ফটোগ্রাফি | মহেশখালী | সমুদ্রের বুকে একটি পাহাড়ী দ্বীপ | ১০% @btm-school

DSC01786.JPG

মহেশখালী, সাগরবেষ্টিত একটি পাহাড়ি দ্বীপ। কক্সবাজার জেলার একটা উপজেলা এবং বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এখানে আসলে আপনি একই সাথে সমুদ্রের নীল জলরাশি, উচু পাহাড় এবং সবুজ অরণ্য দেখতে পাবেন। কক্সবাজার শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্রের দিকে গেলেই মহেশখালীর দেখা মিলবে। পুরো মহেশখালী উপজলার আয়তন প্রায় ৩৮৮ বর্গ কিলোমিটার।

DSC01792.JPG

DSC01791.JPG

DSC01780.JPG

দেশের যেকোন স্থান থেকে প্রথমে আপনাকে কক্সবাজারে যেতে হবে, এরপর সেখান থেকে রিক্সা বা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় করে ৬ নং ঘাট বা জেটিতে যেতে হবে, যেটা কক্সবাজার শহরের কাছেই অবস্থিত। রিক্সাভাড়া নিতে পারে পারহেড ৩০-৪০ টাকার মধ্যে। জেটিতে নেমে সেখান থেকে ট্রলার বা স্পীডবোটে করে মহেশখালি যেতে পারবেন। ট্রলারে জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা ভাড়া নেয় এবং সময় লাগে ১ ঘন্টার মত, আর স্পীডবোটে জনপ্রতি ভাড়া নিবে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা আর সময় লাগবে মাত্র ২৫ মিনিট। অনেকে আবার স্পীডবোট রিজার্ভ করেও নিয়ে যায়।

DSC01783.JPG

DSC01814.JPG

DSC01811.JPG

মহেশখালীতে অনেক কিছুই দেখার মত রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উচু পাহাড়ের উপর বৌদ্ধ মন্দির, আদিনাথ মন্দির, বড় বড় পাহাড়, শুটকি পল্লী, লবণের মাঠ, রাখাইন পাড়া, স্বর্ণ মন্দির, মৈনাক পর্বত, পানের বরজ ইত্যাদি। সেখানে প্রায়ই আদিনাথের মেলা বসে। মহেশখালীর শুটকি আর মিষ্টি পান সারাদেশে বিখ্যাত। তাছাড়া পুরো মহেশখালী জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য বৌদ্ধ মন্দির চোখে পড়বে। মহেশখালী থেকে আবার সোনাদিয়া দ্বীপেও যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আবারও স্পীডবোট ভাড়া করে সেখানে যেতে হবে।

DSC01796.JPG

DSC01795.JPG

DSC01803.JPG

আমি ২০১৭ সালে অফিসের পিকনিকে কক্সবাজারে গিয়েছিলাম, সেবার আমরা কয়েকজন কলিগ মিলে মহেশখালীও ঘুরে এসেছিলাম। তারও আগে মহেশখালীতে আরও একবার এসেছিলাম। সেখানে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা রিজার্ভ করেও অনেকগুলো দর্শণার্থী স্থান ঘুরতে পারেন অথবা হাতে সময় থাকলে হেঁটে হেঁটেও বেশকিছু জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট ঘুরে আসতে পারেন। বাজারে পাহাড়ীদের হাতে বোনা তাঁতের নানা পোশাক পাবেন অনেক কম দামে, সেগুলো দেখতেও সুন্দর আবার পরতেও আরাম।

DSC01802.JPG

DSC01798.JPG

DSC01800.JPG

মহেশখালী বাজারে বেশকিছু খাবার হোটেল পাবেন। সেখানে সমুদ্রের ফ্রেশ মাছ, শুটকি ও মাংসের নানা পদ পাবেন। তবে মহেশখালীতে থাকার জন্য ভাল কোন ব্যবস্থা নেই, সেজন্য হাতে সময় নিয়ে সারাদিন সেখানে ঘুরে সন্ধ্যার আগেই আবার কক্সবাজারে ফিরে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত।

DSC01801.JPG

DSC01807.JPG

DSC01818.JPG

এই ছিল মোটামুটি কক্সবাজারের মহেশখালী নিয়ে আমার আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট। আশাকরি আপনারা লেখা পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে একটা ভাল ধারণা পেয়েছেন। সময় ও সুযোগ পেলে সবারই আমাদের এই সুন্দর দেশটা একবার হলেও ঘুরে দেখা উচিত।

DSC01788.JPG

আবারও নিয়ে আসবো নতুন কোন জায়গা সম্পর্কে ফটোগ্রাফি পোস্ট। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সবাইকে ধন্যবাদ।

Sort:  

মহেশখালির পান খান নি?

হুম, খেয়েছি তো।
তবে পোস্টে এত ডিটেইলস লিখি নাই, লিখলে ৪-৫ পর্বেও শেষ হবেনা৷

হ্যাঁ আমি তো ভাবতেছি পানের কথা লিখলোনা যে

মহেশখালীর মিষ্টি পান ও পানের বরজের কথা লেখার মধ্যে এক জায়গায় সংক্ষেপে উল্লেখ করেছি বটে কিন্তু বিস্তারিত বলিনি, কেননা এটা ফটোগ্রাফি পোস্ট ছিল!

বুজেছি ভাইয়া

 2 years ago 

আমি গত বছর গিয়েছিলাম আমিও তো একটা গল্প শেয়ার করতে পারি এই নিয়ে ভাইয়া

হুম, অবশ্যই করবেন।

 2 years ago 

আমার সমুদ্র, দ্বীপ বা পাহাড় কোনটাই দেখা হয়, দেখে অনেক উৎসাহিত হলাম। আমার গল্পেও হয়তো কোন এক সময় এগুলো ধরা পরবে। খুব সুন্দর লাগলো গল্প গুলো

পুরোটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64403.69
ETH 3463.55
USDT 1.00
SBD 2.50