খিলাফত যেভাবে রাজতন্ত্রে রূপ নেয়( হক্বের পথে আহলে বায়াত)

in #islam4 months ago

ইসলাম এসেছে মানুষকে মানুষের দাসত্ব হতে মুক্ত করে এক আল্লাহর দাসত্ব মেনে নিতে যেন তা ব্যক্তিজীবন হতে রাষ্ট্রীয়জীবনে সর্বত্র মানুষ মুক্তভাবে দ্বীন পালন করতে পারে। দ্বীনের গন্ডির ভেতর যেকোন মতবাদ প্রকাশের অধিকার ছিল। শাসক নির্বাচনে মজলিসে শুরার রায় দিত। খেলাফায়ে রাশেদীনের যেকোন সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে প্রতিবাদ জানাতে পারতো বিনা ভয়ে। হযরত উমরের (রা:) মত কঠোর ব্যক্তির পোষাকেরও জবাবদিহিতা করতে পারতো!! আজকে ক্ষমতাসীনদের সবচেয়ে নিম্নপদের লোকের সম্পদের হিসাব চাইলে জুলুম, নির্যাতন শুরু হবে।
ধীরে ধীরে উম্মাহর বুকে রাজতন্ত্র চালু হল, শাসকের বিরোধিতা করলে জুলুমের শিকার হতে হতো।
আহমাদ ইবন মানী’ (রহঃ) ….. সাফীনা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের খিলাফত হবে ত্রিশ বছর। এরপর হবে বাদশাহী। সহীহ, সহিহাহ ৪৫৯,
ইউসুফ ইবনু মাহাক থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, মারওয়ান ছিলেন হিজাযের গভর্নর। তাকে নিয়োগ করেছিলেন মু’আবিয়াহ । তিনি একদা খুতবা দিলেন এবং তাতে ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়ার কথা বারবার বলতে লাগলেন, যেন তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তার বায়’আত গ্রহণ করা হয়। এ সময় তাকে ‘আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর কিছু কথা বললেন। মারওয়ান বললেন, তাঁকে পাকড়াও কর। তৎক্ষণাৎ তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে চলে গেলেন। তারা তাঁকে ধরতে পারল না।
তারপর মারওয়ান বললেন, এ তো সেই লোক যার সম্বন্ধে আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন, “আর এমন লোক আছে যে, মাতাপিতাকে বলে, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে এ ভয় দেখাতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হয়েছে, তখন তার মাতাপিতা আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার জন্য। বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। কিন্তু সে বলে এ তো অতীতকালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়।” (একথা শুনে উম্মুল মুমিনীন “আয়েশা (রা:) পর্দার আড়াল থেকে বললেনঃ “আল্লাহ্ আমাদের ব্যাপারে কুরআনে কিছুই নাযিল করেন নি, কেবলমাত্র আমার নির্দোষিতা ছাড়া”)।
সুনানুন নাসাই আল কুবরা ও মুসতাদরাক লিল হাকিমের বর্ণনায়ঃ
মুহাম্মাদ বিন যায়দ বর্ণনা করেন যে যখন মু’আবিয়াহ তার ছেলের জন্য বায়আত নিচ্ছিলেন, মারওয়ান বললঃ “এটি আবু বাকার ও উমারের সুন্নাহ”। “আব্দুর রহমান জবাব দিলেনঃ “এটি হারকাল ও কায়সারের সুন্নাহ্”। তখন মারওয়ান বললঃ “এই সেই ব্যক্তি, যার ব্যাপারে কুরআনে অবতীর্ণ হয়েছে, আর এমন লোক আছে যে, মাতাপিতাকে বলে, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে এ ভয় দেখাতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হয়েছে, তখন তার মাতাপিতা আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার জন্য। বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। কিন্তু সে বলে এ তো অতীতকালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়। [সুরা আহক্বাফ ৪৬:১৭] ।
একথা শুনে ‘আইশাহ্ বললেনঃ “আল্লাহর কসম! সে মিথ্যা বলেছে, আল্লাহ্ এই আয়াত আমাদের ব্যাপারে অবতীর্ণ করেননি। আর আমি যদি চাই, তাহলে বলতে পারি এই আয়াত কার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আমি আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে মারওয়ান ও তার পিতার ওপর লা’নত করতে শুনেছি, যখনও মারওয়ান জন্ম নেয়নি। কাজেই, মারওয়ান আল্লাহর লা’নতের ভাগীদার”।
সুনানুন নাসাই আল কুবরাঃ ১১৪৯১, মুস্তাদরাক লিল হাকিমঃ ৮৪৮৩, ইমাম হাকিম বলেনঃ হাদিসটি বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ).।
ইসলামের জন্য উসমানের (রা:) অবদান ছিল সর্বোচ্চ। তার হত্যাকে কেন্দ্র করে ফেতনা উদ্ভব হয় বনু উমাইয়ার অনেকে তার হত্যা ইস্যুকে নিজের ক্ষমতা স্বার্থে ব্যবহার করেন। যে কেউ তাদের বিরোধীতা করলে উসমানের (রা:) হত্যাকারী দলের লোক বলে অপবাদ দিত এমনকি হত্যা করত। যে তালহা (রা:) উসমানের (রা:) রক্ষায় দৃঢ় ছিলেন, উসমান (রা:) হত্যার বিচারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত মুনাফেকের ষড়যন্ত্রে যুদ্ধে নেমেছিলেন তাকে হত্যা করা হয়।
বিন আয়াস জাবী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আমরা জামালের যুদ্ধের দিন হযরত আলীর সাথে ছিলাম। হযরত আলী (রাঃ) তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) কে তার সাথে দেখা করার জন্য বার্তা পাঠালেন। হযরত তালহা (রা.) তাঁর কাছে এলেন। হযরত আলী (রা.) বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহর কসম করে জিজ্ঞেস করছি, তুমি কি আল্লাহর রসূল (সা.)-এর পবিত্র জবান থেকে এই কথাগুলো শুনেছো? রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন আমি যার মাওলা (অভিভাবক) আলীও তার মাওলা (অভিভাবক)। হে আল্লাহ যে আলীকে সাহায্য করে আপনিও তাকে সাহায্য করুন এবং যে আলীর সঙ্গে শত্রুতা করে আপনিও তার সাথে শত্রুতা করুন। তালহা বললেনঃ হ্যাঁ। হযরত আলী বললেন, তাহলে আমার সাথে যুদ্ধ করছ কেন? হযরত তালহা (রা.) বললেন, আমার মনে ছিল না। এরপর হযরত তালহা (রা.) ফিরে গেলেন। (আল মুসতাদরাক হাকিম-৫৫৯৪)
অপর বর্ননায় রয়েছে –
কায়স বিন হাযিম বর্ণনা করেন: “আমি মারওয়ান বিন হাকামকে দেখেছি তালহা কে তীর দ্বারা আঘাত করতে, যা তার হাঁটুতে বিদ্ধ হয় এবং তিনি শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে করতে ইন্তিকাল করেন। [মুসতাদরাক হাকিম: ৫৫৯১, ইমাম হাকিম এবং যাহাবি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন]।
এছাড়া আরও রয়েছে -তাবাকাতে ইবনে সাআদ, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা — ২২৩; ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা – ৩৮। ইবনে হাযার, তাহযীবুত তাহযীব, ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-২০। ইবনুল আসীর, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-১২৪। ইবনে আবদুল বার, আল-ইস্তীআব পৃষ্ঠা — ২০৭ ২০৮। ইবনে আবদুল বার বলেন : মারওয়ান হযরত তালহা (রাঃ)-এর সেনাবাহিনীতে শামিল ছিলেন, আর তিনিই হযরত তালহা (রাঃ)-কে হত্যা করেছেন—নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। আল্লামা ইবনে কাসীর আল-বেদায়ায় এ বর্ণনাকেই প্রসিদ্ধ বর্ণনা বলে স্বীকার করেছেন – ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা-২৪৭।
ইকরিমা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) তাকে ও ‘আলী ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্‌কে বলেছিলেন যে, তোমরা আবূ সা‘ঈদ (রাঃ)-এর নিকট যাও এবং তার কিছু বর্ণনা শোন। অতঃপর আমরা তার নিকট গেলাম। সে সময় তিনি ও তার ভাই বাগানে পানি সেচের কাজে ছিলেন। আমাদের দেখে তিনি আসলেন এবং দু’ হাঁটু বুকের সঙ্গে লাগিয়ে বসে বললেন, মসজিদে নববীর জন্য আমরা এক একটি করে ইট বহন করছিলাম। আর ‘আম্মার (রাঃ) দু’ দু’টি করে বহন করছিল। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পাশ দিয়ে গেলেন এবং তার মাথা থেকে ধূলাবালি মুছলেন এবং বললেন, আম্মারের জন্য বড় দুঃখ হয়, বিদ্রোহী দল তাকে হত্যা করবে। সে (‘আম্মার রাঃ) তাদেরকে আল্লাহ্‌র দিকে ডাকবে এবং তারা আম্মারকে জাহান্নামের দিকে ডাকবে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৮১২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সিফফিনের যুদ্ধে আলী (রা:) পক্ষ হতে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হোন - যা প্রমান করে আলী (রা;) হক্বের পথে ছিল।
এছাড়া হাদীসে প্রমানিত – আলী (রা:) কে অভিশাপ, গালি দেওয়া হতো।
হাসান( রা:) উম্মতের বড় ক্ষতি হতে বাচাতে সন্ধি করেন কয়েকটা শর্তে যার কিছু পরে রাখা হয়নি-
হাসান (বসরী) (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর কসম, হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) পর্বত প্রমাণ সেনাদল নিয়ে মু’আবিয়াহ (রাঃ)-এর মুখোমুখী হলেন। আমর ইবনু ‘আস (রাঃ) বললেন, আমি এমন সেনাদল দেখতে পাচ্ছি যারা প্রতিপক্ষকে হত্যা না করে ফিরে যাবে না। মু’আবিয়াহ (রাঃ) তখন বললেন, আল্লাহর কসম! আর মু’আবিয়াহ ও ‘আমর ইবনুল আস (রাঃ) উভয়ের মধ্যে মুআবিয়াহ (রাঃ) ছিলেন উত্তম ব্যক্তি- ‘হে ‘আমর! এরা ওদের এবং ওরা এদের হত্যা করলে, আমি কাকে দিয়ে লোকের সমস্যার সমাধান করব? তাদের নারীদের কে তত্ত্বাবধান করবে? তাদের দুর্বল ও শিশুদের কে রক্ষণাবেক্ষণ করবে? অতঃপর তিনি কুরায়শের বানূ আবদে শাম্‌স্ শাখার দু’ব্যক্তি ‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-কে হাসান (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা উভয়ে এ ব্যক্তিটির নিকট যাও এবং তাঁর নিকট (সন্ধির) প্রস্তাব পেশ করো, তাঁর সঙ্গে আলোচনা কর ও তাঁর বক্তব্য জানতে চেষ্টা কর।
তাঁরা তাঁর নিকট রয়ে গেলেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বললেন, আলাপ-আলোচনা করলেন এবং তাঁর বক্তব্য জানলেন। হাসান ইবনু “আলী (রাঃ) তাদের বললেন, “আমরা আবদুল মুত্তালিবের সন্তান, এই সম্পদ (বায়তুল মালের) আমরা পেয়েছি আর এরা রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছে।”
তারা উভয়ে বললেন, [মু’আবিয়াহ (রাঃ)] আপনার নিকট এরূপ বক্তব্য পেশ করেছেন। আর আপনার বক্তব্যও জানতে চেয়েছেন ও সন্ধি কামনা করেছেন। তিনি বললেন, ‘এ দায়িত্ব কে নিবে?” তারা (তার জবাবে) বললেন, “আমরা এ দায়িত্ব নিচ্ছি। অতঃপর তিনি তাঁর সঙ্গে সন্ধি করলেন। হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বাকরাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি : ‘রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি মিম্বরের উপর দেখেছি, হাসান বিন আলী (রাঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে আরেকবার তাঁর দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, আমার এ সন্তান একজন নেতা। সম্ভবত তার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’আলা মুসলমানদের দু’টি বড় দলের মধ্যে মীমাংসা করাবেন।’ [সহিহ বুখারী: ২৭০৪ ও ৭১০৪]
হাসান বিন আলী (আ) যে সকল শর্তের ভিত্তিতে মুআবিয়াহ্ বিন আবী সুফিয়ানের কাছে বায়আত করেছিলেন, সেগুলো হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ইতিহাসগ্রন্থসমূহে বর্ণিত হয়েছে। যেমনঃ
মু’আবিয়াহ আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর রসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নাহ ও খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শানুযায়ী শাসন করবেন।
মুআবিয়াহ তার কোনও উত্তরসূরি নির্ধারণ না করে উম্মাহর শুরার হাতে ছেড়ে যাবেন।
“আলী ইবনু আবী তালিবের সৈন্যদের ভেতর আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে কোনও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।
খুমুসের বণ্টন খুলাফায়ে রাশেদিনের আমলের মত বনু মুত্তালিবের নিকট প্রেরণ অব্যাহত থাকবে, যা আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরিবারের ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আলী (আ.)’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপবাদ (গালি) ও অপ- প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।
[ইবনু “আবদিল বার-এর আল-ইন্ডিয়াব, ইবনু হাজার আসকালানীর আল-ইসাবাহ ইবনু কাসিরের আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ইবনু হাজারের ফাতহুল বারী, বুখারীর হাদিস ৭১০৯ এর ব্যাখ্যা]
যা উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ:) এসে গালি বন্ধ করেন। বনু উমাইয়াদের মধ্যে সাহাবী পরবর্তী তিনিই শ্রেষ্ঠব্যক্তি ছিলেন। উম্মাহকে খেলাফায়ে রাশেদীনের পথে ফেরানোর জন্য সাহসী ভূমিকা অবতীর্ণ হোন হোসাইন (রা:)। ফলশ্রুতিতেই কারবালা ঘটে। বিস্তারিত -
কমেন্টে হাদীসের লিংক আছে
এখানে পাবেন।
আর কারবালা ও আহলে বায়াতের মহব্বতের নামে আব্বাসীরা ক্ষমতায় আসে, এবং বনু উমাইয়াদের নিরীহদের উপরও জুলুৃম চালায় কিন্তু আহলে বায়াত প্রাপ্য সম্মান পায়নি। এভাবে যুগ যুগ ধরে রাজতন্ত্র চলছে, তবুও তার মাঝে কিছু ভালো খলিফা ছিল।
জাবির ইনবে সামুরা থেকে বর্ণিত, রাসুল(সাঃ) বলেছেন, “১২ জন খলিফা হবে। তাদের প্রত্যকেই কুরাইশ বংশীয় হবে” সহি বোখারী ৯/৩২৯।
আলেমদের অভিমত হাসান (রা:) পর্যন্ত খলিফা ছিলেন ৫ জন। এছাড়া কেউ আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা:) আবার কেউ উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা:)-কেও খলিফা ধরেন। আর শেষ খলিফা হবেন মাহাদী (হাফি:)।
কোন ফেতনা সৃষ্টি করা উদ্দেশ্য নয়- কিন্তু যখন আহলে বায়াত হক্বের পথে থাকা নিয়ে কোন আলোচনা আসে তখন বহু হক্কপন্হী দাবিদার অন্যদের মিথ্যা ফজিলত বর্ননা করে ঠিকই কিন্তু যুগ যুগ ধরে আহলে বায়াতর প্রসঙ্গে সহীহ হাদীসগুলো এড়িয়ে যায়-
সাহস ও সত্যি ইসলামকে ভালোবাসলে এগুলো বর্ননা করুক- উম্মাহই বুঝে নিবে কোনটা হক্ব কোনটা বাতিল

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58559.96
ETH 3156.41
USDT 1.00
SBD 2.44