শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৪৪
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
‘আমি অনেক অলস। এটা আমি কখনোই করব না।' আমরা এমন আহ্লাদ করে নাকি নাকি কণ্ঠে প্রায়ই বলি কথাটা। আর ‘অলসতা’ শব্দটাকে পূর্ববর্তীরা ঘৃণা করতেন। আমরা অলসতা করে কোনো কাজ না করার ব্যাপারে বেশ কনফিডেন্ট। কিন্তু নিজের উপর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কিছু করে দেখাতে একেবারেই অনাগ্রহী। Three idiots এর রাঞ্চো ভাবি নিজেদের সবাই আমরা। সারাজীবন হইহুল্লোড় করে বেড়াব, আর দিন শেষে সায়েন্টিস্ট হয়ে যাব। কী দুনিয়াবি কী দ্বীনি সব ব্যাপারেই আমাদের এমন গা ছাড়া ভাব। ভাবটা এমন যেন গায়ে একটা বোরকা জড়ালাম; ব্যস, জান্নাতে তো আমার নামে একটা এ্যাপার্টমেন্ট বুক করা হয়েই গেছে। আমার আর চিন্তা কী!
নিজের দ্বিমুখিতায় এখন আর লজ্জিতও হই না আমরা। দ্বীন পালন ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে।। ভালোবাসা না।
প্রতিদিনের অভ্যাস, মুরগির ঠোকরের মতো করে দুটো সিজদাহ দিয়ে উঠে বিশাল আত্মতৃপ্ত আমরা। এর মাঝে দু-একজনকে যদি চোখে পড়ে যে আবেগ মেখে ভালোবেসে সিজদাহতে কপাল রেখেছে, তাকে কথা শোনাতেও আমরা বাদ রাখি না। 'তারাবি পড়তে বসেছিস নাকি!'
‘সারাজীবনের সব নামাজ এখনই পড়ে নিবি।'
‘আপাতত শুধু ফরজটা পড়ে নে তো।’
‘সিজদাহতে ঘুমিয়ে যাস না আবার।'
এমন আরও কত কি! হাসি তামাসায় আমরা কী বলছি! কী নিয়ে বলছি! কী লেখা হচ্ছে আমাদের কাঁধে! কোন কাঁধেই বা লেখা হচ্ছে! একবারও কি ভাবছি?
ডান কাঁধ আর বাম কাঁধের বাইরে কি আর কোনো জায়গা আছে, যেখানে শুধু দুষ্টুমি করে বলা কথাগুলো লেখা হয়। অথবা বেহিসাবি কথা/কাজ যেখানে লেখা হয়।
লজ্জা হওয়া উচিৎ আমাদের। ছিহ!
‘আমরা অনেক সময় দুঃখ বয়ে বেড়াই। তারপর সেই দুঃখ কারণে অকারণে বুঝে না বুঝে অন্যের মাঝে বিলাই। কখনো কথার ফাঁকে কখনো কাজের আঁচে।
অনিদ্র আদ্রিতা নামে একজনের পোস্ট পড়ে বিশাল আকারের একটা দীর্ঘশ্বাস বাতাসের মাঝে স্বাধীন করে দিল ইরা। বালিশে হেলান দিয়ে এ মুহূর্তে ফেবু স্ক্রল করা ছাড়া আর কোনো কাজ পাচ্ছে না মেয়েটা। বিয়ে হয়েছে সবে ২৬ দিন হলো। এ দিনগুলো খুব অদ্ভুত। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া। নতুন মানুষ পুরোনো স্মৃতি সব যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ইরার শ্বশুরালয়ে মোট পাঁচ জন সদস্য। ইরা যোগ হওয়াতে এই পরিবারের সদস্য সংখ্যা হয়েছে ছয়।
খুব নিরিবিলি একটা পরিবার। ঝামেলাহীন। শহরতলীর এক কোণে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে দিবিব দিন কাটিয়ে দিচ্ছে মানুষগুলো। ইরা গ্রামের মেয়ে, তবে এখনকার গ্রামও খুব পিছিয়ে পড়া না। থ্রিজির কল্যাণে গ্রামের পথঘাটেও এখন ইউটিউব ফেবুর বাতি জ্বলে। এভাবেই ইরার পরিচয় কিশোরের সাথে। রগচটা ছেলে। সম্পর্কের এক মাসের মাথায় ইরাকে বউ করে নিয়ে এসেছে এই শহরে।
বিয়েটাতে দুই পরিবারের কারোরই তেমন মত ছিল না। এটা এ দেশের ঐতিহ্য। ছেলে বা মেয়ে যাকে পছন্দ করে একবার বলেছে তো, সবাই তাদের খুঁত খুঁজতে শুরু করে। প্রকাশ্যে হারাম সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবে, আর বিয়েতেই যত দোষ
ইরা সবে ইন্টার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তা আর হলো না। বিয়ের আগে যদিও কিশোর বলেছিল বিয়ের পর পড়াশোনা করাবে; কিন্তু বিয়ের পর ‘মা যা বলে তাই হবে' বলে পাশ কাটিয়ে যায় বার বার। ইরার আর বুঝতে বাকি থাকেনি। দীর্ঘশ্বাস মিশিয়ে সবটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায়ও নেই।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.077867239016305 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.