Steemit Engagement Challenge S12W4 | Decide, act, and release.
"Edited by canva" |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের দিনটি আজকে অনেক ভালো কাটছে।
আমার লেখা শুরু করার পূর্বে আমি আমাদের অ্যাডমিন ম্যামকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি আমাকে এই কমিউনিটির এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সত্যি কথা বলতে এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের চতুর্থ সপ্তাহের বিষয় বস্ত হিসাবে, এই কমিউনিটি কর্তৃপক্ষ খুবই সুন্দর একটি বিষয়কে নির্বাচন করেছেন। যেটা সম্পর্কে আমার নিজের অভিজ্ঞতা ও মতামত লিখতে ভালো লাগবে, পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল ইউজার অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের পোস্ট পড়েও অনেক কিছু জানতে পারবো। আসুন তাহলে আমি আমার লেখা শুরু করি, -
What does forgiveness mean to you? |
---|
আমাদের বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে "ক্ষমা পরম ধর্ম"। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এই প্রবাদে বিশ্বাসী। কারণ যদি কোনো ব্যক্তি নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়ার মতন আত্মতৃপ্তি বোধহয় কিছুতেই নেই।
ঠিক অন্যভাবে যদি ভাবি, আমার দ্বারা যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তাহলে যে ব্যক্তির কাছে আমার ভুল হয়েছে, তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার থেকে আর বড় প্রায়শ্চিত্ত বোধহয় কিছু হয় না।
তবে যদি কোনো ব্যক্তি একই ভুল বারংবার করে, তাহলে কিন্তু সেটাকে ভুল বলে গণ্য করা হয় না। তখন সেটা অন্যায়ের তালিকাভুক্ত হয়। আর আমি নিজে ভুল করলে তাকে ক্ষমা করাতে বিশ্বাসী, কিন্তু একই ভুল বারংবার করে যে অন্যায় করে, তাকে ক্ষমা করাতে বিশ্বাসী নই।
তাই ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, প্রথমে আমার নিজের এটা বুঝতে হবে- যে ব্যক্তি আমার কাছে ক্ষমা চাইছে, সে আদেও ভুল করেছে নাকি অন্যায়। তারপর আসে ক্ষমা করা বা না করার প্রসঙ্গ।
In your childhood, do you remember your parents forgiving you for any mischief? Tell us about it. |
---|
আমার মনে হয় শুধু আমার বাবা-মা নয়, পৃথিবীর প্রত্যেকটি বাবা-মা ছোটবেলায় তার সন্তানের করা অনেক অন্যায়কে ক্ষমা করেন। তার পাশাপাশি তারা তার সন্তানদেরকে সঠিক শিক্ষাও দিয়ে থাকেন।
এই কারণেই ছোটবেলা থেকে কোন কাজটি করা উচিত এবং কোন কাজটি করা আমাদের জন্য উচিত নয়, এই সমস্ত বিষয়ে প্রথম শিক্ষাটা আমরা আমাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকি।
ছোটবেলার প্রত্যেকটি বাচ্চার মতন আমিও অনেক দুষ্টুমি করেছি এবং আমার বাবা-মা প্রতিবারই আমার সেই দুষ্টুমিকে ক্ষমা করেছেন। আমি আমার পোস্টে আগেও উল্লেখ করেছি আমার মা নিরক্ষর ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি তার সন্তানদেরকে সঠিক শিক্ষা দিতে ভুল করেননি। আর এই প্রসঙ্গেই আমার খুব ছোটবেলার একটি ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইবো, -
আমাদের পরিবার খুবই নিম্ন মধ্যবিত্ত একটি পরিবার। যেখানে ছোটবেলা থেকে আমরা অভাবের মধ্যে বড় হয়েছি। তাই কোনো জিনিসের চাহিদা আমাদের মধ্যে কখনোই ছিল না। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো জিনিস আমাদের কাছে বিলাসিতা মনে হতো।
কখনো কখনো প্রয়োজনীয় জিনিসও আমরা পেতাম না। কিন্তু তবুও সবকিছুর মধ্যে সঠিক শিক্ষাটা আমরা বরাবর পেয়েছি। তবে আমাদের পারিপার্শ্বিক এমন অনেক মানুষ ছিলো, যারা কখনো কখনো আমাদেরকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করত। কারণ তারা আমাদের থেকে অনেকটাই আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিল।
একবার আমার টিচার, যার কাছে আমি টিউশনি পড়তাম তিনি আমাকে রোজই বলতেন, যাতে আমি আমার মাকে ওনার সঙ্গে দেখা করতে বলি। কারন ছিল টিউশনির মাইনে। যদিও টিচার আমাকে কখনো সে কথা বলেন নি, তবে আমি সেটা বুঝতে পারতাম। কারণ আমার সামনে অন্যান্য অভিভাবকেরা এসে টিচারকে মাসিক মাইন দিয়ে যেতো।
ছোট ছিলাম তাই একটু লজ্জাও লাগত। মাকে বলেছিলাম কয়েকবার কিন্তু মা বলতো কয়েকদিন বাদে যাবো। হঠাৎ করে একদিন খারাপ লাগাটা এতটাই বেশি হলো, আমি বাবার পকেট থেকে দশ টাকা নিয়ে টিচারকে দিলাম। তখন আমি এতটাই ছোট যে টিচারের মাইনে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আমি শুধু জানতাম ওনাকে টাকা দিতে হবে তাই আমি দশ টাকা দিয়েছিলাম। কারণ আমার বাবার পকেটে সেই সময় ওই ১০ টাকার একটা নোটই ছিল।
১০ টাকা হাতে নিয়ে টিচার বুঝতে পারে, এই টাকাটা আমি বাড়ি থেকে না বলে নিয়ে এসেছি। কিন্তু টিচার আমাকে কিছু না বলে টাকাটা নিয়ে নেন। একটু বাদে আমার দিদি আমাকে টিচারের বাড়ি থেকে নিতে আসে। আমি দিদিকে দেখে অনেক আনন্দিত হই, কারণ দিদি আমাকে বাড়ি নিয়ে গেলে আমাকে আর পড়তে হবে না।
তার উপরে দিদি এসো বলল মা আমাকে বাড়ি যেতে বলেছে কারণ, আমাকে নিয়ে মামা বাড়িতে বেড়াতে যাবে। আমি তো ভীষণ আনন্দিত হয়ে দিদির কোলে করে বাড়িতে ফিরে এলাম। ফিরে এসে দেখি মা আমাকে স্নান করাবে বলে দাঁড়িয়ে আছে। মা আমাকে স্নান করতে নিয়ে গিয়ে অনেক আদর করে জিজ্ঞাসা করলো বাবার পকেট থেকে আমি টাকা নিয়েছি কিনা। আমিতো খুব ভয় পেয়ে গেলাম, তাই প্রথমে মিথ্যা কথা বললাম।
মা অনেকবার বোঝালো মিথ্যে কথা বলতে নেই, সত্যি কথা বলো। কিন্তু তবুও মায়ের ভয়ে আমি মিথ্যে বলতে থাকলাম। এরপর মা আমাকে মারলো। তারপর কান্না করতে করতে আমি সত্যি কথা বলে দিলাম। তখন মা আমাকে নিজের কোলে নিয়ে খুব আদর করলো, ভালো করে বোঝালো, বড়দের পারমিশন ছাড়া কখনোই তাদের পকেটে বা তাদের কোনো জিনিসে হাত দেওয়া অন্যায়।
বিশ্বাস করুন সেদিন যদি মা আমাকে ক্ষমা না করতো, আদর করে বিষয়টা না বুঝিয়ে বলত, হয়তো ওই অভ্যাসটাই ধীরে ধীরে আমার স্বভাবে পরিণত হয়ে যেতো। সেই দিনের ওই ঘটনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত আমি কারোর কোনো জিনিস না বলে নিই না।
আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমি তার কাছ থেকে জিনিস চেয়ে নিই, সেটা আমার বাবা হোক বা আমার হাজব্যান্ড। ছোটবেলার মায়ের দেওয়া সেই শিক্ষাটা, ক্ষমা করার ধৈর্যটাই, আমাকে আমার জীবনের সঠিক পথ দেখাতেই সাহায্য করেছিলো।
Do you consider yourself to be a grudge person? |
---|
না, আমি একেবারেই প্রতিহিংসা পরায়ণ নই বরং আমি ক্ষমা করায় বিশ্বাসী। তবে অবশ্যই কিছু মানুষের কিছু ব্যবহার বরাবরের জন্য মনে দাগ কেটে যায়। কিন্তু তাই বলে সেই মানুষগুলির প্রতি আমি কখনোই মনে বিদ্বেষ পালন করি না।
যদি প্রয়োজন হয় তাদেরকে এড়িয়ে চলায় আমি সচ্ছন্দ বোধ করি, কিন্তু তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা থেকে আমি সব সময় নিজেকে বিরত রাখি। কারণ অন্যের ক্ষতি করার মানসিকতা বহন করলে, একটা সময় নিজের বিবেকের কাছেই নিজেকে দোষী মনে হয়।
Tell us a brief story or anecdote, where it was your turn to ask for forgiveness or, on the contrary, where you were asked for forgiveness. |
---|
আমি নিজে অনেক সময় অনেক ভুল করেছি এবং সেই ভুলগুলো করার পর আমি সেই সকল মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে একটুও ভাবিনি। কারণ আমার মনে হয় ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনো লজ্জা নেই, বরং নিজের ভুল বুঝতে পেরেও ক্ষমা না চাওয়াটা আরো বড় অন্যায়।
তবে আমার কাছে অসংখ্য মানুষ ক্ষমা চেয়েছে এমন নয়। তবে এমন একজন আছে যার কিছু কাজ আমাকে অনেক আঘাত দিয়েছে এবং সে সেটা বোঝার পরে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু প্রথমেই আমি বললাম, ভুল করা আর অন্যায় করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।
আর একই ভুল বারবার করাটাকে আমি অন্যায় বলেই গণ্য করি। তাই সেই ব্যক্তির কথা আমি নাই বা বললাম। তবে আমি যেহেতু ছোটবেলার, আমার আর আমার মায়ের একটি গল্প শেয়ার করেছি, তেমনি বড়বেলার একটি গল্প আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সেখানে মায়ের তেমন কোনো অন্যায় নেই, তবে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল আমাদের দুজনের মধ্যে যার জন্য মা অনুতপ্ত ছিল। কিন্তু মা কে ক্ষমা করার কোনো যোগ্যতা হয়তো এই পৃথিবীতে কোনদিন কোনো সন্তানের হবে না। তবে মায়ের সেই দিনে চাহনি আমাকে এটা বুঝিয়েছিল যে মা অনুতপ্ত।
এটি যে সময়ের ঘটনা সেই সময় আমি কলেজে পড়ি এবং আমার মায়ের শরীর সেই সময় অনেক বেশি খারাপ ছিলো। যদিও সেই সময় আমরা বুঝতে পারিনি যে মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। সন্ধাবেলায় কলেজ থেকে ফিরে আমি সন্ধ্যা পূজো দিচ্ছিলাম। আর মা তখন উঠোনে বসে ছিল।
তখন বাইরে মেলে রাখা তার একটি ধোয়া শাড়ি আমাকে ঘরে রাখতে বলেছিল। আমি শাড়িটা তুলে ঘরে চেয়ারের উপর রেখেছিলাম। তখনই আমাদের পাশের বাড়ির একটি বাচ্চা আমাদের বাড়িতে এসেছিল। বাচ্চাটি না বুঝেই শাড়িটা চেয়ার থেকে তুলে আমাদের ডাইনিং টেবিলের উপরে রেখে দিয়েছিল।
বিষয়টি আমিও খেয়াল করিনি। সন্ধ্যা দিয়ে আমি ওই বাচ্চাটির সাথে কথা বলছিলাম। তখন মা ঘরে এসে দেখে মায়ের ধোয়া শাড়িটা টেবিলের ওপরে রাখা রয়েছে এবং হঠাৎ করে রেগে গিয়ে মা আমাকে একটা চড় মারলো। আর তার সাথে বকাও দিল যে, ধোঁয়া শাড়িটা কেন আমি খাবার টেবিলের ওপরে রেখেছি, এখন আবার শাড়িটা মাকে কষ্ট করে শাড়িটা ধুতে হবে। তখন শরীরটাও খারাপ ছিল, তাই একটু কিছুতেই বিরক্ত হয়ে যেতো।
সেই সময় ঘরে উপস্থিত বাচ্চাটি কিছু না বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে বাড়িতে চলে যায়। আমিও মাকে কিছু না বলে নিজের কাজ করতে থাকি। বেশ কিছুক্ষণ বাদে বাচ্চাটি ওর মাকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে, আসলে বাচ্চাটা ভয় পেয়ে বাড়িতে গিয়ে ওর মাকে বিষয়টা বলেছিল যে, শাড়িটা ও চেয়ার থেকে তুলে ও টেবিলে রেখেছিল।
কিন্তু যেহেতু মা আমাকে মেরেছে, তাই ও ভয় পেয়েছিল যদি সত্যি কথা বললে হয়তো মা ওকেও বকা দেবে। তাই ও বাড়িতে গিয়ে ওর মাকে সত্যি কথা বলে। কাকিমা এসে যখন পুরো বিষয়টি মাকে বলে, তখন মুখে কিছু না বললেও আমি বুঝতে পেরেছিলাম, চড় খেয়ে আমি যতটা কষ্ট পেয়েছি, তার থেকেও অনেক বেশি কষ্ট মা আমাকে চড় মেরে পেয়েছে।
source
না, সেদিন মা আমার কাছে ক্ষমা চায় নি কিন্তু, তার অনুতপ্ত চোখের চাহনি আমার আজও মনে পড়ে।এটাই ছিল একটা ছোট্ট ঘটনা যেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আসলে বাবা মায়ের বয়স হল তারা সন্তানের মতন হয়ে যায়। এ কথাটা একদমই সত্যি। যদিও মাকে তার শেষ সময়ে আমি সন্তানের মতন আগলে রাখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তখন আমি নিজেও অনেকটা ছোট ছিলাম, হয়তো অনেক সময় রাগও করতাম, কিন্তু এখন মনে হয় যদি আমি এখনের মতন জীবনটা বুঝতে পারতাম, তাহলে হয়তো মাকে আরো অনেক বেশি আগলে রাখতে পারতাম।
কিন্তু জীবন এমনই। সময় চলে গেলে তাকে আর ফেরানো যায় না। যাইহোক এই কনটেস্টে পার্টিসিপেট করে জীবনটা যেন ছোটবেলা থেকে আরও একবার মনে করার সুযোগ পেলাম।
শেষ করার আগে কনটেস্টের নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার তিনজন বন্ধু @janemorane ,@cruzamilcar63 ও @karianaporras কে আমন্ত্রণ জানাই। আশা করছি তারাও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা অবশ্যই শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ।
Your post has been successfully curated by @kouba01 at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
Thank you for your support @kouba01 & @steemcurator03
Saludos estimad@. Una de las acciones mas sublimes es el perdon y el beneficio no se inclina mayormente hacia el otro lado, somo nosotros quienes soltamos toxinas y nos liberamos de cargas cuando perdonamos, sería a genial si todos lo interiorizaramos como tal. Saludos y Bendiciones, éxitos.
Thank you my friend for visiting my post and beautiful comments. Stay blessed.
Un error que se repite, ya no es un error, se trata quizás de una provocación para desafiar nuestra paciencia, a menos que la otra persona tenga algún problema grave de comprensión. Los padres siempre parecieran que saben lo que tienen que hacer para corregir nuestra conducta. También recibí de vez en cuando algunos golpes por comportarme de la peor manera, pero nunca sentí rencor por ello, porque sentía que me lo merecía y más tarde comprendí que se trataba de una vía para enseñarme el camino correcto. Éxitos, amiga.
Thank you so much for visiting my post.