ভালবাসা ভীতি
আস্ সালামু আলাইকুম, মানুষ সৃষ্টির সেরা আর এই সৃষ্টির সেরা জীব এক কথায় যে বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে পড়াস্ত তা হলো ভালোবাসা। আমরা ভালোবাসার কাঙ্গাল। ভালোবাসার মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে জয় করা যায়। মানুষ সবকিছুই উপেক্ষা করতে পারে কিন্তু ভালোবাসা কখনো উপেক্ষা করা যায় না। আজকে সৃষ্টির যত আচার-অনাচার, যুদ্ধ-শান্তি, শাস্তি-স্বস্তি, সমস্যা বা সম্ভাবনা সকল কিছুই ভালোবাসা থেকেই তৈরি।
আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকে ফোবিয়ার যে আলোচনা বিষয় সেটি হল ভালোবাসার প্রতি ভীতি। শুনতে আসলেই অবাক লাগে, আমিও আসলে অবাকই হয়েছিলাম। এটি দেখে প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারেনি কে এমন আছে যার ভালোবাসার প্রতি ভীতি কাজ করে? আমেরিকাতে একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১০ জনের একজন এবং কিশোর বয়সীদের মধ্যে পাঁচজনের একজন জীবনের কোন না কোন সময় এই ভীতিতে আক্রান্ত হয়। এই ভিত্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির ভিতর আবদ্ধ রাখে যেন সে কোনভাবেই ভালোবাসার সাথে জড়িত না হয়। এ ভিত্তিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেমন পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক পরিবর্তন থেকেও এ সমস্যা হতে পারে।
মূলত ছোটবেলায় পরিবারের দেখা দ্বন্দ কলহ, প্রেমের ক্ষেত্রে নেতিবাচক সাড়া পাওয়ার ভয়, প্রেমের কারণে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, প্রেমিকার সাথে নিজের মানসিক অমিলের ভয় ইত্যাদি আরো বেশ কিছু সমস্যায় ভোগার ফলে মানুষ এ ভীতিতে আক্রান্ত হয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের মধ্যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, উদ্বিগ্নতা, অতিরিক্ত ঘামা, বন্ধু-বান্ধবের সাথে মেলামেশা না করা সহ আরো বেশ কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়।
সঠিকভাবে ছয় মাস চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ হওয়া সম্ভব। কগনিটিভ বিহেভেরিয়াল থেরাপি ও ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্বিগ্ন ও উত্তেজনার বেশ কিছু চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে সেরে ওঠা সম্ভব।
একটা মজার বিষয় হল: কুইন এলিজাবেথ (১) এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত ছিলেন, তিনি কখনো বিয়ে করেননি, তাকে বিশ্বের একমাত্র ভার্জিন কুইন বলা হয়।
Image source: