আমার নিজের ফটোগ্রাফি এবং আমার লেখা জীবনের গল্প ||| ২১ নভেম্বর ২০২৩

বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মিতু এমন একটা কথা বলল যা আমাকে অবাক করে দিয়েছিল। সে বলল সে ঘরে দাসী হতে এসেছে। যখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে, সে দুঃখিত দেখাচ্ছিল এবং বলল এটা কিছুই না। আমি কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলাম, কিন্তু তখন আমার মা আমাকে ডেকে বললেন যে মিতু বিরক্ত ছিল কারণ সে ইশারা ব্যবহার করার পরিবর্তে তাকে পিছন থেকে ডাকছিল। আমি আমার মায়ের রুমে গিয়েছিলাম এবং তিনি আমাকে আমার বোন রেবেকাকে ফোন করতে বলেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কয়েক দিনের জন্য তার যত্ন নিতে পারেন কিনা। আমি প্রার্থনা করেছি যে আমার মা ঠিক আছে এবং বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। 2007 সালে, মুরুব্বি তার ছেলের স্কুলের ফি বাড়ানোর জন্য রিকশা চালকের কাজ করতে ঢাকায় আসেন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং তার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করেও ছেলে চাকরি পায়নি। দুশ্চিন্তায় মুরুব্বি রাতে ঘুমাতে পারেননি। তিনি তার ছেলেকে চাকরি পেতে তার শেষ সম্পত্তি বিক্রি করে দেন এবং তার ছেলে সফল হয়। কিন্তু তারপর তার ছেলের বিয়ে হয় এবং তার স্ত্রী অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। তারা মুরুব্বিদের নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করবে এবং এটা একটা রুটিন হয়ে গেল। গত রাতে তার স্ত্রী তার ছেলেকে বলেছিল যে হয় মুরুব্বিকে চলে যেতে হবে নয়তো সে চলে যাবে।

মুরুব্বি একথা শুনে ছেলেকে কিছু না বলে চলে গেলেন। এখন আবার ঢাকায় রিকশা চালকের কাজ করতে যাচ্ছেন, তাই কারও বোঝা হবে না। আমি আমার মাকে বাড়িতে রেখে এসেছি, যেমন মুরুব্বি তার ছেলের বাড়ি ছেড়েছে। আমার মাও চলে যেতে চান, কিন্তু তিনি আমাকে বলেন না কারণ তিনি তার বিয়েতে সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না। দুইদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরব। মিতুকে কিভাবে বোঝাবো বুঝতে পারছি না, তবে আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাকে ছাড়তে পারব না। মুরুব্বির কথা শুনে বাসের সবাই চুপ হয়ে গেল। কাঁধের গামছাটা তার চোখের জলে ভিজিয়ে দিল। বাসে, আমি দুজন শিক্ষককে কথা বলতে শুনেছি। তাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ মানুষ সম্পর্কে কিছু বলতে চাই. দেখলাম অন্য শিক্ষক মুরুব্বি বিরক্ত। আমি ওর পাশে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। তিনি কাঁদতে লাগলেন এবং আমাকে তার গল্প শোনালেন।