পদার্থ ও পদার্থের অবস্থা
যে বস্তুর নির্দিষ্ট ভর আছে এবং জায়গা দখল করে তাকে পদার্থ বলে।
কক্ষ তাপমাত্রায় কোনো কোনো পদার্থ কঠিন, কোনো কোনো পদার্থ তরল আবার কোনো কোনো পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে।
যেমন- কক্ষ তাপমাত্রায় চিনি, খাদ্য লবন, মারবেল ইত্যাদি কঠিন অবস্থায় পানি, তেল, কেরোসিন, ইত্যাদি তরল অবস্থায় এবং নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসীয় অবস্থায় অবস্থান করে। আবার তাপ মাত্রা পরিবরতন করে একই পদার্থ কখনো কঠিন, কখনো তরল বা কখনো গ্যাসীয় অবস্থায় রুপান্তর কর যায়।
নিচে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের কিছু ধর্ম এবং বৈশিস্ট আলোচনা করা হলোঃ
- কঠিন পদার্থ (Solids)
কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট ভর, নির্দিষ্ট আকার এবং নির্দিষ্ট আয়তন থাকে। সন পদার্থের কণাগুলোর মধ্যই এক ধরনের আকর্ষণ বল থাকে। একে অন্তঃকণা আকর্ষণ বল বলা হয়।কঠিন পদার্থের কণা গুলোর মদ্ধো অন্তঃকনা আকর্ষণ বল সবচেয়ে বেশি। একারণে কঠিন পদার্থের কণা গুলো খুব কাছাকাছি এবং নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে, ফলে কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার হয়, কঠিন পদার্থের উপর চাপ প্রয়োগ করলে এরা সংকুচিত হয় না। আবার, তাপমাত্রা বাড়লে কঠিন পদার্থের আয়তন খুব কম পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। - তরল পদার্থ (Liquids)
তরল পদার্থের নির্দিষ্ট ভর ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই। তরল পদার্থকে যে পাত্রে রাখা হয় তরল পদার্থ সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তরলের কণা গুলো কঠিন পদার্থের কণা গুলোর চেয়ে তুলনামুলক ভাবে বেশি দূরত্ব থাকায় এদের মদ্ধো অন্তঃকণা আকর্ষণ বল কঠিনের চেয়ে কম হয়।