নতুন প্রবীণদের নিয়ে আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পর্ব ০১
বাংলাদেশে আজ দেড় কোটি প্রবীণের বসবাস। দিন দিন প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি আর অপেক্ষাকৃত আধুনিক জীবনযাপনের ফলে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে চলেছে। আর কয়েক বছর পর সমাজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ প্রবীণ হয়ে যাবেন। তবে বার্ধক্য বিলম্বিত করা গেলেও তা ঠেকানো যাবে না । জাতিসংঘ ও বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছে । প্রবীণের উন্নততর আধুনিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে আজ প্রচলিত বিশ্বাস-সংস্কার-নিয়ম-শাস্ত্রের যতখানি প্রবীণবিদ্বেষী ততখানিকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। সমাজের পরিবর্তন হচ্ছে।
আজ পুরোনো বিশ্বাস-সংস্কার নিয়ে প্রবীণদের নিয়তিবাদী- অদৃষ্টবাদী হবার চেষ্টা মঙ্গলজনক হবে না। বার্ধক্যে মানুষের চাহিদাগুলো হলো শারীরিক, আবেগিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও স্রষ্টাকেন্দ্রিক । প্রতিটি চাহিদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুদ্ধিবৃত্তিক চাহিদাগুলোর মধ্যে সাহিত্য অন্যতম। মনের বিকাশে সাহিত্য, দর্শন ও ইতিহাসের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। মনে হয় এতদিন প্রবীণের সংখ্যা কম থাকায় বা এ বিষয়টিতে মনোযোগ দেইনি বলে আমরা প্রবীণসাহিত্য বলে আলাদা ধারা গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে শিশু-কিশোর সাহিত্য বলে আলাদা সাহিত্যধারা আছে। সমাজে প্রয়োজনীয়তা থাকলে কেউ না কেউ প্রবীণসাহিত্য রচনায় এগিয়ে আসবেন। বইয়ের সবগুলো গল্প দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় ইতোপূর্বে ছাপা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশের পর বন্ধুরা অনেকেই পড়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। তাদের অনেকের প্রশংসাসূচক মন্তব্য গল্পগুলো বই হিসেবে প্রকাশে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।