বর্ষণমুখর একটি দিন । ''বাংলায় তারার মেলা''। ১০%@btm-school
সকাল সকাল ঘুম ভাঙতেই দেখি মেঘলা আকাশ। পুরো আকাশ অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। প্রকৃতিতে বর্ষা একটু আলাদা মেজাজ নিয়ে আসে। গ্রীষ্মের দাবদাহে মলিন প্রকৃতি যেন প্রান ফিরে পাওয়ার আকুল আবেদন জানাচ্ছে। চারপাশ আস্তে আস্তে বিদঘুটে অন্ধকার হয়ে আসলো। মেঘের গর্জনে প্রকৃতি তার আলাদা একটি রুপ ধারন করলো।
সকালের রঙ্গিন আলো অন্ধকার মেঘে ছেয়ে যেন সন্ধ্যায় পরিনত হল।
আস্তে আস্তে টিপ টিপ করে এক দুই ফোটা বৃষ্টি পরতে পরতে ঝুম বৃষ্টি শুরু হল। বর্ষণমুখর সকালটা আমাকে আরও অলস করে দিলো। সামনে পরিক্ষা, টেবিল এ বই নিয়ে পড়তে বসলাম কিন্তু পড়ায় আমার মন নেই। বাইরে অবিরল ধারায় বৃষ্টি পরছে। সেই একটানা ঝুম বৃষ্টি আমাকে যেন ভাবনার অন্য এক জগতে নিয়ে গেলো।
(পড়ার টেবিল ছেড়ে বাইরের বৃষ্টির ছোঁয়া নিচ্ছি)
বর্ষণ মুখর দিন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটু ভিন্ন আঙ্গিক সৃষ্টি করে। কারো মনে পৌষ মাস বয়ে আনে তো কারো মনে সর্বনাশ। কেউ তার আবেগন স্মৃতিতে হারিয়ে যায় । আবার কারো পুরনো দুঃখ তাজা হয়ে উঠে। আমি বরাবরই বৃষ্টি উপভোগ করি। বৃষ্টির সৌন্দর্য অবলোকন করতে করতে আনমনে মনের অজান্তেই গান গাইতে লাগলাম।
'' আজি ঝর ঝর মুখরও বাদলও দিনে
কিছুতে কেন যে মনো লাগেনা
ঝর ঝর মুখর বাদলও দিনে''
রিমঝিম বৃষ্টির একটানা শব্দে মন অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে। জানালার পাশে বসে বৃষ্টির শব্দ শুনছিলাম। মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন , বাতাসের ঝাপটা কানে বাজছে। অনেক্ষন ভারি বর্ষণের পর প্রকৃতি শীতল হয়ে উঠে । বৃষ্টিও কমে আসে। তবে সব মিলিয়ে ভাবনার এক অন্য জগতে বিচরণ করছিলাম। বর্ষণের পর প্রকৃতি অন্য একটি অপরুপ রুপ ধারন করে।
তারপর সারাদিনই ঘুড়ি ঘুড়ি বৃষ্টি ছিল। দুপুরের খাবারে আম্মু খিচুড়ি , বেগুন ভাজা, চিকেন ফ্রাই করলো । আহা ! সে কি মজাদার।
সন্ধায় আবার মেঘ কালো হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির দিনে ভাঁজাপোড়া , চপ এমন খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই আম্মুর কাছে বাহানা ধরি যে চপ বানিয়ে দাও। আম্মু ঝাল পিঠা আর আলুর চপ বানিয়ে দেয়। গরম গরম চপ আর বাইরের বর্ষার ঝুম ঝুম শব্দ মুহূর্তটাকে দারুন করে তুললো। খাওয়া শেষে আব্বু ,আম্মু, আমি আর বোন মিলে লুডো খেললাম। খেলা শেষে পড়তে বসলাম। এইভাবেই বর্ষণমুখর একটি দিন কাটালাম।
এই ছিল আমার বর্ষণ মুখর একটি দিনের গল্প।
ধন্যবাদ।
আপনার লেখা ও ছবিতে বর্ষা দিনের চিত্র বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। আজ এই মুহুর্তে আমার এখানেও (অফিসে) আকাশ মেঘলা, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। আপনার লেখা পড়ে এখন আমার ঝাল-মুড়ি মাখা খেতে ইচ্ছে করছে... কি করবো এখন?
স্ট্রিট ঝালমুড়ি খেতে পারেন অফিস শেষে
ধন্যবাদ, কিন্তু বৃষ্টি-বাদলের দিনে এদিকে (কাওরানবাজার) কোনকিছুই পাওয়া যায়না! 🥺
দেখি, অফিসের পিয়নকে পাঠিয়ে বাইরে থেকে আনানো লাগবে।
আপনার ওখানে কত সুন্দর বর্ষা হচ্ছে।
আর আমাদের এখানে আমরা গরমে মরেগেলাম কিন্তু কোনো বৃষ্টির দেখা নেই।
আর কয়দিন পর হয়তো আমাদের এলাকায় উট চলবে যা মনে হচ্ছে।
আমাদেরও গরম ছিল এই কয়দিন