা মানেই তো ভালো থাকা। আরেকজনকে সুস্থ রাখা। আমি নিজে যদি পরিষ্কার থাকি, এলাকা পরিষ্কার থাকবে। এলাকা পরিষ্কার থাকলে দেশও পরিষ্কার থাকবে। আমরা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়মিত চালিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবছি।’
সবাই দল বেঁধে আনন্দের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন
সবাই দল বেঁধে আনন্দের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নায়ক-নায়িকা ও পরিচালকদের মধ্যে অংশ নিয়েছেন রোজিনা, নূতন, রিয়াজ, পপি, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, শাহনূর, কেয়া, রুবেল, ডিপজল, বিপাশা কবির, জয় চৌধুরী, অধরা খান, নাদিম, শাহ আলম কিরণ, গাজী মাহবুব, মুশফিকুর রহমান গুলজার প্রমুখ।
রিয়াজ বলেন, ‘আজকের এই পরিচ্ছন্ন অভিযানের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “মন সুন্দর যার, সে রাখে দেশ পরিষ্কার”। আমরা সবাই আমাদের প্রাণের প্রিয় এই দেশকে একটু সচেতন হলেই সুন্দর করে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি।’
পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গত বছর শুরু হয় ‘ডেটল-চ্যানেল আই পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ পাওয়ার্ড বাই হারপিক’। তার অংশ হিসেবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান। চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা এবং পরিচালকেরা ছাড়াও এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম, সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাকসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।