নতুন প্রবীণদের নিয়ে আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পর্ব ০৭

in #new5 months ago

তালতলা মেসের দোতলায় মিটিং চলছে। জেলার বাছাই করা আটত্রিশ জন কমরেড উপস্থিত আছেন । আলোচনার বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রেণি চরিত্র ও বিপ্লবের স্তর । গত চারদিন ধরে এই মিটিং চলছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত অবধি চলছে। তুমুল তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। সভায় উপস্থিত একমাত্র নারী কমরেড সুমাইয়া দারুণ অস্বস্তিতে পড়েছেন । তিনি অনর্থক তর্ক-বিতর্কে ভীষণ বিরক্ত হয়ে আছেন । একপর্যায়ে সুমাইয়া বললেন, কমরেডগণ, সাধারণ জনগণ আমাদের এই জটিল বিষয়গুলো বোঝে না । তারা চায় দুবেলা ভাত, পরনে কাপড়, মাথাগোঁজার ঠাঁই, রোগের চিকিৎসা আর সন্তানদের শিক্ষা। সংবিধানে স্বীকৃত এই দাবিগুলো নিয়ে আমাদের লড়াই করলেই হয়।

IMG_6600.jpg
পার্টি সম্পাদক আহকামউল্যাহ বললেন, পার্টি কমরেডদের মাঝে এসব অর্থনীতিবাদী সুবিধার লড়াই বাম বিচ্যুতির সামিল। আমরা মার্কসবাদ- লেনিনবাদের ছাত্র। তাঁদের শিক্ষাই আমাদের শিক্ষা। সর্বহারা শ্রেণি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল সংকট নিরসন করবে। সুমাইয়া এ বক্তব্য মন থেকে গ্রহণ করলেন না। শুধু চুপ করে থাকলেন ৷ অন্য কমরেডরা সুমাইয়াকে একযোগে শ্রেণিশত্রু বোঝানোর চেষ্টা করলেন। কমরেড আহকামউল্যাহ সবাইকে শান্ত করে মূল আলোচনায় ফিরে গেলেন। দুপুরে খাবার বিরতিতে সুমাইয়া পার্টি সম্পাদককে বললেন, কমরেড আমার ছুটি আজ শেষ । কাল থেকে স্কুলে যেতে হবে। পরশু প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আহকামউল্যাহ হাসলেন । বললেন, তোমরা যদি চাকরির মোহ ত্যাগ করতে না পার তবে কিভাবে বিপ্লবের জন্য জীবন দেবে? দলই জীবন, বিপ্লবই জীবন— এই চেতনায় দল গড়তে না পারলে সর্বহারা শ্রেণি কিভাবে মুক্তি পাবে? সুমাইয়া শান্তভাবে বললো, কমরেড আমি চাকরি ছাড়তে পারবো না । দলের বয়সী কমরেড আজমতউল্যাহর সুমাইয়ার প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। আজমতের বয়স ৬২। স্বাস্থ্য ভাল, লম্বা-চওড়া, চুলে কলপ দেন, দেখতে

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60973.26
ETH 2366.47
USDT 1.00
SBD 2.58