জীবনে স্মৃতিভ্রংশ
মফস্বলের একটি সহ-সম্পাদক বিদ্যালয়। তার সেঞ্চুরি সমাবেশে পূর্ববর্তী সকল আন্ডারস্টাডিদের স্বাগত জানাই।
বিপত্নীক সুবোধবাবুর মনে হল, বহুদিনের স্কুল দেখতে আসবেন, কিছু স্মৃতি থাকবে।
আরও কি, 70 বছর বয়সে, একটু পরিবর্তন হবে। এসব ভেবে তিনি যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
রত্না বোস, স্কুলের পূর্বের একজন ছাত্র, বর্তমানে একজন পদত্যাগ করা প্রশিক্ষক। বৈধব্য থেকে অসহায়ত্ব অনুভব করছি।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে তিনি একবার পুরানো ধাঁচে যাবেন এবং সত্যিই চুক্তিটি মিষ্টি করতে, তিনি তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গীদের একটি অংশের সাথে দেখা করতে পারবেন।
স্কুলে আসছে, দুজনেই সহযোগীদের ট্র্যাক করার চেষ্টা করছে। যাইহোক, অনেক আগেকার এবং বর্তমানের উপস্থিতির মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
শেষের দিকে সুবোধবাবু সম্প্রচারকারীকে উল্লেখ করেছিলেন যে 68 জনের দল থেকে কেউ মঞ্চে এলে একবার ঘোষণা করতে। ব্যক্তিগতভাবে প্রায় 10/11 জন বয়স্ক ব্যক্তি/বয়স্ক ব্যক্তি এসে দাঁড়ালেন। সবাই একে অপরকে নামে চিনত। গল্পে ভেসে আসা মধুর স্মৃতির সংখ্যা। সবাই নিজেদের মধ্যে টেলিফোন নম্বর কেনাবেচা করত।
রত্নাকে দেখে সুবোধবাবুর মস্তিষ্ক অশান্ত হয়ে ওঠে। সেই তরুণ হার্ট ব্রেকার রত্নটি এই বয়সে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। রত্না একইভাবে তার দিকে কটাক্ষ করে এবং মাঝে মাঝে সূক্ষ্ম হাসির ব্যবসা করে।
অবশেষে দৃঢ়তা জড়ো করে সুবোধবাবু বললেন, "তুমি কি বলবে তুমি আমাকে বিয়ে করবে?"
প্রায় ছয় সেকেন্ড সতর্ক চিন্তা করার পর, তিনি উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ,..... আমি অবশ্যই করব!"
সে সুখের বিস্তৃতিতে ভাসতে ভাসতে বাড়ি ফিরল। যাই হোক না কেন, সমস্যাটি পরের সকালে। রত্না ঠিক বলেছে নাকি না বলেছে গত রাতের কিছুই মনে করতে পারছি না। সে বিরক্ত হয়ে রত্নার নাম্বারে ডায়াল করল। এই কথা বলার পরিপ্রেক্ষিতে, তিনি তার মিশ্রিত কথা স্বীকার করলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, "আগের সন্ধ্যায় আমি প্রস্তাব দেওয়ার পরে, আপনি কি ঠিক বলেছেন নাকি না?"
---"আপনি কি নিতান্ত, আমি বললাম 'ঠিক আছে। আমি অবশ্যই করব।' এবং আমি এটি আমার সমগ্র অস্তিত্বের সাথে উহ্য করেছিলাম।"
সুবোধবাবু হাঁপিয়ে উঠেন। এবং পরে তিনি রত্নাকে বলতে শুনেছিলেন, "আপনি ফোন করেছেন আমি খুব খুশি। কারণ কে আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে তা আমি মনে করতে পারিনি।"