Better life with steem. The diary game.16.08.2024.some work day .
আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।তারপর সকালের খাবার খাই।
খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করি। প্রত্যেক খাবারের পর আমি চেষ্টা করি দু-তিন মিনিট ধীরে ধীরে হাঁটাচলা করার জন্য।
আজকে শুক্রবার তাই তেমন কোন কাজ করার প্রস্তুতি নেইনি। সকালের খাবার খেয়ে আমি বাড়িতে বসে রইলাম। বাড়িতে ছোট ছোট কাজগুলো করার চেষ্টা করলাম। তারপর একটা গাছের নিচে বসে বেশ কিছুক্ষণ ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করলাম।
শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য আমি বাড়িতে এসে সাড়ে এগারোটার দিকে গোসল করলাম। গোসল করে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে ওযু করলাম। তারপর নামাজ পড়তে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করলাম। আমাদের মুসলিম প্রদান দেশগুলোতে শুক্রবারের সম্মানটা অনেক বেশি। যারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারেন না বা করেন না তারাও জুমার নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে চলে আসেন। মসজিদের ভিতরে সপ্তাহে একদিন হলেও অনেকের সাথে দেখা হয়। অনেকের খোঁজখবর নেওয়া যায়। নামাজ শেষে অনেকের সাথে অনেক রকমের আলোচনা হয়ে থাকে। তোমার নামাজ আদায় করে আমি একটা ৫০ মিনিটের দিকে আমার বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম নিলাম।
আজকের দিনের আবহাওয়াটা খুবই উত্তপ্ত ভাবে কাটছে। আকাশে হালকা সাদা মেঘ থাকলেও রোদের প্রখরতা কত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেশি। আমি আমার জমিতে কি কাজ করার জন্য রোদের মধ্যেই ছাতা নিয়ে বের হয়ে পড়লাম।
জমিতে এসে হাতাটা মাথায় নিয়ে কিছুক্ষণ হেঁটে জমিগুলো দেখলাম। কিছুদিন আগে জমিতে গাছ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক ধরনের বিষ প্রয়োগ করেছি। সেই বিষগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কিনা সেটা দেখলাম। দেখতে পারলাম যে যা আছে বিষের কাজ শুরু হয়েছে কিছু গাছ লালচে কালারের হয়ে গেছে।
কিছুক্ষণ সময় ঘুরে ঘুরে জমি গুলো দেখার পর আমি একটা গাছের ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে রইলাম। তখন আমাদের গ্রামের পরিচিত এক ভাই এসে আমার পাশে দাঁড়ালো। ভাইয়ের নাম মোঃ এরশাদ মিয়া। যে তার জমিতে গাছ নিধন করার বিষ প্রয়োগ করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে এসে গাছের নিচে বসে আমার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করলো। আমিও তার সাথে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করলাম।
আমাদের জমিগুলো এখন ফাঁকা হয়ে রয়েছে। তাই এলাকার লোকজনের গৃহপালিত পশু গুলো জমিতে ছেড়ে দেওয়া আছে। সারাদিন গরু ছাগল ভেড়াগুলো ঘুরে ঘুরে গাছ খাচ্ছে। ছবিতে গাছ মারার জন্য যে বিষ প্রয়োগ করা হয় এটা গৃহপালিত পশু ছেলে তাদের পেটের হজম শক্তির সমস্যা হয়। সেজন্য যে জমিতে বিষ প্রয়োগ করা হয় সেখানে সহজে কেউ গরু দিয়ে ঘাস খাওয়াতে চায় না। কিন্তু গরুগুলো দড়ি দিয়ে বাধা না থাকায় ঘুরে ঘুরে জিনিস প্রয়োগ করা জমিতে গাছ খেয়ে থাকে।
বড় ভাই একসাথে সাথে অনেকক্ষণ গল্প করে জমিগুলো দেখে আমি আবার হেঁটে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম। আমার বাড়িতে আসতে 10 থেকে 12 মিনিট সময় লাগে। অনেক তাপ থাকার কারণে বাড়িতে আসতেই শরীর ঘেমে গেছে। তাই বেশ কিছুক্ষণ সময় বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে শরীরটা ঠান্ডা করে নিলাম। তারপর আবারও গোসল করে নিলাম। গোসল করে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। তারপর আমি হাত মুখ ধুলাম। তারপর আমি বাজারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে অটো রিক্সার মাধ্যমে বাজারে চলে আসলাম। বাজারে এসে আমার আবাদি জমিতে সার প্রয়োগ করার জন্য একটা দোকান থেকে কিছু সার ক্রয় করলাম। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম মোঃ আহাদ মিয়া। তার বাড়ি আমাদের গ্রামে। তার দোকান থেকে মাঝেমধ্যে আমি বিভিন্ন রকমের কীটনাশক রাসায়নিক সার ক্রয় করে থাকি
সার ক্রয় করে ক্রয় মূল্য পরিশোধ করলাম। তারপর একটা অটো ডেকে নিয়ে আসলাম। অটোর মধ্যে বস্তাগুলো তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম। বাজার থেকে বাড়িতে আসতে অটোওয়ালাকে বস্তাপতি 15 টাকা করে দিতে হলো। বাড়িতে বস্তাগুলো নামিয়ে দিলাম। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রাতের খাবার খেলাম। খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এখানেই শেষ করলাম সকলকে আবারো সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এতো সুন্দর একটি মুহূর্ত, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।