ফিচার | টিউবওয়েল | গ্রাম-বাংলায় পানি তোলার সরঞ্জামাদি | ১০% @btm-school
পানির অপর নাম জীবন। অবশ্য সেটা যেকোন পানি নয়, একমাত্র সুপেয় পানির অপর নামই জীবন। আর এই সুপেয় পানির ৯০% আমরা পাই গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। যেখান থেকে ফিল্টার করে পাইপের মাধ্যমে উঠিয়ে আমরা পান করি। এর বাইরে কৃত্রিম উপায়ে পানি পরিশোধন করে এবং বৃষ্টির পানি জমিয়ে সেটাও খাওয়া ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়।
আমার গ্রামের বাড়ি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হওয়ায় এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় সেখানকার অধিকাংশ পানিই লোনা হয়ে থাকে। ফলে সুমিষ্ট পানি পেতে হলে ভূগর্ভের অনেক গভীরে যেতে হয়। সাধারণত অন্যান্য এলাকায় সুমিষ্ট পানির জন্য দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার ফিট নিচে গেলেই পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের এলাকায় সুপেয় পানি পেতে হলে অন্তত পনের হাজার থেকে বিশ হাজার ফিট নিচে যেতে হয়। অনেক গভীর নলকূপ স্থাপন করতে হয় এবং সেসব নলকূপে অনেক অনেক পাইপের প্রয়োজন হয়।
এসব পাইপ সাধারণত একেকটা ২০ ফিট লম্বা হয়ে থাকে। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরণের নলকূপ খনন করা হয়। যেমন বাসাবাড়িতে খাওয়ার পানির জন্য এক ধরণের (এটার গভীরতা সবচেয়ে বেশি হয়), খাওয়া বাদে অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য (এর গভীরতা তুলনামূলক অনেক কম হয়), আর মাঠে ফসলের ক্ষেতে সেচ দেয়ার জন্য (এর গভীরতাও মোটামুটি কম হয় তবে এই নলকূপের পাইপ কিছুটা মোটা হয়ে থাকে)।
আমাদের গ্রামের এক বন্ধু সম্প্রতি এই নলকূপ স্থাপনের ব্যবসা চালু করেছে। সে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক পাইপসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি ও তার নিজস্ব লোকবল নিয়ে গ্রাহকের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে মাটি খনন করে নলকূপ স্থাপন করে দিয়ে আসে। এটাই তার ব্যবসা, এই খননকাজ ঘাটে-মাঠে বা বাসাবাড়ি যেকোন জায়গাতেই হতে পারে। নলকূপের ধরণ অনুযায়ী একেকটা বসানো কমপ্লিট হতে এক থেকে তিনদিন পর্যন্ত সময় লাগে। গতবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে স্বচক্ষে দেখে আসলাম পুরো প্রসেস।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
বাহ, দেখে খুব ভালো লাগলো আর জানলাম অনেক কিছু।
এই মরুদ্যানে এসে আপনি পোস্টটা পড়েছেন এতেই আমি খুশি, ধন্যবাদ!