বেড়ানো | তাজহাট জমিদার বাড়ি | রংপুর, বাংলাদেশ (শেষ পর্ব) | ১০% @btm-school

20210220_120646.jpg

(গত পর্বের পর)
ভেতরে ঢুকে বামের পাঁচিলের গা ঘেঁষে সোজা রাস্তা বরাবর হেঁটে চলে যেতে হবে বেশ অনেকটা দূর। হাতের ডানদিকে বিশাল বড় খোলা মাঠ, সেই মাঠে সারাবছর ধরেই রং-বেরঙের নানা দেশি-বিদেশি ফুলের গাছ লাগানো থাকে এবং সেগুলো বেশ ভালোভাবেই মেইনটেইন করা হয়। মেইন গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের পথে গেটের কাছেই হাতে ডানে একটা ঘর রয়েছে, সেটা হচ্ছে এই জমিদার বাড়ির শ্যুভেনির শপ, সেখানে জমিদার বাড়িসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের রেপ্লিকা কিনতে পাবেন। খোলা মাঠের পাশ দিয়ে কয়েকটা ছোট-বড় পুকুর পেরিয়ে সোজা এগিয়ে গেলে সামনে দেখতে পাবেন সেই বিখ্যাত জমিদার বাড়িটি। চারিদিকে অসংখ্য গাছ-গাছালিতে ঘেরা, চমৎকার একটা নৈসর্গিক পরিবেশ সেখানে বিরাজমান।

20210220_120831.jpg

20210220_120739.jpg

20210220_120607.jpg

20210220_115546.jpg

20210220_115443.jpg

মুঘল আমলের স্থাপত্য নকশায় নির্মিত সাদা রঙের ভবনটির সামনে বিশাল বড় সিঁড়ি, সেই সিঁড়ি বেয়ে সোজা উপরের দোতলায় উঠে যেতে হবে (কেননা বর্তমানে শুধুমাত্র দোতলাটিই যাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে)। দোতলায় গিয়ে নিয়ম মেনে একে একে প্রত্যেকটা ঘরে প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। সেসব ঘরে জমিদার আমলের ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা আছে। ঘুরে ঘুরে সেগুলো দেখতে দেখতে আপনি আবারও নিচে চলে আসবেন। ঘরের ভেতরে ছবি তোলা মানা, এজন্য কোন প্রাচীন জিনিসপত্রের ছবি তুলতে পারিনি। প্রাসাদের পেছনের দিকেও যাওয়া যায়, সেখানেও সুন্দর করে ফুলের গাছ লাগানো রয়েছে। জমিদার বাড়ির সামনে থেকে, চারিপাশে এবং পেছনের বারান্দায় গিয়ে আপনি মনের সুখে ছবি তুলতে পারবেন।

20210220_113725.jpg

20210220_111156.jpg

20210220_111119.jpg

20210220_111009.jpg

জেনারেল এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রাসাদটিকে বাংলাদেশ হাইকোর্টের রংপুর শাখা বা বেঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। গ্রীষ্মকালে তাজহাট জমিদার বাড়ি খোলা থাকে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত, আর শীত কালে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। সপ্তাহের প্রতি রবিবার এটা সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে, এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে জমিদারবাড়ি বন্ধ থাকে। প্রতি সোমবার অর্ধদিবসের জন্য ও প্রতিদিন দুপুর ১ টা থেকে দেড় টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতির জন্য যাদুঘরের প্রদর্শনী বন্ধ থাকে। এজন্য কেউ সেখানে বেড়ানোর জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই প্রদর্শনী বন্ধের বিষয়টা ভালোভাবে জেনে-বুঝেই যাওয়া উচিত।

20210220_114821.jpg

20210220_111030.jpg

এই ছিল মোটামুটি রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি সম্পর্কে ২ পর্বে আমার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। বছর খানেক আগে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি একবার সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম, সেই অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

Sort:  

সব জাদুঘরে এই এক কাহিনী ছবি তোলা নিষেধ

হুম, বিশেষ করে বাংলাদেশে।
বাইরের কান্ট্রিতে (ইউরোপ-আমেরিকা-মিডল ইস্ট) এমন নয়, সেখানকার অধিকাংশ মিউজিয়ামে আপনি ইচ্ছেমতো ছবি-ভিডিও করতে পারবেন, কেউ বাঁধা দিবে না।

 2 years ago 

আমার খুব দেখার ইচ্ছে, কিন্তু এখনও আমি সেখানে যেতে পারি। সামনে হয়তো যাবো বলে আশা করছি।

হুম, সময়-সুযোগ হলে অবশ্যই গিয়ে দেখে আসবেন।
খুবই সুন্দর জায়গা, গেলে অনেক ভালো লাগবে।

 2 years ago 

জাদুঘরে পিকচার তুলতে দিলে কি এমন হবে । জানি কোনো সব জায়গার জাদুঘরে পিকচার তুলতে দেয়না।
আমদের ইন্ডিয়াতেও নিষেধ ফটো তোলা।

হ্যাঁ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 64196.23
ETH 2757.67
USDT 1.00
SBD 2.71