ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ

in Cric-World 🏏3 years ago


image.png
source

যুগে যুগে ক্রিকেটের আবিষ্কারক এবং তীর্থভূমি ক্ষ্যাত ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে অনেক রথি-মহারথিদের আগমন ঘটেছে। তাদের মধ্যে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বকালের সেরা ইংলিশ একাদশ বানানোর চেষ্টা করেছি।

১)Jack Hobbs - আপনি উনিশশো দশ,পনেরো,বিশ কিংবা পঁচিশ সালে মাঠে বসে খেলা দেখছেন আর আমার সামনে একজন ব্যাটসম্যান ১০০ এর উপরে স্ট্রাইকরেট নিয়ে বিখ্যাত সব বোলারদের উপর ছুরি ঘোরাচ্ছে! ভাবতেই শরীরের মধ্যে উত্তেজনা এবং রোমাঞ্চ সৃষ্টি হয়!! রূপকথার মতো শোনালেও জ্যাক হোবস ছিলেন এমনই একজন ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে ৬১ ম্যাচে ৫৬.৯ গড়ে ৯৯.৩ স্ট্রাইকরেট নিয়ে করেছেন ৫৪১০ রান যা ইতিহাসের যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য ঈর্ষনীয়। তবে এখানেই তার কৃত্তির শেষ হয়নি। ফার্স্ট ক্লাসে তিনি যা করেছেন তা রীতিমতো পাঠকের চোখকে কপালে তুলবে। ৫০ গড়ে তার ফার্স্ট ক্লাস রানের সংখ্যা ৬১৫৬০!!! তার থেকে বেশি ফার্স্ট ক্লাস রান ক্রিকেট ইতিহাসে আর কেউ করেনি। এছাড়া তার আছে ১৯৯টা শতকের রেকর্ড যা আজ-অব্দি অক্ষত। এজন্য তিনি ক্রিকেটে 'দ্য মাস্টার' হিসেবে ক্ষ্যাত। ক্রিকেট যতদিন থাকবে, স্যার জন বেরি হোবসের নামও ততদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

২)Len Hutton(captain) - সময়টা ১৯৩০। লীডসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৪ রানের একটা ইনিংস খেলে ততকালীন সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড করেন অলটাইম গ্রেট ডন ব্রাডম্যান।সেই ইনিংস গ্যালারি থেকে উপভোগ করে এক ইংলিশ যুবক। ৮ বছর বাদে ওভালে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে ২২ বছরের এক যুবক ৩৬৪ রানের এক ইনিংস খেলে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিলেন!! গ্যালারিতে বসে নিজ দলের তরুণ এক ছেলে নিজের ৩৩৬ রানের অলটাইম রেকর্ডটাকে চুরমার করে দিলো সেটা চেয়ে চেয়ে দেখলেন ইংলিশ ক্যাপ্টেন ওয়ালি হ্যামন্ড। তখন আবার মাঠে ফিল্ডিং টিমের ক্যাপ্টেন ৮ বছর আগে বিশ্বরেকর্ড করা সেই ব্রাডম্যান! সাবেক দুই সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিকের সামনে তাদের রেকর্ড ভাঙার থেকে মধুর আর কি হতে পারে! গ্যালারিতে থাকা সেই ছেলেটি কিংবা রেকর্ড ভাঙা এই যুবক, দুজনই একই ব্যক্তি, ইনিই স্যার লেন হাটন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৯ টেস্টে ৫৬.৬৭ গড়ে ১৯টা হান্ড্রেড নিয়ে করেছেন ৬৯৭১ রান। ফার্স্ট ক্লাসেও আছে ৫৫.৫ গড়ে ৪০১৪০ রান।

৩)Wally Hammond - ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা নাম্বার থ্রি কে? এই প্রশ্নের জবাবে ডন ব্রাডম্যানের পর যে ২-৩ জনের নাম আসবে তার মধ্যে ওয়াল্টার হ্যামন্ডের নাম অবশ্যই থাকবে। ক্রিকেট ইতিহাসের মোস্ট সেলিব্রেটেড ক্রিকেটারের তালিকা করলেও সেখানে এই নামটা বেশ জোরেসোরেই উচ্চারিত হবে। হ্যামন্ডের জীবন যুদ্ধটা শুরু হয়ে যায় মাত্র ৬-৭ বছর বয়সেই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বাবাকে হারানো হ্যামন্ড স্কুলে যাওয়ার আগে কখনো কারো কাছ থেকে ক্রিকেটের তালিম নেননি! নিজেই নিজেকে শিখিয়েছেন ক্রিকেট। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি কোনো কোচের থেকে কিচ্ছুটি শেখেননি! যার জন্য তাকে 'self taught cricketer' বলা হয়। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা স্লিপ ফিল্ডার কে? এটার উত্তর ওয়ালি হ্যামন্ড। তার মতো এতো শার্প ক্যাচ টেকার ক্রিকেট আর কখনো দেখেনি। অবশ্য তার এই অতিমানবীয় ফিল্ডিং দক্ষতা ঢাকা পড়ে যায় আরো ভালো ব্যাটিং এর জন্য। ১৯৩৪ সালে ৩৩৬ রানের ইনিংস খেলে ডন ব্রাডম্যানের রেকর্ড ভেঙে করেন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার নতুন রেকর্ড। সেদিন তিনি অপরাজিত থেকেই ইনিংস শেষ করেন। তিনি যে ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন ব্যাটসম্যান তা বোঝা যায় তার স্ট্যাট দেখলে। ৮৫ টেস্টে ৫৮.৪৫ গড়ে করেন ৭২৪৯ রান,সাথে ফার্স্ট ক্লাসে করেন ৫০,০০০+ রান। এই ৮৫ ম্যাচে তিনি উইকেটও নিয়েছেন ৮৩ টা। তবে সবথেকে আশ্চর্যজনক স্ট্যাটটা হলো টেস্টে ১১০টা ক্যাচের সঙ্গে সারাজীবন তিনি ক্যাচ ধরেছেন ৯৩০ টা! এমন স্ট্যাটের মালিক ২০ বছর বয়স পর্যন্ত কোচের থেকে কিচ্ছু শিখেনি বিষয়টা সত্যিই রূপকথার গল্পের মতো।

৪)Ken Barrington - ক্রিকেট ইতিহাসে ৫০০০+ রান করা প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ এভারেজধারী প্লেয়ারদের তালিকা-
১.ডন ব্রাডম্যান
২.স্টিভ স্মিথ
৩.কেন ব্যারিংটন
৪.ওয়ালি হ্যামন্ড
৫.গ্যারি সোবার্স

শুধুমাত্র এই স্ট্যাট দিয়েই বোঝা যায় ব্যারিংটোন কতটা ধারাবাহিক ছিলো। ইন্টারেসটিং একটা ফ্যাক্ট হলো প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হওয়ার সাথে সাথে ব্যারিংটোনের দৃঢ়তা আরো বৃদ্ধি পেতো। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট গড় ৬৩.৯৬!! ক্যারিয়ার গড় ৫৮.৬৭। এই দুইটা স্ট্যাই যথেষ্ট ব্যারিংটোনের মহত্ত্ব প্রমাণ করার জন্য।

৫)Kevin Pietersen - ৫ নাম্বার পজিশনে ডেনিশ কম্পটনকে না দেখে হয়তো পাঠক অবাকই হবেন, হওয়ারই কথা। ৫০+ গড়ে ব্যাট করা কম্পটন কিংবা মে কে এতো সহজে সর্বকালের সেরা একাদশ থেকে বাদ দেওয়া যায় না। কিন্তু কয়েকটা দিক বিবেচনায় আমি পিটারসেনকে পিক করেছি। ১০৪ টেস্টে ৪৭.২৮ গড়ে ৮১৮১ রান। ফার্স্ট ক্লাসের গড়টাও পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, ৪৯.৭৬। ইতিহাসের সেরা অ্যাশেজ সিরিজের বিতর্কে ২০০৫ সালেরটা অবশ্যই থাকবে আর সেবার ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলো পিটারসেন। অ্যাডিলেডে ২২৭,লডসে ২০২ কিংবা প্রতিকূল পরিবেশে, ভাঙা পিচে ইন্ডিয়াতে ১৭৫,,এমন অসংখ্য নজির আছে। এছাড়া টেস্ট ইতিহাসের সবথেকে দ্রুততম সময়ে ৫০০০ রান করার রেকর্ডও করছিলো কেভিন পিটারসেন। কিছু বিতর্কিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলে তার ক্যারিয়ার থাকতো এক অনন্য উচ্চতায়। এমন এন্টারটেইনিং ব্যাটসম্যান খুব কমই দেখেছে বিশ্ব। [আমার চাইল্ডহুড হিরো]

৬)Ian Botham - অভিষেক ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে ৪৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রীজে জয়ের স্বাদ দিতে তার অবদান ছিলো অনেক বেশি। পরের সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ টেস্টে ২ হান্ড্রেডের সাথে আবার এক ইনিংসে লর্ডসে ৩৪ রানে ৮ উইকেট! অনেকটা স্বপ্নের মতোই ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো স্যার ইয়ান বোথামের। এরপর প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে তৎকালীন বিশ্বসেরা দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একই টেস্টে ১০ উইকেট এবং হান্ড্রেড করেন। ক্যারিয়ারে হঠাৎ পতন আসলেও থেমে যায়নি বোথাম। ফলোঅনে পড়ে ১৪৯ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৩০ রানের টার্গেট দাড় করার বোথাম। সেই ম্যাচ ইংল্যান্ড ১৮ জিতে যায় এবং এটা ছিলো ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় এমন ঘটনা যেখানে ফলো অনে পড়া দল টেস্ট জিতছিলো! এমন হাজারো সুখস্মৃতি আছে স্যার ইয়ান বোথামকে নিয়ে। ক্যারিয়ার জুড়ে ১০২ টেস্টে ৩৩.৫০ গড়ে ৫২০০ রান সাথে ২৮.৪ গড়ে ৩৮৩ উইকেট, সাথে লিস্টে এ আর ফার্স্ট ক্লাস মিলে প্রায় ৩০,০০০ রান আর প্রায় ১৮০০ মতো উইকেট। লিখিত, অলিখিত এমন সব স্টাট নিয়ে ইয়ান বোথাম ক্রিকেট ইতিহাসে বিবেচিত হন ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার হিসেবে।

৭)Alan Knott - ১৯৬৮ সালের কথা।বারমুডায় পঞ্চম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা চলছে। ড্র করলেই সিরিজ ইংল্যান্ডের, হারলে সিরিজ ড্র হয়ে যাবে। চতুর্থ ইনিংসে লেন্স গিবসের ঘূর্ণিতে দিশেহারা ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। ৪১এই চলে গেছে ৫টা! ব্যাটে আছে ক্যাপ্টেন কলওন কউড্রে এবং আনকোরা অ্যালান। তারা দেখেশুনে খেলতে শুরু করলো এবং একটা শতরানের পার্টনারশিপও তৈরি হলো।কিন্তু হঠাৎ ৮২ করে কাপ্তান আউট হলে ফিরে গেলো! ফলে ১২৭ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে গেলো। তখন ৪ উইকেট নেওয়ার জন্য উইন্ডিজদের বিশ্বসেরা বোলিং লাইনআপের হাতে আছে আরো ১ ঘন্টারও বেশি! সবাই ধরে নেওয়া শুরু করলো ইংল্যান্ড হারতেছে। যা আশঙ্কা হলোও তাই! একে একে ফিরে গেলো ৩ ব্যাটসম্যান। কাপ্তান কউড্রে আর স্টার গ্রেভেনি নিজেদেরকে বাথরুমে পুরে ভেতর থেকে লক করে দিলো! এতো কাছে এসেও সিরিজটা জেতা হবে নাহ এটা তারা মানতে পারছিলো না! কিন্তু তখনও অ্যালান নট আউট। শেষ ওভারে অপর প্রান্তে আছে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান জেফ জোনস। অ্যালান শান্ত থেকে জোনসকে গাইড করে শেষবেশ ম্যাচটা ড্র করে সিরিজ জিতিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরলেন! এটা ছিলো অ্যালানের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। অবশ্য ব্যাটিং এর জন্য না,ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা সকল একাদশে তাকে নেওয়া হয় তার অসাধারণ উইকেট কিপিং এর জন্য। ঘন্টার পর ঘন্টা উইকেটের পেছনে মনঃসংযোগ ধরে রেখে পুরো ম্যাচে কোনো রান কনসিড করেনি এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে বহুবার। ৯৫ টেস্টে ২৫০ টা ক্যাচ আর ১৯টা স্ট্যাম্পিং, সাথে ৩২ গড়ে ৪৩০০+ রান। ফার্স্ট ক্লাসেও আছে সাড়ে তেরশ ডিসমিসালের রেকর্ড। তবে সব ছাপিয়ে যায় তার রান কনসিড না করে, সারাদিনেও ভুল না করে মনোঃসংযোগ ধরে রাখার দক্ষতাটা।

৮)Freddie Trueman - স্কিপটনে ট্রুমানের স্ট্যাচু যেনো তার বিশলতাকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বর্ণনা করছে। এমন অসাধারণ বোলার কতজনই বা হতে পারে! ফিউরি ফ্রেড নামে পরিচিত ফ্রেডি রবিনহুডের ইয়র্কশায়ারের বহু ইংলিশ তরুণের ক্রিকেটীয় আইকন ছিলো। পেসার তো বটেই, নিজের চমৎকার ব্যক্তিত্বের জন্যও তিনি ছিলেন বহুল জনপ্রিয়। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম প্লেয়ার হিসেবে ৩০০ উইকেট শিকারী এই ফ্রেডি। ব্রেইন স্ট্যাটামের সঙ্গে বহুবছর ইংলিশ বোলিং ওপেন করেছিলেন, যেই জুটি বর্তমান ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটির মতোই জনপ্রিয় ছিলো। ৬৭ টেস্টে ২১.৩৭ গড়ে ১৭টা ফাইফারের সঙ্গে নিয়েছেন ৩০৭ উইকেট যা সেসময় পর্যন্ত বিশ্বের সেরা স্ট্যাট তো বটেই, এখনকার সময়ের প্রেক্ষাপটেও ওয়ান অব দ্য বেস্ট।
ফ্রেডি শুধু ভালো বোলারই ছিলো না, লোয়ার অর্ডারে দারুণ ব্যাটও করতো। বর্তমানে যে ইংলিশ বোলাররা প্রয়োজনে ভালো ব্যাট করে দলকে সাহায্য করে এটা ফ্রেডিই চালু করছিলো। ১৩.৪১ গড়ে করেছেন ৯৮১ রান, ফার্স্ট ক্লাসে আবার ৩টা সেঞ্চুরিও ছিলো! এছাড়া ফ্রেডি ছিলো একজন অসাধারণ ফিল্ডার বিশেষ করে লেগ স্লিপে তো তার জুড়ি মেলা ভার!

৯)Derek Underwood - ৭০এর দশকে রিস্ট স্পিন আর ফিঙ্গার স্পিনের মিশেল ঘটিয়ে ব্যাটসম্যানদের উপর রীতিমতো ছড়ি ঘোরানো শুরু করছিলো আন্ডারউড। কতজন যে তার আর্ম বলে কাবু হয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে প্যাভিলনে ফিরেছে তার ইয়ত্তা নেই। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটার বল কখনো ব্যাটিংদের মুখে হাসি ফোটাতো না। স্পিনের পাশাপাশি সে আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী মিডিয়াম পেসও করতো! এজন্য তার নিকনেইমই দেওয়া হয়েছিলো 'ডেডলি' ইংলিশ বোলিংসাইড এতটাই তার উপর নির্ভরশীল ছিলো যে তাকে নিয়ে একটা প্রবাদ চালু হয়েছিলো 'England would carry Underwood like an umbrella, in case of rain' পুরোটা ক্যারিয়ার জুড়ে তাকে সময়ের সেরা অথবা অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। লোহমান এবং রোডসের পর তৃতীয় কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ফার্স্ট ক্লাসে ১০০০ উইকেট পূরণ করে আন্ডারউড। সে সবসময় একটা কথা বলতো 'বোলিং একটা নিন্মমানসিকতার পেশা। সামনে-পিছে বল করো,লাইন-লেন্থ ঠিক রাখো, কিন্তু এটা ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ব্যাটসম্যান কোনো ভুল করে এবং আগে হোক বা পরে, ব্যাটসম্যান ভুল করবেই' ৮৬ টেস্টে ২৫.৮৩ গড়ে তিনি নিয়েছিলেন ২৯৭ উইকেট এবং তার মধ্যে ছিলো ১৭টা ফাইফার। এছাড়া ১৫৩টা ফিফফার সহ ২০ গড়ে তার ফার্স্ট ক্লাস উইকেট সংখ্যা ২৪৬৫!

১০)Sydney Barnes - সিডনে ফ্রান্সিস বার্নস, তার নামটাই যথেষ্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তার মহত্ত্ব কিংবা গুরুত্বের প্রমাণের জন্য। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা ২৭ টেস্টে ৩৪ বারই নিয়েছেন ৫ উইকেট! যার মধ্যে ৭ বার ছিলো ১০ উইকেট,ক্যারিয়ার এভারেজ ১৬.৪৩!!!ফার্স্ট ক্লাসে ১৩৩ ম্যাচে ৬৮ টা ফিফফার,গড় ১৭.০৯। দুই জায়গাতেই ক্যারিয়ার বেস্ট বোলিং ফিগার ১ ইনিংসে ১০৩/৯। বিশ্বের যে কোনো একাদশে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এমন স্ট্যাট যথেষ্ট।

১১) James Anderson -টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের পেস বোলারদের মধ্যে লিডিং উইকেট টেকার, একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেট এবং ওভারঅল চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী জেমস মিচেল অ্যান্ডারসন। অনেকের কাছেই জিমি তার সময়ের সেরা পেসার এবং তর্ক ছাড়াই ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট পেসার অব অলটাইম। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলা জিমি এখন পর্যন্ত ১৬২ ম্যাচে ৩০টা ফাইফার সহ ২৬.৬৭ গড়ে নিছে ৬১৭ উইকেট। এছাড়া ২৬১ ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে ৫১টা ফাইফারের সঙ্গে ২৪.৮৫ গড়ে নিয়েছে ১০০২ উইকেট।

পরিশেষে বলবো পৃথিবীর সকল একাশন নিয়েই সবসময় তর্ক বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনা ছিলো, তা সে ব্যক্তি মতামতেই তৈরি হোক কিংবা ভোটাভুটিতে হোক। এই একাদশটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি করেছি। আশা করি সেহিসেবেই নিবেন এবং ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Sort:  

This post has been upvoted by @boss75 from @steemcurator07 Account with support from the Steem Community Curation Project.

For more updates, keep following @steemitblog.

Best Regards!!!

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 68916.78
ETH 3733.42
USDT 1.00
SBD 3.73