সুন্দরবন ভ্রমন পর্ব-২। ১০% @btm-school
নমষ্কার, সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়ে আমিও খুব ভাল আছি। তাই আপনাদের উৎসাহ পেয়ে প্রতিনিয়ত লিখার চেষ্টা করছি। গত পর্বে আমি ঢাকা পৌছাঁনো পর্যন্ত এসে শেষ করেছে আজকের পর্বে থাকবে ঢাকা থেকে মংলা পৌছাঁনো পর্যন্ত কি কি ঘটল তা নিয়ে।
যতারীতি আমরা খুব ভোর বেলা ঢাকা পৌছাঁয়লাম আগের পর্বে বলে ছিলাম আমাদের সাথে আমাদের এক বন্ধু যুক্ত হবে ঢাকা থেকে তো তাকে আমরা মেঘনা ব্রীজে উঠার পর কল দিলাম যে তুমি এখন বাসা থেকে বেয় হয় কারণ আমরা ঢাকার কাছাকাছি এসে গেছি তো যে কথা সে কাজ তার বাসা ছিল উত্তরা হাউস বিল্ডিং ওখানে থেকে আসবে সে এবং সে কল করে আমাদের নিশ্চিত করেছে যে সে বের হয়ে গেছে।
যাই হোক আমরা এখন সায়দাবাদ নেমে গাড়ি খুজতে থাকি যেহেতু আমরা আগে কখনও খুলনায় বাসে করে যাই নাই তাই আমরা সঠিক জানি না যে কোন দিকে কাউন্টার গুলা। নাম করা যে বাস গুলো আছে ঔগুলোতে টিকেট পাব না জানি কারণ যে পরিমান মানুষে্র উপস্থিতি দেখলাম তাতে টিকেট পাবনা এটা আমরা মনে মনে ধরেই নিয়েছি। আর আমরা ভাবছিলাম আগের দিন রাতে বেশিরভাগ মানুষ ঢাকা ছাড়বে আর আমরা খুব সহজে বাস পাব কিন্তু হল কি যা ভাবলাম তার ঠিক বিপরীতটাই হল আমাদের সাথে চট্টগ্রামে আমাদের যে সমস্যা টা হল তার থেকে আর বেশি সমস্যা দেখি ঢাকাতে হচ্ছে। লোক মুখে শুনেছিলাম যে পদ্মা বহু মুখী সেতু হাওয়ার কারণে অনেক নতুন বাস কোম্পানী যুক্ত হয়েছিল সেই লাইনের যাতায়ত ব্যবস্থায় কিন্তু আমরা কথার সাথে কাজে মিল পাচ্ছিলাম না।
তো এখন কি আর করা যেতে হবে এখন কাউন্টারে ঐদিকে কিছু মানুষ জন থেকে পরামর্শ নিচ্ছি যে কি করলে ভাল হবে ভেঙ্গে যাওয়া যাবে কিনা ৫ জন বন্ধু গাড়ির টিকেট খুজাখুজি নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে আমাদের ঢাকার বন্ধু এসে গেল জনপদমোর থেকে তাকে একসাথে করলাম। এত টাইম আমরা বাস খুজে এত টুকু নিশ্চিত হলাম ভাল বাসে করে যাওয়া হবে না তাই আমরা এখন লোকাল বাস খুজতে থাকি এবং খুজতে খুজেতে এক পর্যায়ে আমি এক সাইডে চলে গেলাম এবং দেখলাম মংলার এক বাস কাউন্টারের সামনে একটা নতুন বাস দাড়িয়ে আছে তো বাসের কাছে গেলাম কিন্তু কাউকে কিছু বলছি না ঐখানে কি কথা হচ্ছে সেটা শুনার চেষ্টা করতে থাকলাম। কিছুক্ষন যাওয়ার পর বোঝলাম বাস টা মংলা যাওয়ার কথা ছিল সকালে কিন্তু বাসের ড্রাইভার ঘুমিয়ে পরেছে সে অন টাইমে যাইতে পারে নাই এখন বাসের সুপারভাইজার বাস কোম্পানীর কারো সাথে কথা বলে সেটা মিটমাট করতে চাই তার কারণ হচ্ছে কাউন্টার থেকে তাকে যেতে দিচ্ছে না দেরি করেছে তাই। আমি আস্তে আস্তে লোকটার নিকট গিয়ে কথা বলতে থাকলাম যে এইটা কি মংলা যাবে নাকি, টিকেট সেল হয়ে গেছে নাকি সব জানতে থাকলাম। পরে উনি বলল যে এখনও টিকেট বিক্রি হয় নাই একটু পর হবে। তো আমি বললাম আমাদের ৬ টা টিকেট লাগবে মংলা বললো দেওয়া যাবে তখন একটা স্বস্তি পেলাম সবাইকে ডাকলাম একসাথে হলাম টিকেট নিশ্চিত করে এখন সবাই গেলাম ফ্রেস হতে আর সকালের নাস্তা করতে। পরে গাড়ি ছাড়ল ঠিক সকাল ৯.৪৫ এর দিকে এবং পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গেলাম সাথে দেখা হয়ে গেল ভাঙ্গা, ফরিদপুর এক্সপ্রেস রোড কি সুন্দর ভাবে যে নির্মাণ করেছে । আমরা মনে হয় ৮ মিনিটে পদ্মা সেতু অতিক্রম করলাম যাই হোক দুপুর 2টা নাগাদ আমরা মংলা গিয়ে পৌছাঁয়লাম। বাকী গল্প হবে পরের পর্বে। সবাইকে ধন্যবাদ
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা । খুব ভালো লিখেছেন আপনি দাদা ।
ধন্যবাদ তোমাকে
আমারও সুন্দরবন যাওয়ার ইচ্ছা জাগ্রত হল আপনার এই অসাধারন পোস্ট পরে!!
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়!!
অন্য রকম একটা পরিবেশ মানুষ গুলো ছিল অসম্ভব ভাল
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ভ্রমণ কাহিনীটা রোমেন, চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাইয়া
রমেন দা, দারুণ লিখছেন। গো এ্যাহেড। পাশে থাকবো। আপনার লেখা দিয়ে সমৃদ্ধ করুন আমাদের বাংলায় তারার মেলা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব