বন্যা ও মামুনের প্রেমকাহিনী
ঢাকার একটি ছোট্ট মহল্লায় থাকতো বন্যা। বন্যা ছিলো হাসিখুশি, প্রাণবন্ত মেয়ে। তার হাসির ঝলকানিতে যেন পুরো মহল্লা প্রাণবন্ত হয়ে উঠত। অন্যদিকে, মামুন ছিলো শান্ত, ভদ্র এবং ভাবুক স্বভাবের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তারা একে অপরকে চিনতো, তবে কখনও ভালো করে কথা হয়নি।
একদিন মহল্লার মাঠে সবাই মিলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। বন্যা আর তার বন্ধুরা গল্পে মশগুল, আর মামুন দূরে দাঁড়িয়ে সব শুনছিলো। হঠাৎ করেই বন্যার চোখে পড়লো মামুন। তারা একে অপরের দিকে তাকালো, আর সেই মুহূর্তে যেন চারপাশের সবকিছু থেমে গেলো।
দিনগুলো কেটে যাচ্ছিলো, কিন্তু বন্যা আর মামুনের মধ্যে অদ্ভুত একটা টান তৈরী হলো। তারা ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগলো। বন্যা নিজের মনের কথা মামুনকে জানাতে সাহস পাচ্ছিলো না, আর মামুনও দ্বিধায় ছিলো।
একদিন, মহল্লার পাড়ায় একটা বড় মেলা বসেছিলো। সবাই সেখানে আনন্দ করতে যাচ্ছিলো। বন্যা আর মামুনও আলাদাভাবে মেলায় গেলো। মেলার ভিড়ে হঠাৎ করেই বন্যার চোখে পড়লো মামুন। মামুন একা একা একটা বইয়ের স্টলে দাঁড়িয়ে ছিলো। বন্যা সাহস করে তার কাছে গেলো এবং হেসে বললো, "মামুন, তুমি এখানে?"
মামুন হেসে উত্তর দিলো, "হ্যাঁ, বই কিনতে এসেছি।"
সেইদিন থেকে তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হলো। তারা মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখলো, একসাথে খাওয়াদাওয়া করলো এবং অনেক গল্প করলো। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হলো। মামুন তার ভালোবাসার কথা বন্যাকে জানালো, এবং বন্যাও তার মনের কথা শেয়ার করলো।
তাদের প্রেম ধীরে ধীরে আরও গভীর হলো। তারা একে অপরকে ভালোবাসা, সম্মান এবং সহানুভূতির সাথে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখলো। মহল্লার সবাই তাদের ভালোবাসার গল্প জানতো এবং তাদের সুখী জীবনের জন্য আশীর্বাদ করতো।
সুখের শেষ
একদিন বন্যা আর মামুন নদীর ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখছিলো। বন্যা মামুনের দিকে তাকিয়ে বললো, "তুমি জানো মামুন, আমাদের এই প্রেম কাহিনীটা যেন কখনও শেষ না হয়।"
মামুন মৃদু হেসে বললো, "হ্যাঁ বন্যা, আমাদের প্রেম চিরকাল থাকবে।"
এইভাবেই বন্যা আর মামুনের প্রেমের গল্পটি সুখে শান্তিতে পূর্ণ হলো। তারা একসাথে থেকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করলো এবং তাদের ভালোবাসা ছিলো একে অপরের জন্য চিরন্তন প্রেরণা।