' বারাসাত খড়িবাড়ি কৈপুল' ভ্রমণ। কলকাতার ছোট্ট ভ্রমণ স্থান। "বাংলায় তারার মেলা "। 10% @btm-school
নমস্কার সবাইকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন আমিও ভালোই আছি। আসলে কয়েকদিন আগেই আমি একটা সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেয়েছিলাম ,অসাধারণ মনোরম জায়গা সে যেন এক স্বর্গ পুরি! সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা হলো। এবার জায়গায় সম্পর্কে কিছু বলি আগেই আমার সম্পর্কিত তত্ত্ব দেয়ার সময় বলেছিলাম আপনাদের কে যে আমি কলকাতায় বাস করি তো আমার বাড়ির পাশেই বারাসাতের খড়িবাড়ি এলাকায় এই স্থানটি অবস্থিত। স্থানটি নাম হলো কৈপুল। বেশি কিছু বৈশিষ্ট নেই খুব সাধারণ একটি জায়গা। কিন্তু একবার গেলে আর আস্তে মন চাইবে না কথা দিয়ে বলতে পারি। তবে বলে রাখি জায়গাটি খুবই ছোট একটি জায়গা । খুবই কম মানুষ চেনে এই জায়গাটি কলকাতার মধ্যে যারা থাকেন তারায় এই জায়গাটি চিনে থাকবে।
কৈপুলের যাওয়ার দিনটি ছিল আমার কাছে এক স্মরণীয় দিন ,কারণ আমি এত সুন্দর একটি জায়গায় আগে কোনো দিন যায়নি। হালকা মেঘলা ছিল দিনটা,সকাল থেকে ভালো লাগছিলো না কোথাও যাওয়ার মন চাইছিলো,তো আমার এক বান্ধবীকে কল দিলাম বললাম বান্ধবী কোথাও যাবি বান্ধবী ও খুশ মেজাজে বললো চল যেহেতু সেদিন ছিল মেঘলা আকাশ আর বেলা গড়িয়েছিল তো আমরা বেশিদূর যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে কাছেই কোথাও যাওয়া চিন্তা করলাম কিন্তু আমি আগে যেহেতু কৈপুলে যায়নি তো আমার সেখানে যাওয়ার ভাবনা আসেনি ,আমার বান্ধবী আমাকে বললো সেখানে যাওয়ার জন্য তো যথারীতি দুপুরের খাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়লাম কৈপুল দেখার উদ্যেশে। যতই আমার বাড়ি থেকে বেশি দুরুত্বে জায়গাটি নয় তাও আমার পুরো অচেনা ছিল জায়গাটি। সত্যি আমি খুবই এক্সসাইটেড ছিলাম নতুন জায়গার নতুন দৃশ উপভোগ করার জন্যে। যথারীতি বাড়ির থেকে কিছুটা হেটে গিয়ে ধরলাম অটো , দুই বান্ধবী নানান গল্প করতে করতে পৌছালাম বাস স্ট্যান্ডে ,বাস স্ট্যান্ডে থেকে বাস ধরে পৌছালাম মধ্যমগ্রাম ওখান থেকে ম্যাজিক গাড়ি ধরলাম আসলে আমার বাড়ি থেকে দূরত্ব কম হলেও দুই থেকে তিনটে যানবহন পাল্টে পৌছাতো হয় কৈপুল তাই ম্যাজিক গাড়ি থেকে খড়িবাড়ী নেমে একটু পায়ে হেটে বাড়ি থেকে ১ ঘন্টার দূরত্বে কাটিয়ে পৌঁছে গেলাম সেই চোখ ধাঁধানো স্থান কৈপুল।
কৈপুলের দৃশ
যখন আমি পা রাখলাম কৈপুলে সত্যি এক মুহূর্তের জন্যেও চোখ ফেরাতে পারলাম না ,সে এক অপূর্ব দৃশ এই অসাধারণ প্রকৃতির রূপ দেখবো আমি কখনোই আশা করিনি। প্রকৃতির রূপ যে এত অপূর্ব হতে পারে আমি সত্যি কল্পনার বাইরে ছিল। আমি আমার পরিচিত দেয়ার সময় বলেছিলাম আমি ভীষণ ভ্রমণ করতে ভালোবাসি ,প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি অপূর্ব রূপ আমাকে টানে , জায়গাটি খুব একটা পরিচিত না হলেও জায়গার তুলনা হয়না, আপনার মন খারাপকে এক মুহূর্তের মধ্যে ঠিক করে দেয়ার জন্যে এটি একটি দারুন স্থান। আসলেই প্রকৃতির এই দৃশ ফুটে ওঠার কারণ হচ্ছে জল , হ্যা ঠিকই শুনছেন ' জল ' চারিদিকে জল র মাঝখান থেকে পাকা পিচের রাস্তা, জলের উপর কচুরিপানা ভর্তি , জলের উপর সাইড করে নৌকা বাধা , আবার কিছু কিছু নৌকাই মাঝি আছে তারা কৈপুলের ঘুরে দেখায় কিন্তু আমার দুই বান্ধবী যেহেতু সাঁতার কাটতে জানিনা তো আমার সেই সাহস করতে পারিনি , কৈপুল কোনো নদীও না, কোনো পুকুর না , আবার কোনো ডোবা ও না কোনো এক মরশুমে এই জল শুকিয়ে যায় শুকনো জমিতে পরিনিত হয় খুব সামান্য জল থাকে, নৌকা চলা চল বন্ধ থাকে কিন্তু তাই বলে কৈপুলের সোন্দর্য্য কমে যায় না , ওখানে মাঝ বয়েসী থেকে ফ্যামিলির ম্যান সবাই যেতে পারে কিছু সময় একান্তে কাটিয়ে আসা যায়। পুরোটাই খোলামেলা অসাধারণ জায়গা। একবার গেলে মনে হয় বার বার যায় জলের ধরে প্রাণ জড়ানো হাওয়া উফফ জীবনের সব কিছু ভুলে বসে ওখানে থাকা যায়। যাদের প্রাইভেট গাড়ি আছে বা মোটোর সাইকেল আছে তারা অনায়াসে এখানে আস্তে পারবে। সেদিন আমরা বেশি টাইম ওখানে থাকতে পারি নি বৃষ্টি তে ভিজতে হবে এই ভেবে কিছু সময় বসে ছবি তুলে পাশের দোকান থেকে চা খেয়ে আমারা আবার বাড়ির দিকে রওনা হয়। দুই বান্ধবী মিলে সে এক অপূর্ব সময় কাটালাম।
এই ছিল আমার কৈপুল ভ্রমণ ,ছোট স্থান খুব একটা পরিচিত না তবে এখন কার ছেলে মেয়েদের খুব প্রিয় একটি জায়গা হলো কৈপুল। খুবই অল্প খরচে এখানে আশা যায়। মন চাইলে একবার এখানে ভ্রমণ করে দেখতে পারবেন আপনারা। আশা রাখি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন।
অনেক সুন্দর জায়গাটি ।
কলকাতায় গেলে অবশ্যই একবার হলেও ঘুরে আসবো কৈপুল থেকে ।
হ্যা , অবশ্যই নিয়ে যাবো
অসাধারন আপু!!
ধন্যবাদ
আপনার চোখ দিয়ে আমরাও ঐ জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধণ্যবাদ আমার পোস্টি পড়ার জন্যে।
কয়েকবার কলকাতাতে গেছি। কিন্তু সেভাবে ঘুরা হয়ে ওঠেনি। এবার গেলে তুমি আমাদের ঘুরিয়ে এনো মাগো।
অবশ্যই নিয়ে যাবো , আসবেন খুবই সুন্দর জায়গা
কলকাতা কখনও গেলে নিয়ে যাইয়েন আমাদের
অবশ্য নিয়ে যাবো