SEC17/W5|Do you believe in reincarnation?
![]() |
---|
"Edited by Canva"
Hello,
Everyone,
জানি অনেকটা দেরি হলো অংশগ্রহণ করতে, কিন্তু তবুও এই বিষয়ে নিজের অনুভূতি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছাটাকে আজ পূরণ করতে চলেছি।
আপনারা সকলেই জানেন এটি এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের পঞ্চম সপ্তাহ চলছে এবং এই সপ্তাহের বিষয়বস্তু হলো পুনর্জন্ম। পোস্ট ভেরিফিকেশনের কারণে, অনেকের অনেক পোস্ট পড়ার সুযোগ হয়েছে।
সকলেই নিজেদের মতন করে পুনর্জন্ম সম্পর্কে তাদের মতামত ও অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। আজ আমিও আমার নিজস্ব কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আশা করছি আপনাদেরও আমার পোস্ট পড়তে ভালো লাগবে।
শুরু করার আগে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে, আমি আমার তিনজন বন্ধু @farhanahossin, @sohanurrahman ও @sailawana কে আমন্ত্রণ জানাই। যাতে তারাও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে, নিজের মতামত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।
"Do you believe there is a reincarnation? Justify your belief."
পুনর্জন্মে আমি বিশ্বাস করি, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধুমাত্র মৃত্যুর পরে, নতুন করে পৃথিবীতে জন্ম নেওয়াকে পুনর্জন্ম হিসেবে ব্যখ্যায়িত করি না।
আমার মতে বেঁচে থাকাকালীন সময়েই কোনো দুর্ঘটনার কারণে, প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসাকেও পুনর্জন্ম বলা যায়। আপনারা সকলেই নিশ্চয়ই কখনো না কখনো এরকম সংবাদ শুনেছেন, যেখানে ডাক্তারেরা পর্যন্ত আশা ছেড়ে দেয় এবং রোগীর বাড়ির লোকজনদেরকে একটাই কথা বলেন - "ঈশ্বরই একমাত্র ভরসা, তাকে ডাকুন। আমাদের যতটুকু করণীয় ছিল আমরা করেছি, বাকিটা ঈশ্বরের ইচ্ছা।"
ঠিক এই পরিস্থিতির পরে, ঈশ্বরের কৃপায় পুনরায় সেই মানুষটি যখন সুস্থ হয়ে ওঠে, আমার মতে প্রকৃত অর্থে সেটি হল পুনর্জন্ম। যার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার গত বছর হয়েছে।
"Do you believe we get back our relationships through reincarnation? Describe."
হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি পুনর্জন্মের মাধ্যমে আমরা আমাদের পুরনো সম্পর্ক গুলিকে আরও বেশি শক্ত ও সুন্দর করে তুলতে পারি। আমরা প্রত্যেকে নিশ্চয়ই এ কথা মানবো যে, যতক্ষণ আমরা সমস্ত সম্পর্ক নিয়ে খুব ভালোভাবে বেঁচে থাকি, ততক্ষণ সেই সম্পর্কের প্রতি আমাদের অনেক অভিযোগ থাকে। অনেক সময় আমরা কিছু কিছু সম্পর্কের মূল্যায়ন করতে ভুলে যাই এবং সেই সম্পর্ক গুলোকে এতটাই সহজভাবে নিয়ে নিই যেন মনে হয় এই সম্পর্কগুলো কখনোই শেষ হওয়ার নয়। তাই আমরা যা খুশি করতে পারি।
ঠিক এরকম মুহূর্তে যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এবং কোনো সম্পর্ক আমাদের কাছ থেকে সারা জীবনের মতো শেষ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন যেন সেই সম্পর্ক গুলোকে আঁকড়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করি আমরা। তখন মনে হয় আমাদের সকল খারাপ ব্যবহার, মনোমালিন্য সবটা এক নিমিষে ভালোবাসায় পরিণত হয়। যেন মনে হয় সেই সম্পর্কটি ছাড়া এই গোটা পৃথিবীতে, আমাদের আপন বলতে আর কিছুই নেই।
ঠিক এইরকম মানসিকর টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে লড়াই করে, যখন আমরা সেই সম্পর্ককে আবার ফিরে পাই, তখন সেই সম্পর্কের আবার পুনর্জন্ম হয়। তখন সেই সম্পর্ককে আগলে রাখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। পূর্বের ভুলগুলো যাতে আর না হয়, সম্পর্কটাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে তখন সকলেই সমস্ত কিছু মেনে নিতে রাজি হই। আর ঠিক এরকম ভাবেই আমরা পুনর্জন্মের মাধ্যমে সম্পর্ক গুলোকে আরো বেশি শক্ত ও সুন্দর করে তুলতে পারি।
উদাহরণ হিসেবে আমি আমার জামাইবাবুর কথা বলবো। আপনারা প্রত্যেকেই তার এক্সিডেন্ট এর কথা শুনেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন এক্স আর্মি ছিলেন এবং আমার দিদি একজন সিস্টার ইনচার্জ। সংসারে থাকতে গেলে মনোমালিন্য সকলের ক্ষেত্রেই হয়, আমার দিদিরাও তার ব্যতিক্রম নয়। অনেক সময় সন্তানদের নিয়ে, অনেক সময় পরিবার নিয়ে, অনেক সময় নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত কারণ নিয়ে, একে অপরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করতো, যেটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়।
অনেক অভিযোগের পাহাড় হয়তো জমে ছিল দুজনের মধ্যে, কিন্তু তারা সব সময় এটাই ভাবতো যাই হয়ে যাক না কেন, এই ভাবেই জীবন কেটে যাবে। কিন্তু এই ভাবনাটায় বাদ সাধলো আমার জামাইবাবুর এক্সিডেন্ট। জামাইবাবু আইসিউতে ভর্তি থাকা কালীন সময়ে, আমি দিদিকে দেখেছি হতাশাগ্রস্থ হয়ে বসে থাকতে। ডাক্তারি প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে, দাদার পরিস্থিতি আমাদের থেকে অনেক বেশি ভালো ও বুঝতে পারতো। তাই দাদার ফিরে আসা, আর না আসার সম্ভাবনা সম্পর্কে ওর কাছে সমস্তটাই স্পষ্ট ছিল।
ঈশ্বরের কাছে অক্লান্ত প্রার্থনা ওকে আমি করতে দেখেছি। শুধু দাদাকে ফিরে পাওয়ার আশায়, ওর সন্তানের মুখ চেয়ে, ঈশ্বর যেন ওর স্বামীকে ফিরিয়ে দেয়, এই আকুতিটি ঈশ্বরও ফেরাতে পারেননি। অনেক লড়াই, অনেক কষ্ট, অনেক হতাশা কাটিয়ে, দিদি জামাইবাবুকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে।
কয়েকদিন আগে জামাইবাবুর দুটো ভিডিও দিদি আমাকে ও দেখিয়েছিলো। সেটা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। এমন একজন মানুষ কিভাবে অমন অবস্থায় পৌঁছাতে পারে, এই বিষয়টি মেলাতে পারছিলাম না কিছুতেই। অথচ দিদি প্রতিদিন নিজের চোখের সামনে, নিজের স্বামীকে ওই অবস্থায় দেখতো। আমি জানিনা ও নিজেকে কিভাবে সামলাতে। হয়তো ঈশ্বরকে সেই শক্তি দিয়েছিল।
তবুও সবকিছু শেষে, এক মাসের যুদ্ধ জয় করে ওরা ওদের সম্পর্কটাকে বাঁচাতে পেরেছে। জামাইবাবুর পুনর্জন্মের সাথে সাথে পুনর্জন্ম হয়েছে ওদের সম্পর্কেরও। ঈশ্বর অনেক পরীক্ষা নিয়েছেন, তবে ভবিষ্যতে যেন ওদের সবটাই ভালো হয়, এটুকুই আমার প্রার্থনা।
"Do you like to be born just like what you are in this life; Or would you wish to adopt any other person's life if there is a reincarnation? Explain the reasons behind your choice."
আমার জীবন সম্পর্কে আমার খুব বেশি অভিযোগ নেই। আমার চাওয়ার পরিধি যতটা ছোটো, পাওয়ার পরিধি তার থেকেও বেশি ছোটো, তবুও আমি খুশি। পরজনমে এই জীবন পেলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই। তবে হ্যাঁ পরজনমে আমি আমার মায়ের সন্তান হয়েই জন্মাতে চাই এবং মায়ের সাথে অনেকগুলো বছর কাটাতে চাই। কারণ এই জীবনে সেটা সম্ভব হয়নি।
এর পাশাপাশি নিজের মধ্যে শুধু কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে চাই। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরো বেশি করে পেতে চাই, পরনির্ভরশীলতা কমাতে চাই এবং এমন মানুষকে ভালবাসা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চাই, যে প্রকৃত ভালোবাসার মূল্যায়ন করতে পারে না। ব্যাস এতটুকু পরিবর্তন যদি জীবনে ঘটে, তাহলে আমার জীবন অনেক সুখের, অনেক আনন্দের হবে।
মৃত্যুর পরে পরজন্ম আছে কিনা সে বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই। কারণ সেটি সম্পর্কে কোনো প্রমাণ আজও কেউ দিতে পারেনি। তবে লোকমুখে অনেক কথাই অনেক সময় শুনেছি। মৃত্যুর পরের পরজন্ম সম্পর্কে আমার মনে একটাই বিশ্বাস আছে এ কথা আমি আগেও শেয়ার করেছি, আমার মায়ের মৃত্যুর পরে আমার মনে হতো আমার মা আমার দিদির সন্তান হয়ে ফিরে আসবে। কারণ দিদির শারীরিক অনেক সমস্যা থাকার সত্ত্বেও, একমাত্র মা ই বিশ্বাস করতো, আমার দিদির সন্তান হবেই। আর তেমনটাই হয়েছে। দিদির প্রথম সন্তান মেয়ে অর্থাৎ আমার মা, আমার তিতলি।
"Conclusions"
এই ছিল পরজন্ম সম্পর্কে আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি, যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের সকলের আমার পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো, সেটা অবশ্যই জানাবেন। প্রত্যেকে ভালো থাকবেন, ভালবাসায় থাকবেন। নিজের সম্পর্ককে আগলে রাখবেন। কারণ জীবন বড় অনিশ্চিত।
No, I don't
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
@tipu curate
দিদি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে আপনার লেখা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার মতো আমিও পুনর্জন্মে বিশ্বাস করি। আপনি ঠিকই বলেছেন শুধু মৃত ব্যক্তি পুনরায় জন্ম নিলেই যে পুনর্জন্ম বলা হবে এমনটা নয়। মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ফিরে আসাকেও পুনর্জন্ম বলা হয়। যেটা আমি আমার ঠাকুমা স্ট্রোক করার পর দেখেছি।
আপনার জামাই বাবুর ব্যাপারে জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। কখন যে কার সাথে কি হয়ে যায় সেটা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানে না। হয়ত সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনো শিক্ষা প্রদান করার জন্য এমন করে থাকে আমাদের সাথে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের সিজন ১৭ এর পঞ্চম সপ্তাহে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি পুনর্জন্ম বিশ্বাস করেন না। তবে এই পুনর্জন্মকে অন্যভাবে বিশ্বাস করেন।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন জীবনে চলার পথে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা হয়। এই যে যেকোনো সময় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে উঠাও এক ধরনের পুনর্জন্ম।
আপনার জামাইবাবুর কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
amazing presentation
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য। আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পড়ে আমার বেশ ভালো লাগলো। আপনি উত্তরগুলো একদম গুছিয়ে লিখেছেন এবং আমার লেখাগুলো শুধু পড়তেই মন চাচ্ছিলো। বিশেষ করে আপনার দিদি ও জামাই বাবুর ঘটনাটি। সত্যি দিদি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা পুণর্জন্মের সমান এবং সম্পর্ক জোড়া লাগাতেও এটি বেশ ভালোই ভুমিকা রাখে।
আপনি পুনর্জন্মের সঙ্গা দারুনভাবে দিয়েছেন। আমরা অনেকেই দূর্ঘটনার মুখ থেকে ফিরে আসি এবং নতুন জীবন পাই। এটিও আসলে আমাদের জন্য শিক্ষা। ভালো থাকবেন দিদি। প্রতিযোগিতায় আপনার সফলতা কামনা করছি।