মাছ ও শুটকির ভর্তা রেসিপি-৯ । বাংলায় তারার মেলা।। ১০%@btm-school
মাছ ও শুটকির সুস্বাদু এবং মজাদার ভর্তাঃ
ভর্তা এমন একটি মুখরোচক খাবার যা বাঙ্গালির খাদ্যাভাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা বাঙ্গালিরা ভোজনে প্রায় নানান ধরনের ভর্তা খেয়ে থাকি। তবে আলু ভর্তা টা তুলনায় সহজ হওয়াতে বাঙ্গালির আহারে প্রায় দেখা যায়। ভর্তার রেসিপি
অসংখ্য। তার মধ্যে আমি আজকে আপনাদের সাথে খুবই সুস্বাদু এবং মুখরোচক মাছ এবং শুটকির ভর্তা রেসিপি শেয়ার করব। শুটকি পছন্দ করে না এমন মানুষ কম। শুটকির সকল রেসিপির মধ্যে ভর্তা রেসিপি অন্যতম।
শুটকি ভর্তায় যা যা উপকরন লাগবেঃ
১. ছুরি শুটকি ছোট দেখে ১ টি
২. তেলাপিয়া মাছ ২ পিস (অন্য মাছ ব্যাবহার করা যাবে)
৩. কাচামরিচ ৭/৮ টি
৪. পেঁয়াজ কুচি
৫. রসুনের কোয়া ৩/৪ টি
৬. ধনে পাতা
৭. লবন পরিমান মতো
(ভর্তার উপকরন)
শুটকি গুলো ছোট ছোট পিস করে নিব। তারপর ভালভাবে ধুয়ে নিব। দুই পিস তেলাপিয়া মাছ নিলাম আমি। আপনারা চাইলে অন্য যেকোনো মাছ ব্যাবহার করতে পারেন। তবে কাঁটার ঝামেলা নেই দেখে আমি তেলাপিয়াই ব্যাবহার করি । পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম। ৭/৮ টি কাঁচামরিচ নিলাম। আপনারা চাইলে ঝাল কম বেশির জন্য আপনাদের ইচ্ছানুযায়ী মরিচ দিতে পারেন। আর রসুনের কোয়া নিয়ে নিলাম ৩ টি এবং ধনেপাতা।
প্রথমে শুটকি এবং রসুনের কোয়া গুলোকে কড়াইতে টেলে নিব।
আর মাছ দুই পিস কে হলুদ লবন মাখিয়ে হালকা ভেজে নিব। তার সঙ্গে মরিচ ও হালকা ভেজে নিব।
তারপর পাটায় সব উপকরন এক এক করে বেটে নিব।
বেটে নেওয়ার পর তৈরি হয়ে গেলো মজাদার মাছ শুটকির ভর্তা। পাটার ভর্তার স্বাদই আলাদা এর তুলনা হয় না। গরম গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা হলে আর কোন তরকারির প্রয়োজন পরবে না । আপনাদের সাথে আরও সুস্বাদু এবং মুখরোচক ভর্তা রেসিপি শেয়ার করবো। আশাকরি আমার এই মাছ ও শুটকির ভর্তাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।
বাহ্, ভর্তাটা খুবই চমৎকার হয়েছে।
খেতে নিশ্চয়ই তেমনই মজাদার?
দেখেই তো লোভ লেগে গেল!!
খেতে অসাধারন
দেখি বাসায় ট্রাই করবো একদিন!
দেখে তো মনে হচ্ছে খুব টেস্টি হয়েছে।
কিন্তু আমার একটা আপনার জন্য উপদেশ আছে
আপনি এত কিছুর ভর্তা বানাচ্ছেন প্লিজ সাবধানে বাটাবাটি করবেন।
আপনার হাতে যদি কিছু হয়ে যাই তাহলে তো আর পোস্ট করতে পারবেন না। যেই কারণে আমাদের কমিউনিটির খুব ক্ষতি হয়ে যাবে।
বাটাবাটি তো আমি করি না আম্মু করে
শুটকি ভর্তা তো অনেক খেলাম কিন্তু ভর্তা দিয়ে মাছ দিয়ে এটা সম্পূর্ণ নতুন রেসিপি কখনও খাওয়াতো দূরে থাক জানতামও না যাক আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানলাম দেখি বাসায় খাওয়া যায় নাকি