এক দরিদ্র ভিক্ষুকের কাহিনী।" বাংলায় তারার মেলা"|| ১০% @btm-school
নমস্কার
সবাই কেমন আছেন? আসা করি ভালোই আছেন ,আমিও আপনাদের আশীর্বাদে ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করবো এক দরিদ্র ভিক্ষুকের সত্য জীবন কাহিনী। আমরা সবাই রাস্তা ঘাটে এদের কে দেখতে পাই, কেউ কেউ আবার দুঃখ প্রকাশ করি আবার কেউ যাদের দেখে এড়িয়ে যায়। আসলে এদের জীবনটা অনেক কষ্টের, দুখের , লাঞ্ছনার। এদের জীবনের প্রতিতা মুহূর্ত ভোরে থাকে দুঃস্বপ্নে । আমরা কেউ জানার চেষ্টা করিনিনা বা জানিনা কেন এরা এই ভিক্ষার পথ বেছে নিয়েছে।
বর্ণনা
যে গল্পটা আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করব সেটা হল আমি যখন ক্লাস ১১ পড়ি তখন আমি এক স্যারের কাছে পরতে যেতাম আমার বাড়ি থেকে কছুটা দূরে তাই আমাকে ট্রেনে করে যেতে হতো তো এমনি একদিন পড়া শেষ করে বাড়ির ফেরার সময় রোজই আমি এক ভদ্রলোক দেখতাম ঠিক স্টেশনের উপর লেডিস কোম্পারমেন্টে সামনে একটা ছেড়া বস্তার উপর একটা লাঠি আর একটা ভাঙ্গা টিনের থালা নিয়ে বসতেন । রোগা শীর্ণকায় শরীর শরীরে যেন কোনো মাংসের চিহ্ন নেই শরীরের বস্ত্র বেশির ভাগই ছেড়া। যখন যে যায় দয়া করে উনাকে ওই থালার উপর ২,১টাকা ফেলে যাই । আমিও দেখলাম ও আমিও একটা কয়েন বার করে দিলাম কিন্তু আমি উনার কাছে যাওয়ায় এটাও বুঝতে পারলাম যে উনি অন্ধ উনি ঠিক করে দেখতে পাইনা,দেখে খুবই কষ্ট হলো। পাশে একটি চায়ের দোকান ছিল আমি পড়ে ফেরার সময় ওই দোকানে চা খেতাম যেহেতু ট্রেনের ১৫ মিনিট আগেই আমার পড়া হয়ে যেত। তাই যেহেতু তিনি আমাকে চেনেন তো আমাকে ডেকে বললেন মা তুমি কি ভাবছো , তো আমি তার উদ্যেশে বললাম যে (এই ভিক্ষুকের) বাড়ি কোথায় ? এখানে কি ভাবে এলো ? উনার কি বাড়িরতে কি কেউ নেই ? আমার এত প্রশ্নের উত্তর উত্তর চা কাকুর কাছে ছিল আমাকে বললেন যে এই ভিক্ষুক ওখানেই থাকে অনেক বছর ধরে প্রায় ১০ বছর ধরে আছেন ঠিক কয়েক বছর আগে উনার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর উনার ছেলেরা উনাকে এখানে ফেলে রেখে চলে যায় কারণ সেই সময় উনি অনেক অসুস্থ ছিলেন চিকিৎসা করতে অনেক খচর হবে তাই উনার সন্তানরা উনাকে বোঝা মনে করে এই স্টেশনের উপর রেখে চলে যায় আর কোনো দিন খোঁজ টুকু নিতে আসেনি ,সেই থেকে উনি এই স্টেশনে ভিক্ষা করে দিন চালায় , যে যা দেই তাই দিয়ে কষ্টে দিন চালানোর ও খাবার জোগাড়ের চেষ্টা করেন। হয়তো এই ভাবে কোনো এক দিন এই স্টেশনে তার মৃত্যু ঘটবে এমন ভাবে এমন হাজার হাজার ভিক্ষুকের প্রয়াণ ঘটে কেউ জানতেও পারেনা তাদের এই অবস্থাটা কি ভাবে ঘটে ।
আশা করি আমার এই লেখা এই ঘটনা আপনাদের পছন্দ হবে। সবাই ভালো থাকবেন আবার আসবো অন্য কোনো লেখা অন্য কোনো ভাবে।
ধন্যবাদ।
পুরোটা পড়লাম
খুব খারাপ লাগলো
ধন্যবাদ আপু আমার লেখাটা পড়ার জন্যে।
সত্যি খুব খারাপ লাগছে লেখা টা পড়ে।
আসলে এখন এটাই বাস্তব , আমাদের আসে পশে এমন দুঃখী মানুষ প্রচুর ।
হ্যাঁ এটা একদম বাস্তব। ঘর থেকে একটু বাইরে গেলেই বোঝাযায় মানুষের জীবনে কত কত প্রবলেম আছে।
আহারে, খুবই কষ্ট পেলাম পড়ে।
আপনার লেখা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
আমারও লিখতে খুবই কষ্ট হয়েছি , লেখাটা বাস্তবতা অবলম্বনে লেখা। সমাজের করুন পরিস্থিতি তুলে ধরা।
হ্যাঁ, সেজন্যই মন ছুঁয়ে গেল!
বর্তমানে কিছু ভিক্ষুক আছে যারা বাধ্য হয়ে করে কিন্তু কিছু আছে যাদের ব্যবসা হচ্ছে এটা তারা চাইলে অন্য কাজ করতে পারে কিন্তু করে না এই সব অসাধু ভিক্ষুকদের জন্য যারা সত্যিকারের ভিক্ষুক তাদেরকে ভুল ভাবে ঘটনাটা খুব মর্মান্তিক খারাপ লাগছে