ঘুরে দেখি

in Help4Help2 years ago

চকরিয়া উপজেলায় বদরখালী ইউনিয়ন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন এ বিভি প্রতিষ্ঠানে ভিজিট করি সেখানে আজকে আমার নতুন করে যাওয়া। যাওয়াতে দেখলাম বিশাল মাছের ঘের, সাগর, নারিকেল বাগান, মাছ বাজা, ধান খেত ইত্যাদি। অনেক ভালো লাগলো নিজের থেকে। যত দেখি তত ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে দুনিয়াতে নতুন করে জন্ম নিয়ে নতুন জায়গা দেখছি। একি বিশাল এক কান্ড। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্য দিকে দীর্ঘ পথ গাড়ি করে যাওয়া। নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া। কেমন যেন লাগছে। তবে পরিবেশ, শিক্ষকদের আপ্যায়ন আচার আচরণ ইত্যাদি সব কিছু ভালো লেগেছে। সেই অজু পাড়া গায়ে ঘুরে আসলাম নিজের কাছে খুব ভালো লেগেছে। গ্রামের দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। মনে হয়েছিলো জাল দিয়ে মাছ ধরে রান্না করে খায়।তবে ইচ্ছে আছে জাল দিয়ে ধরে রান্না করে খাবো। আরেটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে শিক্ষদের আন্তরিকতা। প্রচন্ড ভালো লেগেছেন। এই দৃশ্য কল্পনার চোখে দেখেছি এক সময়। অনুভব করেছি। তারপর বাস্তবে তা পরিণত হয়েছে আমার গ্রামে বা আমি যেসব গ্রামে যাই সেসব গ্রামের পথে। বাঁশঝাড়ের নিচে শুয়ে থেকে বৈশাখের অগ্নিতপ্ত দিন পার করে দিয়েছি মৃদু-মন্দ বাতাসে। অসাধারণ সেই অনুভূতি। বস্তুতপক্ষে বিশ্বের প্রধান প্রধান শহর সবগুলোই আমার দেখা। কিন্তু বারে বারে আমি ফিরে এসেছি আমার গ্রামে, আমাদের গ্রামে। আমি অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবকে ঠাট্টা করে বলি যে, নিউইয়র্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে সড়ক ফিফ্থ অ্যাভিনিউ, সেই ফিফ্থ অ্যাভিনিউ দিয়ে হাঁটছি সবকিছুই সুচারু ভারি সুন্দর দৃশ্য। পাশেই সেন্ট্রাল পার্ক। ফুলে ফুলে ভরা। হঠাৎ আমার মন উড়ে যায় আকাশে। প্রায় অর্ধ-বিশ্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যায় আমার গ্রাম রতনপুরে। সবুজ ধানক্ষেতের বুক চিরে যে মেঠো পথ, সেই পথ বেয়ে আমি হেঁটে চলি দূর দিগন্তের দিকে। সামনেই আঁকাবাঁকা নদী বর্ষায় থাকে যৌবন যুদ্ধে মত্ত। শুকনো মওসুমে বাধ্যর্কে পায় তাকে। বাংলার ষড়ঋতু দেখতে হলে, গ্রামে যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেই মোহেই আমি পৌঁছে যাই গ্রামে যখন-তখন।
IMG_20220606_133146.jpg

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 59046.50
ETH 2654.73
USDT 1.00
SBD 2.50