বাংলাদেশে জিডিপির অবস্থান এবং মাথাপিছু আয়ঃ
কোনো দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি হচ্ছে সেই দেশের অর্থনীতির আকার পরিমাপের একটি পদ্ধতি। একটি দেশের জিডিপি বলতে বোঝায়, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের ভেতর উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট বাজারমূল্য।জিডিপির পূর্নরুপ হচ্ছে গ্রোথ ডমিনিস্টিক প্রোডাক্ট ।বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার দীর্ঘ সময় ধরেই ৬ শতাংশের ঘরে অবস্থান করছে। গত অর্থবছরে (২০১৬-২০১৭অর্থবছর,)এ হার সরকারি হিসাবে ৭ শতাংশ অতিক্রম করে ৭.২ শতাংশে পৌছে এবং মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ১ হাজার ৬০২ ডলার। কিন্তু বেসরকারি ও বিদেশি সংস্থা এবং দেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা এ তথ্য মানতে নারাজ। তাদের মতে, প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ঘরেই রয়েছে। সেটি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। কারো মতে আরও কম। তবে সরকার দৃঢ়তার সঙ্গেই বলছে, প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের ঘর অতিক্রম করেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তাফা কামাল গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩০ জুন থেকে বছরে ৭.২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ১৬০২ ডলার থেকে ১৬১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
"চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জিডিপি ১৪৮.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২০.৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি ১০০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি অর্জনে ৩৪ বছর লেগেছিল। শেখ হাসিনার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, "তিনি বলেন। বাংলাদেশ ছাড়াও, ইথিওপিয়া এবং কম্বোডিয়ায় ৭ শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন। "কৃষি খাত ২.৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, উত্পাদন ১০.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেবা খাতে ৬.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আমরা.২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে রেখেছি, তবে ২০১৯ সালের মধ্যে এটি বর্তমান হারে পৌঁছাবে।
কোন সেক্টর থেকে কত শতাংশ প্রবৃদ্দি আছে তা দেখে নেওয়া যাক-কৃষি খাত থেকে আসে ১৩ শতাংশ, ফিসিং সেক্টর থেকে আছে ৩ শতাংশ, মাইনিং সেক্টর থেকে আছে ২ শতাংশ, ম্যানুফেকচারিং থেকে আছে ১৩ শতাংশ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সেক্টর থেকে আছে ১ শতাংশ, নির্মান খাত থেকে আছে ৮ শতাংশ, হোলসেল ও রিটেইল বিজনেস থেকে আছে ১৩ শতাংশ, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে আছে ১ শতাংশ, ট্রান্সপোর্ট ও কমোনিকেশন থেকে আসে ১১ শতাংশ, ফাইনান্সিয়াল প্রতিস্থান থেকে আছে ৪ শতাংশ, রিয়েল ইস্টেট থেকে আছে ৭ শতাংশ, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ও ডিফেন্স থেকে আছে ৩ শতাংশ, এডুকেশন সেক্টর থেকে আছে ৩ শতাংশ, হেলথ ও সোসাল ওয়ার্ক থেকে আছে ২ শতাংশ এবং কমিওনিটি ও পার্সনাল সার্ভিস থেকে আছে ১২ শতাংশ।