তাল শাঁস খাওয়ার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-০৫-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি তাল শাঁস খাওয়ার কিছু মুহূর্ত । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে নিজে সকালবেলায় হালকা একটু নাস্তা খেয়েছিলাম তারপরে একটু মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠ থেকে বাড়িতে এসে দুপুরবেলায় গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অল্প একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে বিকেল বেলায় বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম বাড়ির জন্য কিছু বাজার করতে। বাজার শেষ করে বাড়িতে এসে সন্ধ্যেবেলায় বাড়ির পাশে ফুটবল খেলার বড় একটি মাঠ রয়েছে সেখানে এসে বসে পড়লাম প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এবং আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য।
আপনার উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার জায়গা থেকে খুবই সুন্দরভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। গত কয়েকদিন আগে আমি সহ আমার বাড়ির পাশের কয়েকজন মিলে আমরা বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আসলে বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে অলসতা চলে এসেছে তাই সময় পেলেই বাইক নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরতে বের হই। গত কয়েকদিন আগে আমরা আমাদের গ্রাম থেকে বেশ কয়েকটা গ্রাম দূরে চলে গিয়েছিলাম প্রায় ইন্ডিয়ার পাশে। আসলে আমাদের এলাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয় বর্ডার ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গেলেই বর্ডার দেখা যায়। সে এলাকাতে আমরা ঘুরতে গিয়ে সেখানে আমরা বেশ কিছু তালগাছ দেখতে পেয়েছিলাম। সেখানে দেখে অনেক ছোট ছোট ছেলেরা গাছে উঠে তাল কাটছে এবং সেই তালগুলো খাচ্ছিল। আমরা সেদিন ডিএসএলআর ক্যামেরার সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য এবং বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার জন্য। সেখানে আমরা বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং সেখান থেকে কিছু তালশাঁস খেয়েছিলাম সেই মুহূর্তগুলো আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরার ধারণ করে শেয়ার করেছি। দেখতে পারবেন এবার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরা বেশ কিছু তাল গাছ থেকে কেটে নিয়ে আসার পরে তাল গুলোর শাঁস তুলছিল তখন আমরা সেখানেই বসে ছিলাম তালশাঁস খাওয়ার জন্য। যখন তালশাঁস গুলো কাটছিল আমি খুবই সুন্দরভাবে সেগুলো আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে নিয়েছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে সেখানে প্রায় কয়েকশোর উপরে তাল গাছ ছিল সবগুলোই সরকারি গাছ সেখান থেকে তাল পেড়ে খেলে কেউ কিছু বলবে না কিন্তু বিক্রি করলে যদি জানতে পারে তাহলে সমস্যা আছে। তাই সেখান থেকে ছোট্ট ছেলেরা আমাদেরকে শুধু কয়েকটি তাল শাঁস খাওয়েছিল। তালশাঁস খাওয়ার মুহূর্ত গুলো আমি আমার মোবাইলে খুবই সুন্দর ভাবে ক্যামেরায় ধারণ করে রেখেছিলাম সেগুলো আজকে আপনাদের সকলের মাঝে শেয়ার করছি। সব সময় চেষ্টা করি আমার দৈনন্দিন জীবনের যে সকল সুন্দর মুহূর্ত গুলো আছে প্রত্যেকটা মুহূর্তে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এভাবেই এই প্লাটফর্মের টিকে আছি।
এবার আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সেই ছোট্ট ছেলেরা তালশেষ গুলো যখন কেটে কেটে আমাদের হাতে দিচ্ছিল আমরা সত্যি সেখানে বেশ মজা করে খাচ্ছিলাম। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের মধ্য থেকে একজন খাচ্ছিল আমি খুবই সুন্দরভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি ধারণ করার চেষ্টা করেছি। আসলে এই সব আনন্দের মুহূর্তগুলো আমি মনে করি আর হয়তো জীবনে কখনো আসবে না তাই এখনই সময় জীবনটাকে উপভোগ করার তাই চেষ্টা করুন সকলে ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি না থেকে নিজের জীবনটাকে উপভোগ করার জন্য। আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই চাকরিজীবী এবং অনেকেই প্রবাস জীবনে থাকে সবাই ছুটিতে বাড়িতে এসেছে তাই আমরা এখন প্রায় দিন ঘুরতে বের হই সত্যিই বিকেল বেলায় সেই আনন্দ ঘন মুহূর্তগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে শেয়ার করেছি। তালশাঁস গুলো যখন কেটে আমাদের হাতে দিচ্ছিল আমরা সেখানে বসে খাচ্ছিলাম আসলে তাল গুলো খুবই ছোট আকৃতি ছিল এখনো ভালোভাবে পুষ্ট হয়নি। তাই তালশাঁস গুলো তাল থেকে ভালোভাবে তোলা যাচ্ছিল না শুধুমাত্র তালের মুখ কেটেই তালশাঁস গুলো খাওয়া যাচ্ছিল। আমরা এভাবেই সেখানে প্রায় প্রত্যেকেই কয়েকটি করে তাল খেয়েছিলাম এই বছরে প্রথম সেই তাল খাওয়ার মুহূর্তে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
x-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তালের শাঁস আমার ভীষণ প্রিয়। গতকালকেও খেয়েছি। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। নিজের অনুভূতি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।