"অনেকদিন পরে বাড়ির বাইরে আমি আর পিকলু"
(বাগান বাড়ির গাছ)
বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা?আশাকরি সকলেই ভালো আছেন।আজকের দিনটা আপনাদের ভালোই কেটেছে।
আসলে কালকের ওই খারাপ ঘটনাটা শোনার পর থেকেই মনটা বেশ খারাপ ছিল।কালকের দিনে দাড়িয়েও ভাবিনি আজকের দিনটা এতটা ভালো ভাবে শুরু হবে।আসলে এমনটাই হয় বোধহয়, কষ্ট যিনি দেন,সহ্য করার ক্ষমতা ও তিনিই দিয়ে দেন।না হলে আমরা আমাদের প্রিয়জনকে হারিয়েও এইভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম না।
যাইহোক আজ ছুটির দিন তাই ভেবেছিলাম একটু বেলা অবধি ঘুমাবো।আসলে কাল রাতে ভালো করে ঘুম হয়নি। তবে যেমন ভাবী ঠিক তার উল্টোটাই হয় আমার সাথে।জানিনা আপনাদের সাথে এমনটা হয় কিনা।এই কারণেই ঘুম ভাঙলো ৭ টারও একটু আগে।এপাশ ওপাশ করে শুয়ে রইলাম কিছুক্ষন।তারপর উঠেই পড়লাম।রোজকার মত আজ রান্না নেই,যেহেতু শুভর অফিস ছুটি।তাই শুধু জলখাবারের জন্য রুটি করলাম।
(বাগানবাড়ি যাওয়ার পথে একটা বাড়ীর গেটে এমন ফুল ফুটেছে)
আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে শুভর মামাদের একটা বাগানবাড়ি আছে।কাল রাতে ওই বাড়ি নিয়েই কথা হচ্ছিল আমার শাশুড়ি মায়ের সাথে।অনেকটা জায়গা নিয়ে বাড়ি,বাড়ি ভর্তি বিভিন্ন ফুল গাছ,ফল গাছ লাগানো।আমার শাশুরির পিসির মেয়ে ওই বাড়িতে থাকে,মূলত বাড়িটিতে তাদের থাকতে দিয়েছে যাতে বাড়িটা ঠিক থাকে।যেহেতু শুভর মামারা সবাই কল্যাণী থাকে। তাই এই বাড়িটি এমনই পড়ে থাকে। তাই ওই মাসিরাই এখন থাকে এখানে।কয়েক মাস বাদে বাদে এসে মামারাএকটু বেড়িয়ে যায়। শহর থেকে গ্রামে যেমন সবাই ঘুরতে আসে ঠিক তেমনই।
মা কাল রাতে বললো,বাগানবাড়ি গিয়ে একটু ঘুরে আসার কথা। ওই বাড়ীর মাসি নাকি আমায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে।আসলে আমাকেও বলেছে অনেকবার, যাওয়া হয়ে ওঠে না খুব একটা।অনেক দিন আগে একবার গিয়েছিলাম।তাই আজ তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙেছে,তারপর আবার শুভর অফিস ও নেই, মনটাও ভালো লাগছিল না তাই মা কে বললাম চলো ঘুরে আসি আজ।
(আমার সাথে যাওয়ার বায়না তার, ঘর থেকে বেরিয়ে আমাদের গলিতে এসে আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে)
আমায় রেডি হতে দেখে পিকলু বাবুর কি লাফালাফি।কিছুতেই আমায় ছাড়লো না।অগত্যা তাকে নিয়েই গেলাম।আজ রবিবার পিকলুকে এমনিও স্নান করাবো।তাই ভাবলাম একটু মাটি মেখেই আসুক। বেল্ট পরিয়ে তাকে রাস্তায় বের করতেই তিনি মহা খুশি।
ওই বাড়িতে ঢুকতেই দৌড়াদৌড়ি শুরু তার। আর তার পেছন পেছন আমাকেও দৌড়াতে হলো।কারণ অন্য কুকুরেরা ও মাঝে মাঝে চলে আসে ওই বাড়িতে, তাদের কাউকে দেখলেই পিকলু ছুটবে।তখন ওকে ধরা খুব মুশকিল।খুব জোড়ে দৌড়ায় দুষ্টুটা।
( বাগান বাড়ি ঢুকেই তার সেকি আনন্দ)
এইভাবে বেশ খানিকক্ষণ খেলা চললো তার।আমারও বেশ কষ্ট হলো দৌড়ে দৌড়ে।এরপর বসে একটু গল্প করলাম। ঘুরে ঘুরে বাড়িটা দেখলাম।কতো বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে গতবছর আম্ফান ঝড়ের সময়।
(আম্ফনে উপড়ে যাওয়া আম গাছের গুঁড়ি)
( গাছের গুঁড়ির উপর পিকলু বাবু)
আসার সময় বেশ কিছু জামরুল পারলাম আমি আর মা।আসলে বৃষ্টির কারণে বড় বড় জামরুল গুলো গাছের নীচে পড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। গাছ থেকে ছোট ছোট কয়েকটা পাড়তে পেরেছি। ওই বাড়ীর মাসি অনেক গুলো আম দিয়ে দিল।জোর করে কেক খাওয়ালো। পিকলু আবার একটা বিস্কুট খেলো।
(মাসীর দেওয়া আম আর আমার ও মায়ের কষ্ট করে পেড়ে আনা জামরুল)
এইভাবে সকালটা ভালোই কাটলো।আসলে এক টানা অনেকদিন ঘিরে বসে বসে আমিও বিরক্ত হচ্ছিলাম।তাই আজ ওই বাড়ীতে গিয়ে ভালোই লাগলো। আর সবথেকে ভালো বোধহয় আমাদের পিকলুর লেগেছে।খুব মজা করেছে,আসলে খোলামেলা জায়গা তো পায় না।তার উপর আবার মাটি।খুব মাটি মেখেছে আজ।
(মাটিতেই টানটান হয়ে শুয়ে পড়েছে পিকলু বাবু)
এরপর বাড়ি এসে আগে ওকে স্নান করলাম।বেচারা বাড়ি ফিরে খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল।যাইহোক, আর পাঁচটা দিনের থেকে একটু আলাদা কাটলো দিনটা। পিকলুর দুষ্টুমির কিছু ছবি দিলাম।আশাকরি দেখে ভালো লাগবে আপনাদের। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,সাবধানে থাকবেন।🙏
So lovely dog. How old is it? #affable
@brahmaputra Thank you 😊. He is now 1year 5th month old.
@sampabiswas very vivid and real photographs.. your Piklu is beautiful.